আসসালামুওয়ালাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই?
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হলো আমরা আগে পড়া জিনিস কিভাবে দীর্ঘ দিন মনে রাখবো!প্রায় সমস্ত স্টুডেন্টস দের মনেই এই প্রশ্ন প্রায় সব সময় জেগে ওঠে।অনেকে আবার বলে,”আমি দিনে ৮ ঘন্টা পড়ি কিন্তু দিনের শেষে কিছুই মনে রাখতে পারিনা সব ভুলে যাই”
আপনারা হয়ত পড়া মনে রাখার অনেক লেখা পড়েছেন সব লেখাতেই সেই একই কথা যাতে ৩-৪টা পয়েন্ট এবং কথা আলোচনা করা হয়েছে
আর তা আমরা মন দিয়ে দেখছি বুঝছি কিন্তু কোনোই লাভ হচ্ছেনা। এটাই বাস্তবতা বন্ধুরা মোটিভেশন মাত্র ৫ মিনিটের জন্য কাজ করে কিন্তু ফ্যাক্ট সারাজীবনের জন্য কার্যকর হয়।
তো আমি আজকে আপনাদের কাছে এরকম কিছু ফ্যাক্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাকঃ
বন্ধুরা ভাবুন তো যখন আপনারা সিনেমা দেখেন তখন সিনেমার প্রতিটি অংশ আপনাদের কিভাবে মনে থাকে?? আপনি সেটা দেখার পরে তো সেটা প্রায় পুরোটাই মুখস্থ বলে দিতে পারেন।ভাবুন তো কিভাবে পারেন এটা!!যদি আপনার ব্রেইন খারাপই হয় তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব??
তাহলে বন্ধুরা আমরা বলতে পারি যে আমাদের ব্রেইন অবশ্যই খারাপ নয় এখানে শুধু মাত্র মন লাগার ব্যাপারটা কাজ করে। আপনি যখন সিনেমাতে মজে থাকেন তখন কেও আপনাকে ডিস্টার্ব করলেও আপনি বুঝতে পারেন না। কারন আপনার মনোযোগ পুরোটাই সিনেমার মধ্যে থাকে।সেটা ভালোবাসার সিন হোক বা দুঃখের। কিন্তু যখন আপনি পড়ছেন তখন কেও খুব আস্তে করেও দরজা খুললেও আপনার মনে হয় যে এত ডিস্টার্ব করলে কি পড়া যায় নাকি!
তাহলেই বুঝুন আসলে সত্তি কথা হলো আমাদের পড়াতে মনোযোগ একদমই থাকেনা।
বন্ধুরা এটাকেই পাল্টানোর চেষ্টা করতে হবে। আপনাকে ১০ ঘন্টা পড়তে হবেনা দিনে। আপনি দিনে দুই ঘন্টা পড়ুন কিন্তু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যাতে বইটাও বুঝতে পারে যে হ্যাঁ পড়া হচ্ছে। ওই দুই ঘন্টা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, সব কিছু ভুলে যান।
শুধু মাত্র একটা ঘরে নিজেকে বন্ধ করে নিন আর তার পিরে সারাদিন মজা করে ঘুরে বেড়ান।
আর এই সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনের একটি পার্ট হয়ে গেছে।এটিকে চাইলেও আমরা ছাড়তে পারবোনা। আপনাকে বাধ্য করলে হয়ত একদিন দুইদিন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আপনি থাকতে পারবেন কিন্তু তার পর আর সম্ভব হবেনা।
আমি এগুলো কে ছাড়ার কথা বলছিনা কিন্তু যে সময় আপনি পড়ছেন সে সময়টা আপনি ঐ সব কিছু ছেড়ে থাকার চেষ্টা করুন।
কোনো ফোন আসলে দুই ঘন্টা পরে রিসিভ করুন।
অথবা কেও টেক্সট করলে দুই ঘন্টা পরে রিপ্লাই করুন।
এখনো আমরা এত বড় বিজনেসম্যান হয়ে যাইনি যে একটা ফোন কল মিস করলে কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু পড়ার ওই দুই ঘন্টা আপনার বেস্ট দিয়ে দিন।
আর নিজেই নিজেকে প্রাইজ দিন যে একঘন্টা পড়া হয়ে গেলে একটা চকলেট খাবো।
আমরা হয়ত দেখি যে আমরা ছাত্রছাত্রীরা পড়া মনে রাখতে পারিনা কিন্তু টিচার্স রা কিভাবে মনে রাখেন! তারা তো হাজার হাজার এরকম ছাত্রছাত্রী পড়ান। তারা কিভাবে প্রত্যেক দিনের পড়া নোটস মনে রাখেন।
আমার মনে হয় এটার কারন হলো জোরে জোরে বলা। তারা পড়া বোঝানোর সময় জোরে জোরে পড়া বলেন।আর আমরা পড়ি চুপচাপ হয়ে গালে হাত দিয়ে। তাই বন্ধুরা আমার মনে হয় যে একটু জোরে জোরে পড়ুন।যাতে আপনি পড়াটা নিজেও খুব ক্লিয়ারলি শুনতে পান।
পড়ার সময় লিখে লিখে পড়ুন।
লিখুন, নিজের লেখা বই এর সাথে মেলান এতে করে ভুল গেলে পরে কোনো যেক্ষেত্রে আপনার মনে থাকবে যে ভুলটা কোথায় হয়েছিল।
এরকম ছোট্ট ছোট্ট ট্রিক্সের মাধ্যমে আপনারা পড়া দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারবেন।
এই ক্ষুদ্র অভ্যাস গুলো আমাদের পড়াশোনার স্টাইল টাই চেঞ্জ করে দিতে পারে।
ভালো লাগলে সাথে থাকুন বন্ধুরা।
ধন্যবাদ।