আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে ধনী ও বিলাসবহূল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মুসা বিন শমসের। যিনি তার স্বাক্ষরের জন্য ২৪ ক্যারেট সোনা ও ৭৫০০ টি হীরক দ্বারা বানানো কলম ব্যবহার করে থাকেন। প্রিন্স মুসা যে ঘড়িটি ব্যবহার করেন পুরো পৃথিবী জুড়ে এ ঘড়ি আর দ্বিতীয় নেই। ৫০ লাখ ডলার দামের যে ঘড়িটি তিনি ব্যবহার করেন সেই বিশেষ ঘড়িটি বানাতে সময় লেগেছিল ২৭ মাসেরও বেশি। প্রিন্স মুসা যে আংটি ব্যবহার করেন তার দাম হচ্ছে ১০ লাখ ডলার। এক পোশাক দুবার ব্যবহার করতে না দেখা এই ধনী সবসময় গোসল করেন নির্জলা গোলাপ পানি দিয়ে। মুসা বিন শমসেরের দেহরক্ষী ছিল ৪০ জন,তার মাঝে নারী ছিল ৪জন। এমনি অবিশ্বাস্য বিলাসবহূল জীবনযাপন করে থাকেন প্রিন্স মুসা বিন শমসের। এতক্ষণে যেটুকু শুনলেন এগুলো তো প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের রয়েছে আরও কত শত বিলাসিতার গল্প। যেসব বিলাসিতার গল্পের পাশাপাশি এত বড় একজন ধনী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার গল্প নিয়ে আমাদের আজকের এ লেখাটি। বিশ্বব্যাপী প্রিন্স অব বাংলাদেশ নামে পরিচিত এই ধনকুবের জীবনের গল্প এবং তার ব্যাপারে বিভিন্ন অবাক করা তথ্য জানার জন্য আজকের এই লেখাটি। মুসা বিন শমসের ফরিদপুরের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাড়াও তার আরও তিন ভাই ও দুই বোন আছে। মুসা বিন শমসের তার ভাইবোনদের মধ্যে ৩য়। তার বাবা শামসের আলি মুল্লা ব্রিটিশ শাসনামলে সরকারের এক বড় কর্মকর্তা ছিলেন। রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় সুরম্য প্রাসাদে প্রিন্স অব বাংলাদেশ মুসা বিন শমসেরের বসবাস। তার প্রাসাদের সাজসজ্জাও চোখ ধাধানো। মুসার বাসার স্টাইল -আয়োজন কর্মকাণ্ড সবকিছুই ফাইভ স্টার মানের। প্রিন্স মুসা তিনটি বুদ্ধিদ্বীপ্ত ও মেধাবী সন্তানের পিতা। তার সন্তানের প্রত্যেকের যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে উচচশিক্ষা প্রাপ্ত। পশ্চিমাদের কাছে বাংলাদেশের প্রিন্স হিসেবে পরিচিত তিনি। ২০০৯ সালের ১৪ই নভেম্বর সংখ্যায় ব্রিটেনের দ্য উইকলি মিডিয়া নিউজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে তার ব্যবহৃত বিখ্যাত ঘড়ির দাম জানা গিয়েছিল। মুসা বিন শমসেরের মোট অর্থের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা। অতি মুল্যবান পোশাক -আশাক দিয়ে তার সারি সারি ওয়্যারড্রব ভর্তি। এসবের জন্য তাকে বলা হয়ে থাকে The best dressed man of the world. তিনি সবসময় ফ্রান্সের ইভিয়ান এর পানি পান করেন। এত এত বিলাসবহূল জীবনযাপনের সন্দেহেই দুদকের সেই তলব ছিল। তবে তারপরও তার রহস্যময় জীবনের রহস্য কেউ উদঘাটন করতে পারেনি। আশা করি আমি আপনাদের একটু হলেও আনন্দ দিতে পেরেছি। সবাইকে ধন্যবাদ।