“প্রকাস্টিনেশন” শব্দটির অর্থ হচ্ছে গড়িমশি করা। অর্থাৎ সময়ের কাজ সময় মত না করে গড়িমশি করে পিছায়তে থাকা। যেমন সকাল ১১.৪০ এ যে কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল ঐ কাজটা ‘নাহ আর একটু পরে’ করতে করতে পিছায়তে থাকা।
অনেকের জীবনের অসাফল্লতার মূল কারনে এই সভাবটি রয়েছে। এটি প্রমানিত যে যারা এই সভাবের জেরে আবদ্ধ তাদের জীবনে সফলতার হার খুব কম। এজন্য হতে হবে প্রডাক্টিভ। প্রডাক্টিভ শব্দটির অর্থ হচ্ছে কার্যক্ষম। যে সময় এর কাজ সময় মত করে। যেটা প্রকাস্টিনেশন শব্দটির ঠিক বিপরীত। আসুন দেখে নেই কিভাবে প্রকাস্টিনেশন কে না বলে প্রডাক্টিভ হওয়ার কিছু কার্যকারি উপায়ঃ
১. টু-ডু লিস্টঃ
যারা এই টার্ম এর সাথে অবগত নন তারা আগেই ঘাবরে যাবেন্না। এটি এমন একটি লিস্ট যেখানে আপনি কি কি করবেন সারাদিনে ঐ সব কাজ লিস্ট বা জার্নাল করে রাখবেন এবং যে যে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে ঐ গুলো টিক দিয়ে রাখবেন। সাইকলজিস্টদের মতে কোনো কাজ কোথাও লিখে রাখলে কাজ সম্পন্ন করার উদ্দম অনেকাংশে বেড়ে যায়। এর ফলে আপনি প্রডাক্টিভ হয়ে উঠবেন অনেকাংশে। এই টু ডু লিস্ট আপনি দিন শেষে রাতে ঘুমানোর আগে আগামী দিনের জন্ন্য তৈরি করে রাখবেন। যার ফলে আপনার সাব কন্সিয়াসে ঐ সব লিস্টেড কাজ শেষ করার জন্য় উদ্দমি করে তুলে আপনার অজান্তেই।
২. আনন্দময় পরিবেশঃ
নোংরা বা অপরিষ্কার পরিবেশ কারোর কাছেই পছন্দের নয়। কার্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজন একটি পরিষ্কার ও মনোরম পরিবেশ। তা ছাড়া একটি অগুছালো পরিবেশে কাজ করতে কারোর ই পছন্দ নই। কর্মস্থল এর পরিবেশ কাজ সম্পন্নের জন্ন্যে অত্যন্ত গুরুতবপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবেশ সুন্দর থাকলে কাজেও মন বসে এবং কাজ করতে ও ভালো লাগে।
৩. একান্ত মনযোগঃ
প্রডুক্টিভ হওয়ার লক্ষ্যে একান্ত মনোযগ নিতান্ত জরুরী। সেক্ষেত্রে যেসব বস্তু বা ব্যাক্তি আপনার একান্ত মনোযগ ভ্রষ্ট করে তাদের সাথে ঐ সময়টাতে এড়িয়ে চলা। আমাদের দৈনন্দীন জীবনে আমাদের এই মনোযগে ব্যার্থতা ঘটানোর মূল কারন হচ্ছে আমাদের স্মার্ট ফোন। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্ট ফোনের পিছনে ব্যয় করি। ফলে কাজ করার সময় ফোন অন্ন্য রুম এ বা এমন দূরত্ব বজায় রাখা লাগবে যেখানে ফোন পর্যন্ত উঠে যাওয়া নিজের কাছে দায় মনে হয়।
৪. অ্যাডভান্স টেকনলজির ব্যাবহারঃ
নিজেকে কাজের সময় টেকনলোজির সৎব্যাবহার করবেন। জেমনঃ ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি ইউ টিউব, গুগল এবং অন্যান্য ওয়েব সাইট ব্যাবহার করে কাজ অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা সম্ভব।
উপরিউক্ত পদক্ষেপ গুলো কোনো বাধা ছাড়া মেনে চললে কিছুদিনের ভিতরেই নিজের এই বদসভাবের পরিবরতন লক্ষ্য করতে পারবেন।