আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আপনারা সবসময় ভাল থাকেন এটাই কাম্য।আপনারা যেন আরো ভাল ও সুস্থ্য থাকতে পারেন তার জন্যই আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং আপনাদের কিছু ভ্রান্ত ধারনা দূর করব।তাহলে চলুন শুরু করি-
আমাদের প্রায় সবারই বিভিন্ন কাজকর্মে অথবা দৈনন্দিন জীবনে চলার সময় হাতে পায়ে বা শরীরের যেকোনো অংশে আঘাত পেয়ে থাকি।হাতে বা পায়ে বা আংগুলে মোচকা লেগে যেতে পারে বিভিন্ন কারনে।তখন ঐ স্থানে ফুলে যেতে পারে,ব্যথা হয়,মাঝে মাঝে রক্ত জমাট বাধতে পারে।তখন আমাদের ভেতর এই ভ্রান্ত ধারনা আছে যে ঐ স্থানে গরম সেক দিলে ভাল হয়ে যাবে।কিন্তু এই ধারনা টা পুরোপুরি ভুল।আপনারা কখনোই গরম সেক দিতে যাবেন না।আপনাদের ঘরে যদি বরফ থাকে তাহলেই হবে।আর যদি না থাকে তাহলে ফার্মেসি দোকান থেকে আইস প্যাক কিনে নিতে পারেন।এখন আমি জানাবো এই বরফ কিভাবে সঠিক উপায়ে ব্যাবহার করা যাবে।
ব্যাবহারবিধি :
-আপনারা একটা কাপড়ের টুকরা নিবেন।কাপড়ের টুকরা ভাল করে পানিতে ভিজিয়ে খানিকটা চিপে নিবেন।এরপর বরফের টুকরা গুলো কাপড়ে বেধে নিন। দোকান থেকে যদি আইস প্যাক কিনতে পারেন তাহলে এগুলা কিছুই করা লাগবে না।
-এরপর আঘাত পাওয়া স্থানে আস্তে আস্তে ঐ কাপড়ের টুকরা দিয়ে মাসাজ করতে থাকেন। কিন্তু এসবের ভেতরেও কিছু নিয়ম নিতি এবং সর্তকতা রয়েছে।চলুন সেগুলো জেনে নিই।
সর্তকতা :
-আপনারা যদি ভাবেন যে যতক্ষন বরফ ইউস করব তত তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যাবো তাহলে সেটা মারাত্বক ভুল হবে।বরফ সেক দেবার সবচেয়ে ভাল টাইম হচ্ছে ৮-১০ মিনিট। এর বেশি কখনোই দিবেন না।এর বেশি যদি দেন তাহলে ঐ স্থানে ফ্রস্ট বাইট মানে আইস বার্ন হয়ে যাবে।যার ফলে আপনার ঐ স্থানের টিস্যু গুলো পুড়ে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবে।
– কারো যদি হার্টের রোগ থাকে তাহলে বাম হাতে কখনোই বরফের সেক দিতে যাবেন না।
-গলার আশেপাশে বা নিচের সাইডে কখনোই বরফ সেক দিবেন না।
– আরেকটা ব্যাপার জানানো খুবই জরুরি যে পুড়ে যাওয়া স্থানে ভুলেও বরফ বা খুব ঠান্ডা পানি দিবেন না।এতে করে আরো বেশি বার্ন হয়ে যাবে টিস্যু।
আমরা চাই সবসময় আপনারা সুস্থ থাকুন আর সচেতন থাকুন।একটু সচেতনতা বাচাতে পারে আমাদের জীবন।আজ এই পর্যন্তই। এই পোস্ট যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে প্রচুর পরিমাণ শেয়ার করুন যেন অন্যরাও সচেতন হতে পারে।আর যে কোন সমস্যা জানাতে পারেন কমেন্ট এ।আমি একজন ফিজিও, পোস্টের মাধ্যমে সমাধান দেবার চেষ্টা করব।
আল্লাহ হাফেজ।