আসসালামুয়ালাইকুম।
আশাকরি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আগের পোস্টে আমি রোবটিক্স ও হিউমনয়েড নিয়ে কথা বলেছিলাম। আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব তা হল বাংলাদেশে রোবটিক্স নিয়ে গবেষণা।
বাংলাদেশে রোবটিক্স গবেষণা-
রোবটিক্স গবেষণায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে পুরস্কার জেতার মাধ্যমে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ-
২০১২ সালে তৃতীয় বার্ষিক লুনাবোটিক্স কম্পিটিশনে বাংলাদেশ থেকে তিনটি টিম অংশ নেয়- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “চন্দ্রবোট-২” আইইউটি থেকে “লুনাটিয়ান” এবং এমআইএসটি থেকে “রোবোমিস্ট”। মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিশ্বের আটটি দেশ থেকে আসা ৫৫ টি দল। নাসার নিয়মানুযায়ী মাত্র ১৩ টি দল উত্তীর্ণ হতে পারে যার মধ্যে এশিয়ার মধ্যে সেরা এবং সবগুলো দলের মধ্যে ‘চন্দ্রবোট-২’ ১২ তম স্থান দখল করে।
২০১৩ সালের চতুর্থ বার্ষিক লুনাবোটিক্স কম্পিটিশনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয় বুয়েট, চুয়েট, ও এনএসইউ, ব্র্যাক, আইইউটি ও এমআইএসটি এর পৃথক ছয়টি দল। চূড়ান্ত পর্বে এমআইএসটি তিনটি ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ও অন্য একটি ক্যাটাগরিতে বুয়েট তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
তাছাড়াও বাঙালি রোবট তৈরি করে ২০১৩ সালে সারা জাগায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী সাদলি সালাউদ্দিন ও সৌমিন ইসলামের এই রোবটকে বাংলায় ডানে যেতে বললে সেটি ডানে যায়। হাজার হাজার মাইল দূর থেকেও এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মাত্র তিন হাজার টাকায় এই রোবট তৈরি করা সম্ভব বলে জানান সাদলি।
২০১৫ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত International Robotics Challenge (IRC) প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের “আরফাইন্ডার” দল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক রোবটিকস চ্যালেঞ্জ (IRC) প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ শিরোপা অর্জন করে।
পশ্চিমা বিশ্ব রোবট নিয়ে গবেষণায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে অবদান রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিদিনই।
তাহলে আজ এই পর্যন্তই, ইনশাআল্লাহ কথা হবে পরের পোস্টে।
আপনারা সবাই নিরাপদে থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আপনাদের জন্য আমার দোয়া রইল।
আল্লাহ হাফেজ।