Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার উপকারিতা।

পানির অপর নাম জীবন এটা যেমন সত্য পানির অপর নাম মরণ এটাও তেমনই সত্য। দিনদিন পরিবেশ দূষণের ফলে নদ-নদী খাল-বিল জীবাণুযুক্ত হয়ে পড়েছে যার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পানির সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে সমুদ্র বেষ্টিত ভূগর্ভস্থ পানি নেই তারা জানে পানি কতটা মূল্যবান। তাই আমাদেরকে পানির মূল্যায়ন করতে হবে।
বর্তমান সময়ে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন একটি ভয়াবহ সমস্যা। জলবায়ুর পরিবর্তন মানুষকে ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে। তাই আমাদের উচিত পরিবেশকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা।
সকালে খালি পেটে পানি পান করার উপকার:
সকালে খালি পেটে পানি পান করা র অভ্যাসটি নিয়মিত করতে পারলে অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। রাতে ঘুমানোর ফলে হজম প্রক্রিয়ার তেমন কোনো কাজ থাকে না তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে হজম প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য এক গ্লাস পানি পান করা জরুরি।
ভালো হজমের জন্য যেভাবে পানি পান করতে হবে:
• খাবারের মধ্যে এবং শেষে পানি পান করা যাবে না।
• ফল খাবার পর পানি পান করা যাবে না।
• গোসল করার পর পানি পান করা যাবে না।
এতে ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে। বেশি ঠান্ডা পানি পান করা ভালো নয় কারণ এতে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং গলায় ইনফেকশন হতে পারে। ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করা উচিত নয় কারণ এতে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। ভালো হজমের জন্য খাবার মধ্যে এবং খাবার শেষে পানি পান করা যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা জরুরি। তবে তা সবক্ষেত্রে নয়। শরীরের প্রতিটি কোষের সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য পানি খুবই জরুরী।
নিয়মিত পানি পান করার উপকারিতা:
১. বিষণ্নতা দূর করে:
মাঝে মাঝে যখন কেউ হয়রান হয়ে পড়ে কিংবা বিষণ্ণ বোধ করে তখন বুঝতে হবে তার অপর্যাপ্ত পানি পান করার কারণে শরীরের কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে না বিষন্নতা তার শরীরের পানিশূন্য হওয়ার একটি কারণ। যখন পানি কম পান করা হয় তখন যদি এক ফোটা রক্তের আয়তন ও কমে যায় তখনও হার্টের রক্তসঞ্চালনে অসুবিধা হয়, সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ করতে অসুবিধা হয়।
২. মনকে সতেজ রাখে:
একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ১-২% ডিহাইড্রেশন হলেও মনের উপর প্রভাব পড়ে। মানুষের প্রস্রাবের রঙ হালকা হলে বুঝতে হবে ডিহাইড্রেশন নেই। গাঢ় রং ডিহাইড্রেশন নির্দেশ করে।
৪. মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেন:
মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশন থেকেও মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হতে পারে।তাই মাথা ব্যথা এবং মাইগ্রেন হলে সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করতে হবে।
৫. হজমে সহায়তা করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে:
ফানি পাকস্থলীসহ খাদ্যনালীর বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। পানি কম খেলে হজমে গোলমাল হয়। পর্যাপ্ত পানি মেটাবলিজমে সহায়তা করে, খাদ্যবস্তুকে নরম করে এবং সহজে ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে।
৬. পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে:
পানি মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি করে ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৭. পানি শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য দূর করে:
পানি শরীরের রক্তের তরলতা বৃদ্ধি করে রক্তের মধ্যে জমে থাকা বিষাক্ত দ্রব্য দ্রবীভূত করে এবং প্রস্রাব ঘামের সাহায্যে বের করে দিতে সাহায্য করে।
৮. কিডনি ভালো রাখে:
কিডনিতে পাথর অত্যন্ত কষ্টদায়ক যা ক্রিস্টাল আকারে জমা থাকে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে এই কিডনি পাথর থেকে পরিত্রান হওয়া যায়।
৯. ত্বক ও চুল ভালো রাখে:
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে ত্বক এবং চুল উজ্জ্বল থাকে।
১০. ঘুম ভালো হয়:
ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পান করা ভালো এতে শরীরে প্রশান্তি আসে এবং ঘুম ভালো হয়।
পানি পান করে আমরা অনেক জটিল রোগ থেকে বাঁচতে পারি যেমন: হাম,পেটের গোলযোগ এবং কিডনি রোগ।
সুতরাং আমাদের উচিত নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No