বাস্তবতা মানে এই জগৎ সংসার যাকে ধরা যায়। কথাটা শুনেই হয়তো মনে হলো কি বাংলা সাহিত্যিকের মতো বক বক করছি। কিন্তু না একটু পড়লেই অনেক কিছুই জানবে। বাস্তবতা কখনো মানুষ আর মানুষের মনকে চিনে না। এটি চিনে রাখা চলমান সময় আর প্রকৃতিকে। প্রকৃতি কখনো পরিবর্তন হয় না! পরিবর্তন হয় এর রুপ। একই ভাবে বাস্তবতায় রূপের পরিবর্তন হলেও বাস্তবতার নিজস্ব কোনো পরিবর্তন নেই। যেমনঃ বাস্তবতায় তার রুপ কখনো আলোকোজ্জল আবার কখনো ভয়ংকর গাড় অন্ধকার! তবে বাস্তবতার রুপে পরিবর্তন হলেও বাস্তবতার সংজ্ঞা এবং এর নিয়ম কানুন কখনো পরিবর্তন হয় না। এটা জীবন ও জীবিকার মাঝে মিল বন্ধন টেনে দেয়। যেখানে আপনি চাইলে পাখির মতো উড়ে বেড়াতে পারবেন না। এখানে রুপকথার গল্পের মতো অনেক দূরে ছুটে যেতে পারবেন না, এখানে এমন কোনো উড়ন্ত ঝাড়ু নেই, যেটি ব্যবহার করে যেখানে দরকার উড়ে যাবো। এর কারণ কি জানেন, প্রকৃতি! প্রকৃতি এটা সমর্থন করে না। প্রকৃতিতে মানুষ স্বভাবতই উড়তে জানে না (বিমানে উড়ে যাবো, এটা অন্য ব্যাপার)।
যাই হোক বাস্তবতার সাথে আমাদের কিছুটা পরিচয় দরকার। যেমনঃ আপনি বাস্তবে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার মন চাইলেই হয়ে যেতে পারবেন না। অথবা কোটি কোটি টাকা জাদুর জিনির কাছে আবদার করে নিয়ে নিতে পারেন না। কারণ এদুটির জন্যই প্রয়োজন পরিশ্রম। যেটা বাস্তবতা সমর্থন করে। বাস্তবতার নিয়মে এই রুলটা লিখা আছে যে, যে কেউ চাইলে পরিশ্রম আর মেধার গুণে নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে। আসলে বাস্তব বড় কঠিন! এ কথায় কখনোই বিশ্বাস করবেন না। কেননা মানুষ স্বভাবতই কল্পনা করতে ভালোবাসে, “সে অমুক হবে, এত টাকার মালিক একদিন হবেই ” এ নিয়ে স্বপ্ন আকতে ভালোবাসে। দাড়ান, এ স্বপ্ন দেখছেন ঠিক আছে। কিন্তু বাস্তবতার আংগিনায় ফিরে আসুন। আমাদের মনুষ্য ব্রেইনে কল্পনা করার ব্যবস্থা আছে, ঠিক একইভাবে সেটা প্রকাশ করার জন্য আছে বাস্তবতা। কল্পনার আশক্তিতে পড়লেই বাস্তবতাকে কঠিন মনেই হবে। যেমনটা গেমে আশক্তি আছে কারো কাছে পড়াশুনাকে কঠিন আবার গেমকে সহজই মনে হয়।
তুমি বাস্তবতার রুলস গুলো মেনে চলো, তাহলেই বাস্তবতা তোমাকে মেনে চলবে। রুলস আবার কি? যেমনঃ ধর,কাউকে মারলে সেও একই ভাবে আমাকে মারবে। ব্যক্তিবিশেষে এটা ভিন্ন কেননা কেউ কেউ মার খেয়ে ভয়ে পালায়। বাস্তবতার রুলস গুলোর সাথেও এটার মিল আছে। যেমনঃ যদি আমরা বাস্তবতার রুলস গুলোকে না মানি, বাস্তবতাও আমাকে মানবে না তথা সহায়তা করবে না। আবার কখনো বাস্তবতাকে তোয়াক্কা করলে বাস্তবতায়ই নিঃশ্বেষ হয়ে পালাবে মানে মৃতুয়। সড়ক পাড়াপাড়ে একটা দ্রূতগতির গাড়ি গেলে আমরা হয় সড়ক পাড় হবো না, নইলে পরে পাড় হবো। গাড়ির সাথে তাল মিলিয়ে যদি আমরা সড়ক পাড় করতে যাই তাহলে তো সেটা রুপকথাগল্পের মত এমন হবে না যে, গাড়িটি আমাকে বাচাতে উড়ে যাবে। অথবা গাড়িটি আমার সাথে ধাক্কা খেয়ে উড়ে যাবে,কিন্তু আমার কিছু হবে না। এটা বাস্তবতা। এর নিজস্ব রুলস আছে। যেমনঃ তুমি চলন্ত গাড়ির সাথে ধাক্কা খেলে মারা যাবে। এই মরার সম্ভাবনা গাড়ির গতি এবং ভরের উপর নির্ভর করে।
চলবে…