Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্তির উপায় কি?

সারাবিশ্বে মত বাংলাদেশেও বেকারত্বের সমস্যা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা। যেখানে বেকারত্বকে অভিশাপ হিসেবে ধরা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে জনগণের কাজের চাহিদার তুলনায় কর্মসংস্থান খুবই কম। বাংলাদেশের হিসেব অনুযায়ী একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে প্রায় ১৭-১৮ বছর পড়াশোনা করতে হয়। ১৮ বছরের পড়াশোনার জীবন শেষ করে যখন সে চাকরির জন্য আবেদন করে তখন তার আবেদন পত্রের গুরুত্ব ই থাকে না। কেননা তার অভিজ্ঞতা নেই। তাহলে একটা মানুষ ক্যারিয়ারের ১৮ বছর পড়াশোনার পেছনে খরচ না করে নির্দিষ্ট বিষয়ে কোথাও কোর্স করলেই তো হয়! এত কষ্ট করে লেখাপড়া করার কোন প্রয়োজন ই পরে না সেক্ষেত্রে।

বেকারত্বের হার

বাংলাদেশের প্রায় ৪৪ লাখ তরুণ-তরুণী বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বেকারত্বের হার ৪.৩০%। সবাই উচ্চশিক্ষিত হচ্ছে ভালো একটি চাকরির জন্য কিন্তু যখনি পড়াশোনা শেষে চাকরি পান না। তখনি হতাশায় পরে যান সকলে। কিন্তু কিছু তরুণ-তরুণী আছে যারা কৃষি খাতকে আরো আধুনিক করে দিচ্ছে ভালো চাকরি না পেয়ে। চাকরির অভাবে তারা নিজেরাই কর্মসংস্থান করে নিচ্ছে। কেউ ডেইরি ফার্ম দিয়ে সাবলম্বি হচ্ছে আবার কেউ কোনো কিছু চাষ করে। আমি তাদেরকেই বুদ্ধিমান বলবো। আর যারা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ডুবে থাকে তারাই আসল বোকা।

বেকারত্ব বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিপুল বিপর্যয় বয়ে এনেছে। শিক্ষিত অনেক জনশক্তিও আজ দেশের বোঝা হয়ে আছে। যুবশক্তির অপচয় হচ্ছে বেকারত্বের মধ্য দিয়ে। বাড়ছে আত্মহত্যা সহ নানান সামাজিক অপকর্ম। এর প্রভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে খুব দ্রুত। মাথাপিছু আয় এবং জাতীয় আয় হ্রাসের মূল কারণ হলো বেকারত্ব।

বেকারত্বের অভিশাপ হতে দেশকে মুক্ত করতে কোনো সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি বা পথ নেই। তবে দীর্যস্থায়ী পরিকল্পনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। বেকারত্বের সমস্যার সমাধান পেতে হলে আমাদেরকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন,কুটিরশিল্প ইত্যাদি দিকে নজর দিতে হবে।শুধু বড় বড় চাকরিবাকরির দিকে নজর থাকলে বেকারত্বের সমস্যা কখনোই সমাধান হবে না এদেশে।বাংলাদেশ সরকারের এদিকে নজর দেয়া উচিৎ। যাতে করে বাংলাদেশে বেকারত্বের সংখ্যা কমে যায় এবং দেশের মাথাপিছু এবং জাতীয় আয়ের পরিমাণ বেড়ে; দেশ আরো উন্নত হয়।

বেকারত্বের সমস্যা সমাধান সম্পূর্ণই নির্ভর করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব আর সরকারের সদিচ্ছার উপর। সৎ এবং উদ্দ্যোগী নেতৃত্বই পারে একটা দেশের বেকারত্বের সংখ্যা অনেক আংশে কমিয়ে দিতে। উদ্দ্যোগী নেতৃত্বের কারণেই আমরা সল্প আয়াসে বিপুল পরিমাণ বেকারত্বের বোঝা থেকে মুক্ত হতে পারবো।

Related Posts

3 Comments

Leave a Reply