ফেসবুক/মেসেঞ্জারের গোপন ট্রিক্স ও টিপ্স। পর্ব ২।
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।
আজ আপনাদের সাথে যেই লেখাটি আমি শেয়ার করব সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি বিষয় সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দেবে যেটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে খুব বেশি কাজে লাগবে। কারণ এই তথ্যটি হচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার সম্পর্কে।
আমরা সবাই কমবেশি ফেসবুক বা মেসেঞ্জার ব্যবহার করে থাকি। এটি বর্তমানে সবচেয়ে বৃহত্তম সোসিয়াল মিডিয়া সাইট। সবথেকে বেশি ব্যবহারকারী যুক্তিও রয়েছে এই সাইটের সাথে। মার্ক জাকারবার্গ নামের একজন এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। একটি সোসিয়াল মিডিয়া সাইট হিসেবে বর্তমানে সবথেকে সফল একটি মেডিয়া হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আমরা যদিও সবাই কম বেশি ফেসবুক/মেসেঞ্জার ব্যবহার করি, তবুও অনেক সময় আমরা এগুলার সঠিক ব্যবহার করে উঠতে পারি না৷ এর কারণ হলো আমরা এই যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু গোপম সুবিধা সম্পর্কে অবগত নই। গোপন বলছি কারণ অনেকেই জানেন না। যদিও সেই সকল সুবিধা সম্পর্কে আমি আলোচনা করব। যেগুলো ব্যবহারকারীদের জন্যই উন্মুক্ত। তবুও আমাদের জানা থাকে না বলেই সেই সুবিধাগুলো আমরা ব্যবহার করি না।
এই লেখাতে আমি সিরিয়ালি পাঁচটি বিশেষ/গোপন সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব যেগুলো ফেসবুক থেকে আমরা পেয়ে থাকি এবং আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজেও ব্যবহার করতে পারব।
এই লেখাটা আপনাদের সঙ্গে একটি জরুরি টিপস এবং ট্রিকস শেয়ার করব। মেসেঞ্জারে আমার অনেক সময় মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চ্যাট করি। এমনও হয় সেটা আমি অফিসের কাজে বা কোন পারসোনাল কথা বলার জন্য আমার মেসেঞ্জারে কথা বলে থাকি। কিন্তু যখন মেসেঞ্জারে কোন গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে হয় সেটা একটা সুরক্ষার বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হয়।
হয় আমরা কথা বলার বলে ডিলিট করে দিবেন না সেটা রিমুভ করে দিই। কিন্তু মেসেঞ্জারে কোন মেসেজ ডিলিট করলেও অপর পাশের মানুষটার কাছে সেই মেসেজটা ঠিকই থেকে যায়। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য মেসেঞ্জার এর নতুন যে লেটেস্ট আপডেট দিয়েছে সেখানে একটি নতুন পিকচারস বা সুবিধা যোগ হয়েছে।
সাধারণত এটি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না তাই আমি আপনাদের সাথে এটির ব্যবহার এবং সুবিধা গুলো শেয়ার করবো। এই সুবিধাটি নাম হচ্ছে “ভ্যানিশ মোড” ।
এখন হয়তো আপনি জানেন না যে এই সুবিধাটি আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন?
আমি সহজে ধাপে ধাপে আপনাকে জানিয়ে দিয়েছে পুরো লেখাটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
১। প্রথমে আপনি মেসেঞ্জার ওপেন করুন। এবং যার সাথে চ্যাট করতে চান তো ইনবক্সে যান।
২। এবার খুব সহজ উপায়ে আপনি এই মুহূর্তে অন করতে পারবেন। শুধু নিজ থেকে চেপে ধরে সুয়াইপ আপ করে কিছু সেকেন্ড ধরে রাখুন।
৩। তারপর একটা গোলাকার নীল চাকরির মত পূর্ণ হলে ছেড়ে দিন। এভাবেই চালু হয়ে যাবে ভ্যানিশ মোড।
এখন এটি ব্যবহারের সুবিধা কি এবং এটি আপনি কেন ব্যবহার করবেন? সাধারণত এটি ব্যবহারের তিনটি সুবিধা ফেসবুক আমাদের দিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে
১। এটি ব্যবহারের সুবিধা সেটা হল আপনি কোন মেসেজ পাঠানোর পর যাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন সেই মেসেজটি দেখার পর এই মেসেজটি ডিলেট হয়ে যাবে। এখানে জেনে রাখুন যে মেসেজটি অটোমেটিকলি ভ্যানিশ হবে। আপনাকে আলাদা করে ডিলেট করা লাগবে না।
২। একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে সেটি হচ্ছে যখন আমরা কোনো গোপন দ্য সিক্রেট ব্যাপার নিয়ে মেসেঞ্জারে কারো সাথে কথা বলি, সে যদি আপনার সাথে কোন শত্রুতা বর্ণ বা মজা করার জন্যই মেসেঞ্জার স্ক্রিনশট নিয়ে রাখে। এবং সে চ্যাট এর স্ক্রিনশট যদি অন্য কাউকে দেখায় তাহলে হয়তো আপনার ক্ষতি হতে পারে বা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারেন। এই ভ্যানিশ মোড চালু করা থাকলে কেউ যদি মেসেঞ্জার এর স্ক্রিনশট নেয় তাহলে আপনি নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন। যে সে স্কিনশট নিচ্ছে, তখন আপনি সাবধান হয়ে যেতে পারবেন। এবং মেসেজ অফ করে দিতে পারবেন। সুতরাং এই সুবিধাটা অনেক বড় একটা সুবিধা। অনেক সময় আপনার কাজে লাগবে।
৩। ভ্যানিশ মোড চালু থাকা অবস্থাতেই আপনি কোন মেসেজ বা কোন কনভার্সন রিপোর্ট করতে পারবেন। সময় হয় কেউ আপনাকে খারাপ মেসেজ বা খারাপ ভাষায় গালাগালি করছে। যদি সে ভ্যানিশ মোড অন করে সেই মেসেজ ডিলিট করে ফেলে। তবুও এক ঘন্টার ভেতরে আপনি যদি রিপোর্ট করেন তাহলে সেটি সাধারণভাবেই রিপোর্ট হিসেবে গণ্য হবে।
আশা করছি এই সকল তথ্য গুলো আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগবে এবং এগুলো আপনি ব্যবহার করে আরও সহজে ফেসবুকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। লেখাটা কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এছাড়াও ফেসবুক বা মেসেঞ্জার সম্পর্কে আপনার কোন অজানা তথ্য জানার ইচ্ছা থাকলে সেটাও কমেন্টে জানান।
ভাই আপনাদের সাথে ফেসবুক মেসেঞ্জার এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস পর্ব আকারে শেয়ার করব এই সিরিজের নতুন লেখা অবশ্যই আসবে তার সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।