বাস্তবতাকে আপনি দুঃখ কস্ট, অথবা সুখ-শান্তি দিয়ে পরিমাপ করতে পারবেন না। এটা তার সামান্য উপাদান মাত্র। প্রথমে বুঝতে শিখুন সময়কে। কেননা বাস্তবতা সময়েরই আংশিক রুপ। সৃষ্টিকর্তার তৈরি এ সময় খুবই বৈচিত্রময়। একেক জায়গার সময় একেক রকম। একই ভাবে সেখানকার বাস্তবতাও একেকরকম। যেমনঃ সময় মানুষ ও সকল প্রাণীর ভবিষ্যৎ বয়ে আনে, আবার অতীতকে আগলে রাখে,একই ভাবে বর্তমান সূচকও এই সময়। বর্তমানই বাস্তবতার আরেক নাম। কিন্তু কীভাবে? বাস্তবতায় আমরা সরাসরি সদৃশ করি যেকোনো সম্ভব ঘটনাকে। যেটা দুনিয়ার সাথে সম্পৃক্ত। আবার এ বাস্তবতাই হলো সময়ের একটি উপাদান। মনে রাখবেন, এ কথাগুলো সমগ্র আমার গবেষণা। আর এসব কথার ভিত্তি আমার কাছেই আছে। আমি শুধুমাত্র আমার কথাগুলোর যথার্থতা আপনাদের মাঝে প্রকাশ করছি। সময় একই সাথে চলমান,আবার একই সাথে বর্তমানকে অতীত করে দিচ্ছে। কিন্তু কিভাবে? যেমনঃ ধরুন আপনি ভাত খাচ্ছেন। এখন ভাত খাওয়া শেষ, খাওয়া শেষে পানি পান করছেন। সে ভাত খাওয়া পর্বটি কিন্তু অতীত হয়ে গেল। এরকম প্রতিটি বর্তমান থাকা সেকেন্ড একে একে অতীত হয়ে যাচ্ছে। ধরুন, আপনি এরকম একটা চিন্তা করলেন যে, যতবার শ্বাস নিবেন ততবার তা গুণে রাখবেন। এরকম ১০ পর্যন্ত গুনবেন। ১ নম্বর শ্বাস গুনে নেয়ার পর, ২ নম্বর শ্বাসটা গুনলেন, সাথে সাথে অই ১ নম্বর গুনে রাখা শ্বাস অতীত হয়ে গেল। এখন বাস্তবতা তো অতীত নয়, তাইনা? কাজেই এটা বর্তমান। কিন্তু বর্তমানের কি কোনো ক্ষণস্থায়ীত্ব আছে? মানে বর্তমান কত মিনিট? বা কত সময়? এর উত্তর অসংজ্ঞায়িত। কেননা প্রতি মিলি সেকেন্ড,মাইক্রো সেকেন্ড পার হয়ে গেলেই সেটা অতীত। বর্তমানের স্থায়ীত্ব কিভাবে বলব। বাস্তবতার সাথে সময়ের সম্পর্ক কি আছে, নাকি নেই? এটা নিয়ে আমি নিজেও হতাশ! কমেন্ট করে বলুন বাস্তবতার সাথে সময়ের কোনো রকমের সম্পর্ক আছে কিনা?
যাই হোক আমি বাস্তবতার ব্যাপারেই আবার ফিরে আসি। বাস্তবতা হলো সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত সময়ের একটা আংশিক রুপ। যেমনঃ একেক সময়ের বাস্তবতা একেক রকম। যেমনঃ এখন এ যুগের বাস্তবতায় এটাই দেখি যে, মানুষ শিক্ষার পিছনে দৌড়াচ্ছে। শিক্ষা ছাড়া জীবন অচল। আবার বিশ্বায়নের যুগে মানুষের জীবনমান অনেক উন্নত হয়েছে। আর বলা চলে এটা ইন্টারনেটের যুগ! কিন্তু আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগে মানুষ ইন্টারনেট তাদের বাস্তবতায় দেখতে পেতো না। তাদের কেঊ রুপকথায়ও এটা চিন্তা করতে পারে নি যে সময়কে বা যেকোনো ঘটনাকে ক্যামেরা বন্দি করে সেটা যখন দরকার তখন দেখে নেয়া যায়। যেমনটা আমরা এখন ছবি তুলে বা ভিডিও করে সেটা দেখছি। আবার কয়েক যুগ আগে মানুষ কল্পনা করত, আকাশপথে ভ্রমণ করবে। তখন এটা নিছক কল্পনা ছাড়া কিছুই ছিল না,কেননা তখনকার বাস্তবতায় এটা সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখনকার বাস্তবতায় এটা সম্ভব এবং এটাই বাস্তব। হয়তো রুপকথার গল্পে, ভুল হয়েছে! বলা উচিত ছিল সায়েন্স ফিকশন গল্পে যে অসম্ভব বিষয় দেখছি, যেমনঃ টাইম ট্রাভেল, সেটা এখনকার বাস্তবতায় নেই। কিন্তু ভবিষ্যত বাস্তবতায় থাকতেও পারে। তাহলে সময়ই কি ঠিক করে দেয় বাস্তবতা কেমন হবে? বাস্তবতাকে চিনতে আরো এক ধাপ সহায়তা করবে এ নিয়ে লেখা আমার প্রথম পর্বটি। শীঘ্রই দেখে আসুনঃ বাস্তবতা নিয়ে লেখালেখি। পর্ব ১: বাস্তবতা কি আদৌ কঠিন?
চলবে….