ফেসবুকের বদৌলতে আজকাল আত্নহত্যার খবর প্রায় চোখে পড়ে। আত্নহত্যা এক ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। যদিও আত্নহত্যার খবর বছরের বেশিরভাগ দিনেই চোখে পড়ে তবে পাবলিক পরীক্ষার সময় এই খবরটা চোখে পড়ে বেশি। পরীক্ষা সকল ছাত্রছাত্রীদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোন শিক্ষার্থী ইচ্ছে করে কখনো খারাপ ফলাফল করে না। জগতের প্রত্যেকটি জিনিসের পেছনে কোন না কোন কারণ থাকে।কিন্তু ফলাফল খারাপ হলে একটা শিক্ষার্থী কী পরিমাণ চাপের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাই এমন ভীতি শিক্ষার্থীদের মনে ধুকিয়ে দিয়েছে যে পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষার্থীদের ভাগ্য নির্ভর করে।
প্রতিটা পরীক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার ফলাফল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে তা কখনোই একজন শিক্ষার্থীর যোগ্যতা হতে পারে না। একজন শিক্ষার্থীর যোগ্যতা তার দক্ষতার উপর নির্ভর করে কখনোই শিক্ষার্থীর ফলাফলের উপর নয়। বর্তমানে কোন শিক্ষার্থীর ফলাফল নিয়ে মাথাব্যাথাটা একটু বেশিই। আর কোন কারণে যদি ফলাফল খারাপ হয় তাহলে তাদের কটুক্তি ভরা দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের মনে ভীতির সঞ্চার করে।
কখনো সমাজের চাপে কখনো বা পরিবারের এই চাপ সহ্য করতে না পেরে কত শিক্ষার্থী যে প্রতি বছর আত্নহত্যা করে আর কোন ইয়ত্তা নেই। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ধারক এবং বাহক। তারাই নেতৃত্ব দিবে দেশকে। তাই তাদের যোগ্যতা শুধু ফলাফলের মধ্যে আটকে থাকলে হবে না।তাদেরকে বিচার করতে হবে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার বিচারে।
আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের তাদের পরীক্ষার ফলাফলের উপর বিচার করা হ।। শিক্ষার্থীদের তাদের পরীক্ষার ফলাফলের জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয়। ফলে তারা অনেকেই এই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যার পথ বেছে নেই। সেই সব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলতে চাই পরীক্ষার ফলাফল কখনো তোমার ভাগ্য নির্ভর করে না। নির্ভর করে তোমার যোগ্যতার উপর। তাই কখনো নিজেকে নিয়ে তিরস্কার করবেনা। সবসময় মনে রাখবে আজ পারবনা আগামীকাল পারবা। পাশের বাসার আন্টিদের বলতে চাই কাউকে উৎসাহ দিতে না পারুন অন্তত অপমান না করেন।আপনার অপমান কারো জীবন কেড়ে নিতে পারে।