আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন, আজ আমরা এখানে বিজ্ঞান আমাদের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ সেটা সম্পর্কে জানব। মানুষ জাতি আমাদের ভুল হবে সে কারণে আমরা বিজ্ঞানকে অভিশাপ করে তুলেছে কোন কোন ক্ষেত্রে। বিজ্ঞান আমাদের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ সেটা সম্পূর্ণরূপ আমাদের নিজেদের ওপর নির্ভর করে। আমরা বিজ্ঞানকে যেভাবে ব্যবহার করব সেভাবেই আমরা বিজ্ঞানের ফল পাব। আমরা যদি খারাপ কাটে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে তাহলে বিজ্ঞান আমাদের জন্য অভিশাপ’ হবে আর যদি ভাল কাজে বিজ্ঞান ব্যবহার করি তবে সেটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ হবে।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ বিজ্ঞান তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনা করা যায় না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাত্রে ঘুমাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানের প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকছি। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করি এই টুথপেস্ট বিজ্ঞানের আবিষ্কার। আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যখন লাইট অফ করি সেই লাইট ও আবার বিজ্ঞানের আবিষ্কার। সে কারণে বলা হয় আমরা বিজ্ঞানকে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি সে সকালে ঘুম থেকে উঠাতে কে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করে তুলেছে আরো সহজ ও আনন্দময়। বিকানের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অনেক নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছি। যেগুলো আমাদেরকে আমাদের আরও উন্নত জীবনে পদার্পণ করতে শিখিয়েছে। এখন বিজ্ঞান আমাদেরকে পুরো পৃথিবীটাকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। পৃথিবীর এক প্রান্ত কোথায় কি হয়েছে পৃথিবীর অন্য প্রান্ত থেকে অপর মানুষ খুব সহজেই সেটা জানতে পারছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কার এর মধ্যে অন্যতম হলো ইন্টারনেট আবিষ্কার। ইন্টারনেট আবিষ্কারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে কখন কোথায় কি ঘটছে সেটা আমরা খুব সহজে জানতে পারছি এবং সে সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারছি। মানুষের স্বভাব হল অজানাকে জানা ।অচেনাকে চেনা ।আর অজানাকে জানার সবথেকে অন্যতম মাধ্যম হলো ভ্রমণ করা ।আর সেই ভ্রমণ ভ্রমণ ক্ষেত্রেও আমরা বিজ্ঞানের অন্যতম আবিষ্কার যানবাহন ব্যবহার করি। মোবাইল টেলিফোন টেলিভিশন কম্পিউটার বিজ্ঞানের আবিষ্কার । এই সকল বিজ্ঞানের আবিষ্কার আমাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলেছে।
সবকিছুর তেমন ভালো খারাপ দুইটা দিক থাকে তেমনি বিজ্ঞানেরও ভালো-খারাপ দুইটা দিয়ে কাছে বিজ্ঞানের এই সকল ভাল দিক ছাড়াও বেশ কিছু খারাপ দিক রয়েছে যা মানুষের জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ। এটমবোম পারমাণবিক বোমা এইগুলো বিজ্ঞানের আবিষ্কার। এই সকল আবিষ্কার ব্যবহার করা হয় ধ্বংসাত্মক কাজে। সে ক্ষেত্রে এই সকল আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞান আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। আবার এখন ছোটকা বয়স থেকেই দেখা যায় প্রত্যেকটা শিশু মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে এই মোবাইল ফোন ও বিজ্ঞানের অন্যতম আবিষ্কার। এর ফলে তাদের মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
বিজ্ঞান আমাদের জন্য আশীর্বাদ হবে নাকি অভিশাপ হবে সেটা আমাদের পরেই নির্ভর করছে। আমরা যদি বিজ্ঞানকে ভাল কাজে ব্যবহার করি তবে এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আর যদি আমরা বিজ্ঞানকে খারাপ ভাবে ব্যবহার করে তাহলে বিজ্ঞান আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে।
অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
আল্লাহ হাফেজ।