আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজকের আমার পোস্ট টি হল প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমানোর পাঁচটি উপায় সম্পর্কে।
আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই এই সমস্যায় পড়ে থাকেন।
আর এর প্রকৃত কারণ এবং এর প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন।
তাই আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া প্রতিকারের পাঁচটি উপায় নিচে দেয়া হল:
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা:
প্রসাবে জ্বালাপোড়া রোধে পানি পানির কোনো বিকল্প নেই। পানি বা তরল জাতীয় খাবার দৈনিক প্রসাবের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে দেহের ভাইরাস ,ব্যাকটেরিয়া ,ফাঙ্গাস সহ সকল ধরনের জীবাণুসমূহ প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায় । ফলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমে যায়। এজন্য উষ্ণ গরম পানি খাওয়া ভালো।
২. গরম চাপ:
গরমচাপ ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। হট ওয়াটার ব্যাগ বা কাপড় গরম করে তলপেটে বা এর আশেপাশে লাগাতে পারেন। এতে ব্লাডারের উপরের অতিরিক্ত চাপ কমে যাবে। বাজারে এখন হিটিং প্যাড পাওয়া যায়।
৩. শাকসবজি খাওয়া:
প্রস্রাবের জালাপোড়া দুর করতে সবুজ শাকসবজির বিকল্প নেই।এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা দেহের প্রয়োজনীয় পানির অভাব পূরণ করে। তাছাড়া কিছু কিছু শাক সবজিতে দেহের শর্করার চাহিদাও মেটায়। তাই প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে।
৪. পানিশূন্যতা দূর করা:
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার একটি বড় কারণ হচ্ছে পানিশূন্যতা। দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান না করলে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়ে যায়। এজন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। দৈনিক ১২-১৫ গ্লাস পানি পান করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া পানি জাতীয় ফল যেমন: তরমুজ, পেয়ারা ,আপেল ,মালটা ,কমলা ইত্যাদি খেলে পানিশূন্যতা কমে। তরল স্যুপ ও শরবতও এ ক্ষেত্রে কার্যকরী।
৫. দই খাওয়া :
দই প্রসাবের জালাপোড়া দুর করতে খুবই কার্যকরী। দইয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া, যা দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং জীবাণু বিনাশ করে।প্রতিদিন দই খাওয়ার অভ্যাস দেহের pH বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ১-২ কাপ দই রাখুন।
তাছাড়া বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ যেমন নিমপাতার রস চিরতার রসও প্রসাবের জ্বালাপোড়া নিরাময় করে।
আজ এ পর্যন্তই।
আগামী পোস্টে নতুন কোন টপিক নিয়ে আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
আল্লাহ হাফেজ।।