বিয়ে শব্দটা বলতে বোঝায় দুটো মানুষের এক সাথে নতুন জীবন শুরু করার দিন কে কেন্দ্র করে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিয়ে নিয়ে প্রতিটি মানুষের থাকে বিশেষ ভাবে পরিকল্পনা। আমাদের দেশে বিয়ে ভাবে এক দিনের রাজা একদিনের রানী।
তাই বিয়ের দিনটাতে রব হোক বা বউ সবাই চায় তাকে লাগুক সব থেকে সন্দুর সব থেকে মনরম। কেউ জান তার দিক থেকে চোখ না সরাতে পারে।এর জন্য বিয়ে দিনে কনে সাজানো বিশেষ ভাবে। কিন্তু শুধু সাজলেই হবে না। বিয়ের দিন সব থেকে সুন্দর লাগার জন্য বিয়ে অন্তত ১ মাস আগে থেকে তক, চুলের এবং শরীরের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Ad: সবচেয়ে কম দামে ডোমেইন হোস্টিং কিনুন বাংলাদেশী সাইট mylighthost থেকে
তাই আজ বিয়ে আগে কনের কিছু প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছ্র
১)মুখের যত্নঃ মুখের যত্ন সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । কারন মুখের দিকেই সকলের নজর যায় আগে। তাই মুখের জন্য সবসময় প্রয়োজন একটু বিশেষ প্রয়োজন। এর জন্য প্রথমে বুঝতে হবে তকে কোন প্রকার সমস্যা আছে। তক তৈলাক্ত, শুষ্ক, নাকি মিশ্র এর পর তকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিতে হবে। শীতে তকের শুষ্কতা কমাতে তকের দিকে একটু বেশি খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন।
এর জন্য পাকা কলা,মধু, কমলার রস, মুলতানি মাটি এক সাথে মিসিয়ে এক সাথে লাগিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও
ঘৃতকুমারী, মধু, এবং টক দই মিসিয়ে লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
এই প্যাক গুলোকে ১ ঘন্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তৈলাক্ত তকের জন্য
ব্যাসন, মূলতানি মানি,
হলুদ মিসিয়ে এক সাথে লাগিয়ে রাখতে হবে।
সপ্তাহে এক দিন
এছাড়াওএকটা লেবুর অর্ধেক টা নিয়ে রস বের করে এর সাথে মধু মিসিয়ে লাগাতে হবে।
সপ্তাহে এক দিন
এছাড়াও লেবুর রস, টমেটো এবং টক দই মিসিয়ে লাগাতে হবে।
এটা সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যাবহার করতে হবে।
মিশ্র তকের জন্য তেলভিত্তিক সেরাম কিংবা তেল ব্যাবহার করা যায়।
অনেকের তকে ব্রনের সমস্যা থাকে এর জন্য নিম পাতা এবং হলুদ এর প্যাক ব্যবহার করা যায়।
এছাড়াও তকের বিভিন্ন দাগ দূর করতে কিছু প্যাক ব্যবহার করা যায় এর জন্য দুধ, মধু মিসিয়ে লাগান যেতে পারে। মধুতে সমস্যা থাকলে শুধু দুধ ব্যাবহার করা যেতে পারে। ২টেবিল চামচ টক দই এবং ২ চামচ শসার রস মিসিয়ে লাগান যায়। কাচা হলুদ এবং দুধের সর মিসিয়ে নিলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
এছাড়াও
টমেটোর রস, ব্যাসন এবং মধু মিসিয়ে লাগালে দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ১৫ দিন পর পর একটা কুইক ফেসিয়াল না ডিপ ক্লিনজিং ফেসিয়াল করা ভালো। পার্লারে গিয়ে তকের ধরন এবং সমস্যার কথা বললে পর্লার থেকেই মানান সই ফেসিয়াল করে দেওয়া হয়।
এছাড়াও বিয়ের আগে নিয়মিত তক পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে থেকে এসে প্রথমে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। মুখ ভালো করে পরিষ্কার না রাখলে ও ব্রণ বা আচিল উঠতে পারে।
২)হাতের যত্নঃ বিয়ের সময় কনের দিকে থাকে সবার নজর। চাই কনে কে থাকতে হবে সবার থেকে সুন্দর। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় মুখের তকে উজ্জ্বল কিন্তু হাত পায়ের সাথে বেমানান।তাই শুধু মুখের নয় হাতের ও চাই যত্ন। যাতে মুখের তকের সাথে হাতের তকে বেমানান না লাগে। আমারা অনেক মুখের যত্ন নিলে ও শরীরের অন্যান্য অংশের খেয়াল রাখি না।
এর ফলে বিভিন্ন কারনে হাতে তক অবহেলিত থাকে।
এর জন্য প্রথমে রোদে পোড়া ভাব কমাতে হবে। রোদের পোড়া ভাব কম করার জন্য, অলু, শসা বা টমেটো যে কোন একটির রস বেছে নেওয়া যার। এর পর এর সাথে মধু মিসিয়ে কিন্তু ক্ষন লাগিয়ে রাখতে হবে। এর পর ১ঘন্টা ধুয়ে ফেলতে হবে। এর পর ভালো করে স্ক্রাব করে নিতে হবে। এর জন্য প্রকৃতিক ব্যবহার করা যায় যে গুলো বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে বাড়িতেই। এ ক্ষেত্রে চালের গুড়া, বা চিনির সাথে গোলাপ জল মিসিয়ে হাতের তকে ৫/৭ মিনিট ঘষে নিলেই হবে। এর পর কোন একটা প্যাক লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মধু, ঘৃতকুমারী, হলুদ এক সাথে মিসিয়ে লাগালে পাওয়া যাবে উপকার। এছাড়াও টমেটো এবং লেবুর মিসিয়ে লাগাতে হতে পারে প্যাক হিসেবে।
এছাড়াও তক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
রাতে ঘুমানোর আগে
ময়েশ্চারাইজার ব্যাবহার করতে হবে।
রাতে। ১৫ দিন পর পর ম্যানিকিউর করতে হবে।
৩)পায়ের যত্নঃ হতের মত পায়েত ও নিতে হবে যত্ন।অনেক সময় দেখা যায় পায়ের যত্ন ঠিক মতো নেওয়া হয় না। পায়ের তকতে অবহেলায় রাখা হয়। কিন্তু বিয়েদিন টা থাকে সবার জন্য বিষেশ। তাই সব পায়ের তক যাতে শরীরের অন্য তকের থেকে আলাদা না হয়। তার জন্য বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
সম্ভাব হলে কুসুম গরম পানিতে ২০মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। শুষ্কতা কমাতে খুবই উপকারী। এতে সম্ভাব না হলে সাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে বডি ওয়াশার মিসিয়ে ঘষে পায়ের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে । পেডিকিউর সেটের ব্রাশে তরল সাবান নিয়ে এর মাধ্যমে নকের ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।
বাইরে গেলে মময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে যেতে হবে। অনেকে মনে করে এতে তকে সহজে ময়লা আটাকে যায়। এ ধারণা ভুল এতে ময়লা সরাসরি তকে লাগে না । রোদ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে ।
তককে পরিষ্কার রাখতে হবে। রাতে মময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমাতে হবে। ১৫ দিন পর পর ম্যানিকিউর করতে হবে। তকে এর জন্য পেশাদার এর যাহায্য নেওয়াই ভালো।
৪)ঠোঁটের যত্নঃ ঠোঁটের যত্ন নেওয়া টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঠোঁট যদি দেখতে ভালো না লাগে ত মেকাপ ও মানায় না। এর জন্য ঠোঁটের ও নিয়ে হবে যত্ন। এর জন্য চিনি সাথে মধু মিসিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে ঘষে নিতে হবে ১/২ মিনিট।তার পর লাগাতে হবে একটা প্যাক।এর ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা যেতে পারে দুধ বা মধু। ১ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
৫)চুলের যত্নঃ চুল মানুষের সৌন্দর্যের এবং সব থেকে বড় অংশ। এর জন্য চুলকে অবহেলাতে রেখে নিজের সেরাটা দেখতে লাগা সম্ভাব না। আর এ জন্য তকের সাথে চুলের ও রাখতে হবে খেয়াল। এর জন্য প্রতিদিন মাথার তকে একটা ডিম, মধু, আমলকীর রস এবং মেথি মিসিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে এবং ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এছাড়াও চুলের রুক্ষতা দূর করার জন্য তিনটি ঘৃতকুমারীর পাতার জেল বের করে, এর সাথে টক দই মিসিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে ১ঘন্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেললেই হবে।
আজ এই পর্যন্ত। আশা করি সবার উপকারে আসবে