বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কমবেশি সবারই ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
এই সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে ফেসবুক। আসলে সকল মানুষের ভেতরে নিজেকে ফেমাস অথবা জনপ্রিয় করার একটি আকাঙ্ক্ষা থাকে অথবা এমন কিছু আকাঙ্ক্ষা থাকে যা সে সকলের কাছে প্রকাশ করতে পারে না ।
অথবা তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু ফেসবুকের যে সকল ফ্রেন্ড রয়েছে সেই সকল ফ্রেন্ডের সাথে সে আকাঙ্ক্ষাগুলো শেয়ার করে । এছাড়াও অনেক ধরনের মানুষ রয়েছে যারা সরাসরি অন্য মানুষের সাথে কথা বলতে কিছুটা আনইজি ফিল করে । সেজন্যই তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
আর সেই কারণেই আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত কিছু টিপস শেয়ার করতে চলেছে যেগুলো ব্যাবহার করে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুব স্মার্টলি ব্যবহার করতে পারবেন।
সবচেয়ে প্রথমেই যে টিপসটি আপনাদের দেব সেটি হচ্ছে আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকের প্রোফাইল কখনোই হান্ড্রেড পার্সেন্ট লক রাখবেন না।
আপনি চাইলে আপনার ছবিটিতে একটি গার্ড দিয়ে রাখতে পারেন। কখনোই আলতু ফালতু স্ট্যাটাস দিয়ে আপনার প্রোফাইলকে ভরিয়ে তুলবেন না। যদি কারো পোস্ট কপি করেন তাহলে অবশ্যই নিচে তার নামটি উল্লেখ করবেন।
একটি সুন্দর Bio দেবেন। কখনোই “বাপের হোটেলে খাই মায়ের কোলে ঘুমাই ” এই ধরনের Bio দেবেন না।
অপরিচিত কাউকে ফ্রেন্ড লিস্টে যোগ করে অথবা কোন ধরনের ফেক আইডি বা নিজ নাম দেওয়া নেই এ ধরনের ব্যক্তিদের ফেসবুকে ফ্রেন্ড লিস্টে যোগ করবেন না ।
এর ফলে যখন অন্য কোন ব্যক্তি আপনার প্রোফাইল ভিজিট করতে এসে আপনার ফ্রেন্ড লিস্ট চেক করবে সেই সময় ঐ সকল ব্যক্তিদের দেখে হয়তোবা মনে করবে আপনি তাদের দলেরই অন্তর্গত। ব্যাপারটা খারাপ দেখাবে। আশা করি আপনাদের এই টপিকটি আমি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
চেষ্টা করুন ফেসবুকে আপনাকে যারা মেসেজ করছে তাদের মেসেজের শতভাগ উত্তর দেওয়ার। যারা আপনার মেসেজ কে এগনোর করে চলে যাচ্ছে বুঝতে হবে যে তারা আসলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনস্মার্ট।
একান্তই নিজের ব্যক্তিগত কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন না। ক্যাপশন টা অবশ্যই স্মার্টলি দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
” কেমন হএছে ফেনছ? ”
এই ধরনের ক্যাপশন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। অবশ্যই মনে রাখবেন ফেসবুকে স্মার্ট হবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি টিপস হচ্ছে বাংলিশ ভাষা ব্যবহার না করা।
নিজ মাতৃভাষার ব্যবহার করুন অথবা ইংরেজি দিয়ে লেখার চেষ্টা করুন।
আর আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করে ঘরের ভেতরে অবস্থান করুন।