অনলাইনে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ডলার বা টাকা উপার্জন করার মাধ্যমকে বলা হয় আউটসোর্সিং। আজকাল ছোট বড় সকলের কাছে কমবেশি পরিচিত শব্দ হল আউটসোর্সিং। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,টেলিভিশন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যানে আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয়তা প্রায় সকলেরই কমবেশি জানার কথা। আউটসোর্সিং সৎ পথে টাকা আয়ের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত সর্বজনীন সূত্রে এবং হালাল পেশা হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ। এই দেশের জনসংখ্যা যেমন বেশি ঠিক তেমনিভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ খুবই সীমিত। প্রতি বছর লাখো লাখো শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে চাকরির বাজারে নামে। শুধুমাত্র একটি চাকরি পাওয়ার জন্য কত তরুন যে হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। তাই আমাদের এই শিক্ষিত হতাশাগ্রস্ত তরুণ প্রজন্মের আয়ের একমাত্র উৎস হতে পারে আউটসোসিং।
বাংলাদেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশ তাই এই দেশের চাকরির বাজার খুবই সীমিত। তাই এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে যদি আউটসোর্সিং এর আওতায় আনা যায় তাহলে আমাদের দেশে প্রতি বছর লাখো লাখো টাকা বৈদিশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে তার শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উপর। আমাদের দেশের অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠী বেকারত্বের বেড়াজালে বন্দি।একসকল জনগোষ্ঠীকে যদি পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আউটসোর্সিং শেখানো যায় তাহলে তাদের বেকারত্ব এর গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আউটসোর্সিংয়ের অনলাইনে মার্কেটপ্লেসে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ। যে কেউ তাদের পছন্দের পেশা বেছে নিয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে সাবলম্বি হতে পারে।
বর্তমানে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আউটসোর্সিংয়ের উপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আউটসোর্সিং শেখানোর নাম করে শিক্ষার্থীদের থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী তাই পর্যাপ্ত পরিমান ইচ্ছা থাকা সত্তেয় শুধুমাত্র টাকার অভাবে আউটসোর্সিং শিখতে পারছেনা।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকেরা যদি এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন তাহলে শুধুমাত্র আউটসোর্সিং করে দেশেই আসবে বৈদেশিক মুদ্রা। এইজন্য দরকার শুধুমাত্র সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। সরকারিভাবে যদি সকলকে আউটসোর্সিং শেখানোর ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে দিনশেষে এই সকল তরুনেরা যারা এতদিন চাকরির অভাবে দেশের বোঝা হয়ে উঠেছিল তারাই দিনে দিনে সম্পদ হয়ে দাড়াবে। তাই সরকারের একটু সহযোগিতা বদলে দিতে পারে এই সকল তরুনদের ভাগ্য।
আউটসোর্সিং পারে একটি দেশের বেকারত্ব ঘুচাতে।তাই সকলকে আউটসোর্সিংয়ের প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। আউটসোর্সিংয়ের সম্ভাবনার দুয়ার সকলের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে আউটসোর্সিং এর ভূমিকা তুলে ধরতে হবে। আউটসোর্সিং যে শুধুমাত্র পেশা হিসেবে নিতে পারবেন তা কিন্তু নয়। পড়াশোনার পাশাপাশি ও আয়ের মাধ্যম হিসেবে আউটসোর্সিংয়ের ভূমিকা ব্যাপক।