হ্যালো পাঠকগণ , আস্সালামুআলাইকুম। এই পোস্ট এ আমি কিছু প্রোডাকটিভ হওয়ার টিপস শেয়ার করবো। আশা কর আপনাদের ভালো লাগবে। প্রোডাকটিভিটি বাড়ানোর মূলমন্ত্র হচ্ছে, “ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না”। নিচে কিছু টিপস দেয়া হলো যা আপনার প্রোডাকটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করবে
১. পোমোডোরো টেকনিক
যা যা করবেন-
- একটি কাজ বেছে নিন।
- ২৫ মিনিটের জন্য কাজটি করুন।
- ২৫ মিনিট শেষ হওয়ার পরে কাগজের একটি শীটে একটি চেকমার্ক দিন।
- এবার ৫ মিনিটের একটি বিরতি নিন। (এটি ১ টি “পোমোডোরো” স্প্রিন্টের সমাপ্তি চিহ্নিত করে)
- প্রতি ৪ টি পোমোডোরো স্প্রিন্টের পরে, আরও দীর্ঘ বিরতি নিন।
- আপনার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি সারা দিন ধরে চালিয়ে যান।
পোমোডোরো এপস প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। ইনস্টল করে নিন এক্ষুনি।
২. একটি “ডেইলি রুটিন” তৈরি করুন
এক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপে কাজটি করতে পারেন –
- প্রথম ধাপ – সারাদিন কী কী কাজ করবেন তার একটি লিস্ট তৈরি করুন।
- পরবর্তী ধাপ হল – কাজের লিস্টের সাথে সময় সেট করতে হবে।
- কোন কাজটি কখন করবেন, কোনটি আগে, কোনটি পরে সেটি ঠিক মত সাজিয়ে নিন।
- সবশেষে, কাজগুলো প্ল্যান অনুযায়ী ঠিকমত হয়েছে কি না তাও রিভিউ করতে হবে। নিজেকে পুরস্কৃত করতে হবে।
৩. মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করুন
আপনি যদি ভাবেন মাল্টিটাস্কিং এর মাধ্যমে আপনি সব কাজ একসাথে করতে পারবেন তাহলে আপনি ভুল। বরং আপনার এতে সময় অপচয় তো হবেই সাথে সাথে কাজের গুণাগুণও নিম্ন মানের হবে। অনেক গবেষণায় দেখা যায়, মাল্টিটাস্কিংয়ের ফলে মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই এক সময়ে একটি কাজের উপর ফোকাস করুন।
৪. প্রতিটি দিনের জন্য একটি একক লক্ষ্য সেট করুন
যেমন আমি আজকে আমার “ডেইলি রুটিনের” সব টাস্ক কমপ্লিট করে ঘুমাবো।
৫. মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায় এমন অ্যাপস / ওয়েবসাইটগুলি ব্লক করুন
ফেসবুকে, ইউটিউব সহ সব কিছুর নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন। ওয়েবসাইট ব্লকার দিয়ে ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করে রাখুন। পোমোডোরো টেকনিক এ উল্লেখিত বিরতিতে আপনার ইমেল, ম্যাসেজ, নোটিফিকেশান চেক করে নিন যেন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস হয়ে যাওয়ার ভয় ছাড়াই আপনি আপনার কাজে একান্ত মনোনিবেশ করতে পারেন।
৬. “না” বলতে শিখুন
যার কাছে সময়ের মূল্য নেই তার কাছে ‘না’ বলতে পারা অনেক দুরূহ। আপনি যখন অকাজে ‘না’ বলতে শিখবেন তখন আপনার মধ্যে প্রবল আত্নসম্মানবোধের জন্ম হবে। নিজের প্রতি ভালোবাশা তৈরি হবে। মানুষ আপনার ‘না’ কে সম্মানের সহিত দেখবে। একমাত্র সস্তা ব্যাক্তিরাই ‘না’ বলতে পারে না। কারণ তাদের কাছে জীবন অর্থহীন মনে হয়।
৭। খুব বেশি প্রযুক্তিতে ডুবে যাবেন না
প্রযুক্তিতে ডুবে যাওয়া ভাল তবে সেটা হতে হবে প্রোডাক্টিভ, পজিটিভ। এইযে আমি ইউটিউব, ফেসবুক, কোরা, নেটফ্লিক্স, স্পোটিফাই, কোর্সেরা, ইউডেমি সহ বিভিন্ন কোর্স করার সোর্স সহ সব জায়গা থেকে নতুন কিছু শিখে থাকি। আমার ২৪ ঘন্টা সময়ই প্রোডাক্টিভ যায়। ধন্যবাদ।