হাই,। আসসালামু আলাইকুম। আপনি কি ফাইবারে কাজ করতে চাচ্ছেন কিংবা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য:-
👉👉আজকে আমরা দুইটি জনপ্রিয় অনলাইন সাইট নিয়ে আলোচনা করব।
১. ফাইবার। ২. আপওয়ার্ক
👉প্রথম চলুন ফাইবার নিয়ে আলোচনা করি:-
1.Fiverr.
Fiverr.com । এই সাইট টির বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন বিনা টাকায় দিতে পারবেন। সেই বিজ্ঞাপন গুলোকে বলা হবে গিগ। আপনার গিগ যদি কারো পছন্দ হয় তা হলে তিনি $৫ এর বিনিময়ে আপনার গিগ টিকে অর্ডার করতে পারেন। কারন এই সাইট এর সব কাজ ই হয় $৫ এর। এই সাইট টির ট্রাফিক অত্তন্ত বেশি ( প্রায় ৪০,০০০ প্রতি দিন)। তাই বলা যায় না, ভাগ্য ভালো থাকলে প্রতিদিন ২-৩ টি অর্দার পাওয়া কোন বিষয়ই না। অনেকেই ৩-৪ টি অর্ডার পায়। কাজের বা গিগ এর ধরনঃ একটু খেয়াল করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের গিগ আপনাকে পোস্ট করতে হবে। না না ভয় পাবার কিছু নেই। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ। এই বিভাগ গুলোর যেকোনোটিতে আপনি যতো খুশি ততো গিগ প্রতিদিন জমা দিতে পারেন। তবে বেশি গিগ দিলেই যে বেশি অর্ডার পাওয়া যায় কথাটি এমনও নয়। আমি এখনও মাঝে মাঝে আমার ১ম গিগ থেকেও অর্ডার পাই। পুরো ব্যাপারটি নির্ভর করছে আপনার গিগ এর ধরন, নিজস্বতা, আর আপনার পণ্যের চাহিদার উপর। বিষয়টি আরও ভালোভাবে বললে, গিগ এর চাহিদা ও আপনার লেখার সৃজনশীলতার উপরই নির্ভর করে আপনার গিগ এর সফলতা। আপনি যদি নিজেকে সৃজনশীল ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে আমার মনে হয়না যে ১ম অর্ডারটি পেতে আপনাকে খুব বেশি আপেক্ষা করতে হবে। তবে, সব সময়ই যে একই ধরনের লেখা লিখে সফল হবেন তা ভাবা টাও ঠিক নই। কখনই অন্যদের গিগ নকল করবেন না। যদি দেখা যাই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে গিগ এর বিষয় পরিবর্তন করুন, লেখায় বৈচিত্র্য আনুন। সফলতা আসবেই। আমি পারছি আপনি কেন পারবেন না? আর এখানে টাকার অঙ্ক টাও কিন্তু নেহাত কম নয়। প্রতিটি গিগ সেল $৫ । যদিও সাইটটি সার্ভিস চার্জ বাবদ $১ কেটে রেখে $৪ পেমেন্ট করে। এই সাইট এর রেজিস্ট্রেশন এর নিয়ম অন্যান্য সাইট এর মতই খুবই সাধারন।
👉👉এখন আমরা আপওয়ার্ক সম্পর্কে জানব:-
2.upwork
আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় শুরু করবেন যেভাবে: আপওয়ার্ক হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস। শুরুতে এটি ওডেস্ক নামে পরিচিত ছিল যা পরে নাম পরিবর্তন করে অন্য একটি মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের সাথে একীভূত হয় আপওয়ার্ক নাম ধারণ করে। যারা অনলাইনে কাজ করেন তাদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে আপওয়ার্কে একটি একাউন্ট খুলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার। আবার এমন কেউ কেউ আছেন যারা আপওয়ার্ককে খুব একটা পছন্দ করেন না।
বাস্তবতা হচ্ছে, আপনি পছন্দ করেন বা না করেন, আপওয়ার্ককে কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না; কারণ এর ব্যাপ্তি ও প্রভাব অনেক বেশি। হয়ত আপনি যতটা চিন্তা করতে পারবেন তার থেকেও! বড় বড় কোম্পানি যেমন মাইক্রোসফট, অটোম্যাটিক, এরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপওয়ার্ক এর ক্লায়েন্ট একজন ফ্রিল্যান্সার এর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করা। আপওয়ার্ক এর মত প্লাটফর্ম ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার উভয়ের জন্যই একে অপরকে খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটা সহজ করে দেয়। বাড়তি আয় হোক, কিংবা প্রধান জীবিকা- আপওয়ার্কে সব ধরনের ফ্রিল্যান্সারই রয়েছেন।আপওয়ার্ক কী এবং কীভাবে কাজ করে?
আপওয়ার্ক কী এটা ইতোমধ্যেই বলে ফেলেছি। আপওয়ার্কে ফ্রিল্যান্সারগণ তাদের প্রোফাইলে নিজেদের কাজ, অভিজ্ঞতা এসব তুলে ধরেন। ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের বিবরণ এবং এর জন্য তারা কত সম্মানী প্রদান করবেন তা উল্লেখ করে আপওয়ার্ক এ পোস্ট করেন। এরপর ফ্রিল্যান্সাররা কাজের তালিকা থেকে নিজেদের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে কাজের জন্য প্রপোজাল পাঠান।
ক্লায়েন্টরা আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারের তালিকা থেকে তাদের পছন্দের এক বা একাধিকজনকে নির্বাচন করে চুক্তিবদ্ধ হন। আবার ক্লায়েন্ট চাইলে কোনো ফ্রিল্যান্সার এর প্রোফাইল দেখে তাকে কাজের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।সহজ কথায়, আপওয়ার্ক এর কাজ হল ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। পুরো প্রক্রিয়াটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন হয়।
ফ্রিল্যান্সারকে তাদের পারিশ্রমিক আপওয়ার্ক এর সাথে ভাগ করে নিতে হয়। কোনো নির্দিষ্ট বায়ার/ক্লায়েন্টের কাছ থেকে একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রথম ৫০০ ডলার আয়ের ২০% অর্থ ফি হিসেবে কেটে নেয় আপওয়ার্ক। একই কন্ট্রাক্টে ৫০১ থেকে ১০ হাজার ডলার আয়ের মধ্যে ১০% যায় আপওয়ার্ক এর ভাগে। আর সেই কন্ট্রাক্টে ফ্রিল্যান্সারের আয়ের পরিমাণ ১০ হাজার ডলারের বেশি হলে তার থেকে ৫% পায় আপওয়ার্ক। অর্থাৎ, আয় যত বেশি হবে এবং যত বেশি দীর্ঘমেয়াদী ক্লায়েন্ট-ফ্রিল্যান্সার সম্পর্ক হবে, তত কম ফি চার্জ হবে ফ্রিল্যান্সারের একাউন্টে। এছাড়া, বায়ারের দিক থেকেও বিভিন্ন প্ল্যানে বিভিন্ন রকম ফি নেয় আপওয়ার্ক।