Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

বাংলাদেশ ও প্রকৃতিতে সৌন্দর্য্য নিয়ে কবিতা

আপনারা সবাই আছেন তো? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই করে আজ আমি নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করলাম।

আজকের পোষ্টটি আমার নিজস্ব দুইটি কবিতা যা আমি আমাদের এই দেশের নৈসর্গিক রূপ ও তার সৌন্দর্য্যের উপর ভিত্তি করে লিখেছি। কবিতা দুটির নাম বাংলাদেশ ও প্রকৃতিতে সৌন্দর্য্য।

নিচে কবিতা দুটি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগে বাংলাদেশ ও তার অপরূপ রূপ সম্পর্কে একটু বর্ণনা করা হলোঃ

বাংলাদেশ!! অসাধারণ অনন্য সুন্দর যেই দেশ দেখে যে কারোরই মন জুড়িয়ে যায়। আমরা যারা বাংলার এই অপরূপ রূপ উপলব্ধ করছি তারা সকলেই জানি যে, প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের এমন লীলাভূমি পৃথিবীর আর কোথাও আর নেই।

কেননা এখানে কত অসংখ্য ফুল, ফল, পাখি, চিরহরিৎ গুল্ম ও গাছ ছড়িয়ে আছে বিপুল বিচিত্রতায়। আরো কত নদী–নালা, খাল–বিল, পকুর ও ডোবা ছড়িয়ে আছে এদেশের প্রতিটি জনপদ ও লোকালয়ে।

তাছাড়া সারা বছর অনিঃশেষ জলধারা নিয়ে স্রোতস্বিনী কত নদীতে প্রশান্ত জল দেখা যায়। দেখা যায় দূর আকাশে নানান পাখির উড়ে বেড়ানো আর তাদের চঞ্চলতায় বিচিত্র চির–অবিচ্ছেদ্য ছবির রূপ ফুটে উঠে।

তেমনি এদেশের প্রতিটি গ্রামে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী বহু কৃষাণ যারা প্রখর রৌদ্র সত্ত্বেও ক্ষেতে মাঠে কাজ করে সারা বছর ধরে ফসল ফলায়, তাদের বিশীর্ণ মুখ আর ক্ষীণ চোখে কত অব্যক্ত ভাষাই না ব্যক্ত করে থাকে।

বাংলার ভূ–প্রকৃতির মাঝে যখন স্নিগ্ধ বাতাস প্রসারিত হয়, মনে হয় অনুপম এ অনুভূতির মধ্যে প্রকৃতি কি অনবদ্য ও অনপনেয়।

তাই তো লাল–সবুজে মিশে থাকা বাংলার এই মহানুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও উপলব্ধ হয় না। আর আমি সেই উপলব্ধির ভিতরে থেকেই লিখেছি বাংলাদেশ ও প্রকৃতিতে সৌন্দর্য্য নিয়ে দুইটি কবিতা।

আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা এ কবিতাটি পড়বেন তাদের সকলের ভালো লাগবে।

           জ্ঞান

 

বিচিত্র এ বাংলা জুড়িয়ে দেয় মোর সমস্ত মন–প্রাণ;

কারণ, এখানে আছে শ্রুতিমধুর কত বিচিত্র পাখির গান;

আছে সতেজ প্রাতে প্রস্ফুটিত রঙ–বেরঙের ফুল যতো—

মুগ্ধ করে দৃষ্টিনন্দিত হয়ে যেন শুভ্র তুষারের মতো;

এইখানে আছে কত বিচিত্র রকমের গুল্ম ও গাছ,

আছে নদী–নালা, খাল–বিল, পুকুরে অজস্র মাছ।

আছে চৌচির রৌদ্র সহ্য করা শ্রমজীবী বহু কৃষাণ–

যারা ক্ষেত ভরে চাষে বহু লালনকৃত সোনালি ধান।

এইখানে নদী–পথে প্রবাহমান কত দীর্ঘ প্রশান্ত জল;

এইখানে আকাশের পানে উড়ে চলা বহু পাখি চঞ্চল;

এইখানে নির্মল বায়ু বহু প্রসারিত হয়ে বয়ে আসে

নিরবে স্নিগ্ধ কোমলিত হয়ে সবুজ ডাঙ্গা ভরা ঘাসে—

প্রকান্ড বিশ্বে কেবল এইখানে যার রূপের রয়েছে অশেষ,

সে এই বাংলা, সে লাল সবুজের বাংলাদেশ।

 প্রকৃতিতে সৌন্দর্য্য

 

সৌন্দর্য্য জগতের সবখানে অলভ্য,

কারণ জগত হয়েছে সভ্য;

তবে খুঁজিলে সৌন্দর্য্য নয় সংকীর্ণ–

প্রকৃতি নিজ সংকীর্ণতা করেছে বিদীর্ণ।

প্রসারিত হয়েছে সৌন্দর্য্যের অন্তসাঃর,

খুলে গিয়েছে প্রকৃতির বদান্য দ্বার।

প্রকৃতি নতুন রূপে নতুুন সাজে

মাথায় তার গৌরবের তাজে

অনুপম সৌন্দর্য্যপর রাণী,

সৌন্দর্য্যে তার নতশির সমস্ত প্রাণী;

প্রকৃতিতে সৌন্দর্য্য সর্বদা স্থায়ী–

তবে প্রকৃতি নয় পরিযায়ী

সভ্যতার অসম্ভব দ্বারে,

কিংবা তার ঘন কালো আঁধারে।

সভ্যতা কৃত্রিম সৌন্দর্য্যে তৈরিকৃত,

প্রকৃতির সৌন্দর্য্য সভ্যতায় মৃত।

কেমন লাগলো সবার। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করুন। তাইলেই আমি পরবর্তী কবিতা লিখতে উৎসাহিত হব। আজকে এ পর্যন্তই।

ধন্যবাদ।

Related Posts

21 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No