বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল বলতে ভৌগলিকভাবে দক্ষিণ দিকের অঞ্চলগুলোকে বুঝানো হয়েছে। এর ভেতর আছে বরিশাল ও বৃহত্তর খুলনা বিভাগ। ভৌগলিকভাবে এই দুই বিভাগ বাংলাদেশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত। দক্ষিণ অঞ্চলকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে বিগত কয়েক দশক ধরে এই অঞ্চলের উন্নয়ণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিল বলে ধরা যায়। রাজধানীর সাথে এই অঞ্চলের যোগাযগ ব্যবস্থা খুবই নিন্মমানের থাকাই এই অঞ্চলে শিল্পকলকারখানা গড়ে উঠতে পারে নাই। এছাড়া দারিদ্রতা ও বিভিন্ন অনিয়মে অঞ্চলের অবকাঠামো দুর্বল হয়ে পরেছে। তবে বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ অঞ্চলের উন্নয়ণ কার্যক্রম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তৎকালীন সরকারের আমলে এই এলাকার মানুষ আশার আলো খুজে পেয়েছে। পদ্মাসেতু ও পায়রা সেতু নির্মাণের কারণে রাজধাণী ঢাকার সাথে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের যোগাযগ ব্যবস্থা মজবুত হয়েছে। এছাড়া সেতু নির্মানের সাথে বিভিন্ন প্রকল্প তৎকালীন সরকার বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন।
বরিশালের পায়রা সেতু দীর্ঘ ৯ বছর পর উনমুক্ত করা হয়েছে যার ফলে পর্যটকরা ভোগান্তি ছাড়াই সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা ভ্রমণে যেতে পারবেন। পায়রা সেতুর কারণে বিভিন্ন উন্নয়ণ প্রকল্প তৈরী হয়েছে যার কারণে বরিশালে ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড প্রসার পেয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ অঞ্চলের সপ্নের পদ্মাসেতু দোয়ার খোলার অপেক্ষাই আছে। জানা গেছে, আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে তৎকালীন সরকার সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ভদন করতে যাচ্ছে এবং যার ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ সরাসরি রাজধাণীতে যাতায়াত করিতে পারবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে এলাকার মানুষ গ্যাসের সংযোগ পেতে যাচ্ছে এবং দক্ষিণ অঞ্চলের মাগুরা জেলা ও যশোর জেলার সাথে রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এর ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ সরাসরি ট্রেনের মাধ্যমে রাজধানীতে যাতায়াত করিতে পারবে। শুধুমাত্র যাতায়াত নই এর ফলে অঞ্চলের মানুষের দারিদ্রতা নিরসন হবে বলে তৎকালীন সরকার চেলেঞ্জ করেছে। এড়াও ছাত্র-ছাত্রীর কর্মসংস্থান তৈরীতে আধুনিক আইটি পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে যার কারণে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিস্তার লাভ করেছে। যশোরের শেখ হাসিনা সফ্ট ওয়্যার পার্ক টেকনলজি পার্ক বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসংস্থান তৈরী করেছে। এছাড়াও মাগুরার শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং পার্কের প্রকল্প প্রায় শেষের দিকে। যার ফলে এই অঞ্চলে বেকারত্ব হ্রাস পাবে।
উন্নয়ণ কর্মকান্ডের ভেতর আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে ইকোনোমিক জোন ডেভেলোপমেন্ট প্রকল্প যার ফলে কৃষক ও অঞ্চলের মানুষ ব্যপকভাবে লাভবান হবে। মাগুরা জেলাতে ১০০০ একর বিস্তিত জায়গা নিয়ে ইকোনোমিক জোন নির্মাণ করা হচ্ছে। যার কারণে শুধু দক্ষিণ অঞ্চল নই দেশের অন্যান্য অঞ্চলও লাভবান হবে।
দক্ষিণ অঞ্চলের এই উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যহত থাকলে শুধু দেশের নই দেশের মানুষ ও জনগনের কল্যাণ হবে।