মানব সভ্যতার জন্য চন্দ্র অভিযান ছিলো এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। পৃথিবীর এ একমাত্র উপগ্রহটিতে ১৯৫৯ সালে প্রথম নভোযান পাঠায় রাশিয়া। সেবার প্রথম একটি কুকুরকে পাঠানো হয়েছিলো। কিন্ত পরবর্তীতে সে আর ফিরে আসেনি। বলা চলে এক প্রকার ব্যর্থ একটি মহাকাশ অভিযান ছিলো সেটি। কিন্ত বিজ্ঞানীরা থেমে থাকেনি। ১৯৬৯ সালে মার্কিন মহাকাশ গবেষনা সংস্থা নাসা তিন নভোচারীকে এ্যাপোলো ১১ তে করে পুনরায় মহাকাশে পাঠায়। সেই বছর ২১ জুলাই চাদের পৃষ্ঠে প্রথম পা রাখেন নীল আর্মষ্ট্রং। এরপর মাত্র ২০ মিনিট পরে তার সঙ্গে যোগ দেন মার্কিন নভোচারী এডুইন অলড্রিন। সেই অভিযানের পর ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মোট ছয় বার মানুষের পা পড়ে চাদের বুকে। তবে এরপর নাসা আর কোনো চন্দ্র অভিযান পরিচালনা করেনি।
হঠাৎ করে চাদের প্রতি নাসার আগ্রহের ভাটা পড়ায় অনেকে মনে প্রশ্নের উদয় হয়। সাম্প্রতিক চীনা অভিযান বাদ দিলে বিশ্বের আর কোনো সক্ষম দেশ এরপর চাদে অভিযান চালায়নি। কিন্ত প্রথম চন্দ্র অভিযান দ্বারা মানুষ প্রমান করেছিলো যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে সভ্যতা । তাহলে কেন এত দীর্ঘ বিরতি? কেন মানুষ আর চাদে গেল না? কেননা শুধু চাদে অবতরন করাটাই শেষ কথা নয়। উপগ্রহটি সম্পর্কে এখনও আমলের জ্ঞান খুবই অল্প।
অবশ্য চাদ নিয়ে সম্প্রতি আবারও মেতেছে মানুষ। কিছুদিন পূর্বে চীনের পাঠানো রোবটযান জেট র্যাবিট তার চন্দ্র অভিযান শেষ করেছে। মঙ্গল গ্রহের প্রতি প্রবল অাগ্রহ হলেও নাসা থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক দেশই চাদে অভিযান চালাতে কাজ শুরু করেছে।
তবে দীর্ঘ সময় চাদে অভিযান না চালানোয় এলিয়েন বিশ্বাসীদের দাবী, চাদে যারা গিয়েছিলেন তারা এলিয়েনের দেখা পেয়েছিলেন। চাদের বুকে তারা এমন কিছু এলিয়েন স্থাপনা দেখেছিলেন যা তাদের মাথা ঘুরিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় একটানা ছয়বার অভিযান পরিচালনা করায় তারা এলিয়েনের কাছ থেকে হুমকিও পান। তাই এ কারনেও পরবর্তীতে চাদ নিয়ে আর কোনো আগ্রহ দেখায়নি নাসাসহ বিশ্বের কোনো মহাকাশ গবেষনা সংস্থা।
এসব দাবীকে আরও শক্ত ভিত্তি দিয়েছেন এমন কয়েকজন ব্যাক্তি যারা একসময় চাদে গিয়েছিলেন। এ্যাপোলো-14 তে চাদে যাওয়া নভোচারী এলটন মিশেল নিজেও এ বিষয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন। চন্দ্র অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি যখন উপগ্রহের মাটিতে হাটছিলাম তখন আমার বিশ্বাস খুব দৃঢ় হয় যে আমি সেখানে একা নই। আমাদের কেউ দেখছে এবং অনুসরন করছে। আমি জানিনা তারা কতদূর ছিলো। এমনকি তারা কোথা থেকে কিভাবে আমাদের উপর নজর রাখছিলো তাও জানিনা। তবে তারা আমাদের দেখছিলো।” এই নভোচারী এটাও দাবী করেন অভিযানকালে তাদের নজরে একটি দুটি নয় একাধিক অচেনা নভোযান চোখে পড়ে।
একই ধরনের দাবী করেছেন বাজ অলড্রিনও। চাদের পৃষ্ঠে পা রাখা দ্বিতীয় মানুষটিও বলেছিলেন চাদে যে কেউ আছে তা তিনি প্রতি মুহুর্তেই উপলব্ধি করেছেন। এ্যাপোলো-১১ তে অভিযানকালে তাদের নভোযানকে ঘিরে বেশ কিছু আলোর বস্তুকে তিনি ঘুরতে দেখেন। এমন বেশ কিছু আলোকীয় বস্ত তিনি চাদের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে দেখেন। যা দেখে মনে হয়েছিলো এগুলো ব্যাখ্যাতীত সেসব যান যেগুলোকে আমরা ইউএফও বলে থাকি। যদিও পরের দিকে এই বিষয়ে কথা বলা একদম বন্ধ করে দেন তিনি। সব তথ্য উপাত্তের বিশ্লেষনের পর এলিয়েন বিশ্বাসীরা সিদ্ধান্ত নেন যে, চাদে যে উন্নত প্রাণীর অস্তিত্ব ছিলো তা নাসা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো। চাদে বুদ্ধিমান প্রানীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগও হয়। তবে সেসব তথ্য ও ছবি সাধারন মানুষের কাছে গোপন করে ফেলে নাসা। এর কারন হিসেবে তারা বলেছেন, পৃথিবীতে মার্কিনীদের তথ্য প্রযুক্তিতে উৎকর্ষতার পেছেনে ছিলো চন্দ্র অভিযান।