আজ আমি কিছু কথা বলব পরী নিয়ে। পরীও জলকন্যার মত একটি কাল্পনিক প্রাণী। যার অস্তিত্ব নিয়েও অনেক সন্দেহ আছে অনেকের মনে। পরী হলোএমন একটি কাল্পনিক প্রাণী যাকে দেখতে হুবহু একজন মানব কন্যার মত কিন্তু তার পিঠে একজোড়া বা দুটো পাখা রয়েছে যার সাহায্যে তারা সহজেই যেকোনো যায়গায় উড়ে বেড়াতে পারে। তারা দেখতে অনেক সুন্দরী এবং মায়াবী হয়। তাদের রূপে যে কেও মুগ্ধ হয়ে যায়। তারা দেখতে একদম মানুষের মত হলেও তাদের গায়ে মানুষের মত লাল রক্ত থাকে না।তারা তাদের নিজস্ব বাসস্থানে থাকে এবং গভীর রাতে পাখার সাহায্যে বিভিন্ন যায়গায় উড়ে বেড়ায়। অনেকের মতে তাদের হাতে একটি যাদু কাঠি থাকে যার সাহায্যে তারা যাদু করতে পারে। তারা যাদু করে কোনো প্রাণীকে অন্য প্রাণীতে রূপান্তরিত করতে পারে ,পাথরের মুর্তি করে দিতে পারে এমন কি অন্যত্র স্থানান্তরও করতে পারে। আরো অনেক যাদূ ক্ষমতা আছে তাদের।কথিত আছে যে রূপকথার রাজকন্যা সিন্ড্রেলা যখন ভালো পোশাকের অভাবে রাজকুমারের অনুষ্ঠানে যেতে পারছিলো না তখন এক পরী তার ছেড়া ময়লা পোশাককে সুন্দর পোশাকে রূপান্তর করেছিলেন। সে তার ব্যাঙ,টিকটিকি,হাসকে তার বাহক হিসেবে আর কুমড়াকে তার বাহনে রূপান্তর করে তাকে অনুষ্ঠানে যেতে সাহায্য করেছিলেন। এমনি সব ক্ষমতা আছে পরীদের। অনেকের মতে পরীর অস্তিত্ব আছে এই বিশাল পৃথিবীতে আবার অনেকের মতে এমন কোনো প্রাণী পৃথিবীতে থাকতেই পারে না। সে যাইহোক পৃথিবীতে বিচিত্র ধরনের সব মানুষ আর তাদের মতামত ও বিচিত্র বিভিন্ন। বাস্তবে আসলে ই পরীর অস্তিত্ব আছে কি না সে নিয়ে নিশ্চিত প্রমাণ কারো কাছে নেই তবে প্রাচীনকাল থেকেই অনেকে পরীর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন আবার অনেকে করেন না। পরীর বাসস্থান,জীবনব্যবস্থা,প্রকৃতি নিয়ে হয়েছে অনেক গবেষণা,অনুসন্ধান আর লেখা হয়েছে অসংখ্য বই, তৈরী হয়েছে অনেক চলচ্চিত্র এবং নাটক পরী নিয়ে। শিশুদের কাছে পরী জলকন্যার মতই অত্যন্ত কৌতূহলের একটি বিষয়। অনেক শিশুরা মনে করে যে পরীদের নাম করে তাদের কাছে কোনো ইচ্ছা পোষণ করলে তারা সেই ইচ্ছে পূরন করে দেয়। যদিও সেটা বাস্তবে একটুও ঘটে না তবু শিশুর সরল মন সেটাতে বিশ্বাস রাখে।
পৃথিবীতে আদৌ পরী আছে কি না সেটা এখনো একটা রহস্য। হয়তো মানুষ একদিন সেই রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবে।