‘প্রকৃতির ছোঁয়াতে বেঁচে থাকে প্রাণ
ফুল ফোটে পাখি গায় মাঠে হাসে ধান
প্রকৃতিতে রাঙিয়ে উঠুক সবুজ মন
প্রকৃতির মাঝে এসো সাজাই জীবন’
প্রকৃতি প্রাণের স্পন্দন। বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। প্রকৃতি মানেই সবুজ। প্রকৃতি মানেই প্রান। প্রকৃতি না থাকলে মানুষ একদিন ও এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারবেনা এটা চরম সত্য কথা। প্রকৃতি আছে বলেই মানব সভ্যতা এখনো টিকে আসে। তাই মানুষকে প্রকৃতি সন্তান বলা হয়। প্রকৃতি মানুষকে বাঁচতে শেখায়। প্রকৃতিকে ভালো বাসেনা এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। মানুষ জন্মের পর থেকে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখে,প্রকৃতির কাছ থেকে ভালোবাসা পায়।
প্রকৃতি আমাদের খাবার যোগান দেয়,শরীরে এনার্জি দেয়,চিকিৎসা দেয়,মনে শান্তি এনে দেয়। মোটকথা মানুষ জন্ম থেকে আমৃত্যু পরর্ন্ত প্রকৃতি ছাড়া বাঁচতে পারেনা।
তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে পৃথিবীর বড় বড় বিখ্যাত ব্যক্তিরা প্রকৃতির বন্দনা করে গেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবিতার মাঝে বারবার প্রকৃতির কাছে হারিয়ে গেছেন। প্রকৃতি নিয়ে নানা কাব্য,কবিতা,গল্প লিখেছেন। যেমন.ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায়,সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ-সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি…কী অপূর্ব চিত্রকল্প অঙ্কন করেছেন।
বিদ্রোহী কবি নজরুলের কবিতায় অনেক প্রকৃতি প্রেম খুঁজে পাওয়া যায়।রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় প্রকৃতি প্রেম গভীরভাবে প্রকাশ পায়। জীবনানন্দদাশের ‘আবার আসিব ফিরে’ এবং ‘বনলতা সেন কবিতায়’ প্রকৃতির নান্দনিক রূপ ফুটে ওঠে। শুধু তাই নয়, তিনি তার প্রিয়তমাকে খুঁজে পেয়েছিলেন প্রকৃতির মাঝে।