একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে চাইলে অবশ্যই কিছু বিষয় জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এমন এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলো একজন ফ্রিল্যান্সারের আরতো করা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।
ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
✍️ ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। পৃথিবীর যে কোন রাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজের অর্ডার নিয়ে।সঠিকভাবে সম্পন্ন করে এবং ক্লায়েন্টকে জমা দিয়ে তার থেকে মুনাফা অর্জন করায় ফ্রিল্যান্সারের প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সারের অবস্থান কি?
✍️ ইতিমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ছয় লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সিং ব্যবহার করে তাদের ক্যারিয়ার গঠন করার স্বপ্নে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এমনও অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যারা প্রতিমাসে 2 লক্ষ টাকা ইনকাম করে এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের পেশা কতটা উচ্চপদস্থ?
✍️ এই প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার আগে একটা কথা না বললেই নয়। একটা উদাহরণ দিলে অবশ্যই আপনি এর সম্পূর্ণ বিষয়টি ধারণা ধারণা নিতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় 20 বছর পড়ালেখা করার পর আপনাকে একটি চাকরি নিতে হয়। আর সে চাকরির জন্য আপনাকে মিনিমাম তিন থেকে চার বছর শুধুমাত্র ভাইবা পরীক্ষা দিয়েই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়।
এবং আপনি সর্বশেষে ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করেন বিভিন্ন অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে। অথচ আপনার মেধা বিকাশ এতটাই উদ্বিগ্ন যে তারা আপনার নাগালের বাইরে।
সেই দিক থেকে লক্ষ করলে আপনি যখন এক বছর যথেষ্ট পরিমাণে সংখ্যাটি এবং ধৈর্য সরকারি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো শিখবেন তখন আপনি শুধুমাত্র বাংলাদেশ না সারা পৃথিবী ব্যক্তিদের সাথে প্রতিযোগীতায় নামতে পারবেন।
যেমন ধরুন আমেরিকার একজন ক্লায়েন্ট যেকোনো একটি কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার ডটকমে পোষ্ট করলো। এই পোস্টটি ছাড়া পৃথিবীর যত ফ্রিল্যান্সার আইডি আছে সকল আইডিতে নোটিফিকেশন চলে যাবে। এবং তারা চাইলে সকলেই এখানেই এপ্লাই করতে পারবে। এবং তারা চাইলে সকলেই এখানেই এপ্লাই করতে পারবে।অবশ্য আপনিও এর বাইরে থাকবেন না কারণ আপনিও চাইবেন সেই কাজটির অর্ডার নিতে তাই আপনাকে এপ্লাই করতে হবে।
যখন আপনি সেখানে এপ্লাই করবেন তখন আপনার চিন্তা ধারনাটা একটু পাল্টে যাবে।যেখানে 20 বছর পড়ালেখা করার পর অসাধু স্টুডেন্ট বা অসাধু ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ সাথে আপনাকে প্রতিযোগিতা করতে হয় সেখানে আপনি এক বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করার মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক সফল ব্যক্তিদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারলেন। এবং আপনাকে যদি ক্লায়েন্টের পছন্দ হয় তাহলে আপনি কাজটি পেয়ে গেলেন।
এখন অবশ্যই বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং কতটা পরিমানে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে।বাংলাদেশের চাকরির ক্ষেত্র এতটা নগণ্য যে জনসংখ্যা দিক থেকে চাকরির ক্ষেত্র তা কখনোই এডজাস্ট করতে পারবে না। তাই আমাদের বিকল্প কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। আর সেজন্যই ফ্রিল্যান্সিং সব থেকে ভাল সাজেশন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কি কি প্রয়োজন?
✍️ ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার কোন দরকার নেই।বর্তমান অনলাইন জগতে এতটা উন্নত হয়েছে যে আপনাকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র তে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়না।পৃথিবীতে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনি চাইলে পৃথিবীর যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা যেকোন বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন খুব সহজে এবং বিনামূল্যে।এবং ফ্রিল্যান্সিং-এ একই ক্ষেত্রে আপনি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে সফল কামই হতে পারবেন।বর্তমান সমাজের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউবে আপনি যেকোন ভিডিও সার্চ করবে সাথে সাথে হাজার হাজার ভিডিও পেয়ে যাবেন আপনি।ফ্রিল্যান্সিংয়ের এটুজেড নিয়ে আপনি যদি কোন টিউটোরিয়াল দেখতে চান বা কোন কিছু শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি সার্চ করলে সেই বিষয়টি আপনার হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইল দিয়ে সম্ভব?
✍️ আসলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক ধরনের কাজ আছে যেগুলো সবার আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।মানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজগুলো আছে সেই কাজগুলো একজন ব্যক্তির আয়ত্ত করা কখনোই সম্ভব নয়। ফোনের মাধ্যমে অনেকগুলো কাজ করা যায় যেমন কপি-পেস্ট রাইটিং, ল্যাংগুয়েজ চেঞ্জ,ইত্যাদি ধরনের কাজ আছে যেগুলো ফোনের মাধ্যমে করা যায়। তবে সেটা খুব নগণ্য।
আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকা অবশ্যক। আপনার যখন একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকবে তখন আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ইনকাম করতে। তবে প্রথম প্রথম আপনাকে অবশ্যই ইনকামের লোকটা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তারপর আপনাকে কর্মক্ষেত্র নামতে হবে। একটা কথা মনে রাখবেন অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।কঠিন লক করে কখনোই কোন কিছুই পাওয়া সম্ভব নয়।তাই আগেই ভাল করে শিক্ষা গ্রহণ করেনি এবং পরবর্তীতে ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে আপনার ওই শিক্ষা।