Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আজ ১৬ ডিসেম্বর, এই দিনে বাংলাদেশ পকিস্থানী হানাদার বাহিনী থেকে বিজয় অর্জন করেছিল। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূরান্ত বিজয় অর্জন করেছিল।

আজ সকাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় স্মৃতিসৈাধে মানুষের ভীর দেখা গেছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। সারাদেশেই দিবসটিকে ঘিরে নানান কর্মসূচী পালন করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাঙ্গালী জাতির নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক মুজিবুর রহমানের বাণী বিশেষভাবে স্বরণ  করেন। সারদেশের বিভাগীয় জেলাতে রঙ্গিন  আলোকসজ্জার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজয় দিবস পালন করা হয়। বিভন্ন জায়গাতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লেখা গানগুলো বাজিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়।

স্কুল-কলেজে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও টিফিন বিতরনের মাধ্যমে মুখরিত হয়ে উঠে দিবসটি। এছাড়াও কুচকাওয়াচের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরে পদার্পন করেন। বিজয়ের ৫০ বছরে বাঙালী জাতিকে কঠিন পরিশ্রম ও সংগ্রামের সাথে পার করতে হয়েছে। সারাদেশের সরকারী মুক্তিযোদ্ধা অফিসগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিমশ্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। যারা যুদ্ধকালীন মৃত্যুবরণ করেছে সরকার তাদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মাননা প্রদান করেছে। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা অফিসসহ সমগ্রদেশে বঙালীর মুক্তি সংগ্রামের ৫০ বছর নিয়ে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করেছে। মুক্তি সংগ্রামের বিভিন্ন প্রদর্শন ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্নভাবে স্কুল-কলেজে ফুঁটিয়ে তোলে।

শরীরে কাঁদা মেখে পানির ভেতর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন ভঙ্গিতে মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর মনে স্মরণ করে। ছাত্র-ছাত্রীরা পাকিস্থানের এই নির্মম বর্বরতা কখনই মেনে নিতে পারবে না। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ের নানান কৈাতুহল তাদের সহপাঠীদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে পুনরায় গবেষণা করার মনোবাব তৈরী করেছেন। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তাদের কুশল বিনময় করে।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভুমি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত সমস্ত ইতিহাস তরুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে আমাদের পরবর্তী তরুন-প্রজন্ম গড়ে উঠবে এবং বাংলাদেশকে একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিবে এটাই সাধারণ জনগনের কামনা। রাজধানীতে বিকেলে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংসদ ভবনের সামনে নতুন সোনার বাংলা গড়ার শপথ নেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে এই অঙ্গিকারে আবদ্ধ করেন।

সংসদ ভবনের সামনে হাজার হাজার দেশ-প্রেমী মানুষের স্রোত দেখা যায়। সাধারণ মানুষ ও দেশ-প্রেমী ছাত্র-ছাত্রীদের আশা যে, প্রতিবছর এভাবেই যেন বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস ১৬ ডিসেম্বর উজ্জাপন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশের বিশেষ মঙ্গল কামনা করেন।

Related Posts

10 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No