১। চুইংগাম চিবানোঃ শুনলে হাসি পেলেও এটার কার্যকারিতা শুনলে অবাক হয়ে যাবে এটার অনেক অনেক উপকারিতা রয়েছে। যখন আমরা চুইংগাম চাবায় তখন আমাদের Trigeminal nerve stimulate হয়। এই Trigeminal nerve ব্রেনের সেই জাইগা যা আমাদের ব্রেনের এলার্টনেসকে কন্ট্রোল করে। অর্থাৎ আমরা যত এলার্ট থাকবো আমাদের ব্রেইন যত এলার্ট থাকবে তত দ্রুত গতিতে আমাদের ব্রেইন কাজ করবে। কিছু চিবানোর সময় যখন এলার্টনেস বাড়ে, তখন আমাদের ব্রেইন-এ অনেক বেশি রক্ত পৌছায় অর্থাৎ চুইংগাম আমাদের ব্রেইন পর্যন্ত ব্লাড ফ্লো ইনক্রিস করে। আমাদের মুখ যত কিছু চাবাবে তত রক্ত আমাদের ব্রেইনে পৌছাবে, আর আমাদের ব্রেইন আরও বেশি স্পিডে কাজ করতে শুরু করবে। তার মানে এই নয় যে সারাদিন চুইংগাম চাবিয়েই যাবেন। প্রত্যেক জিনিসের অতিরক্ত কিছু খুব খারাপ তাই দিনে ২ থেকে ৩ বার চুইংগাম চাবানো যেতে পারে। এছাড়াও চুইংগাম আমাদের পাচন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মুখের গঠন আরও সুন্দর করে তুলে।
২। Multitasking মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করা এক্ষেত্রে একবারে শুধু একটি কাজের মনযোগ দিতে হবে। আজকাল অনেকেই এরকমটা করে থাকে যে, এক হাতে মোবাইল ফোন অন্য হাতে পড়ার বই আর কানে হেডফোনে গান এরকম টা করা যাবে না। কারন আমাদের ব্রেইন একসাথে একটি কাজ করার জন্যই তৈরি। আমাদের ফোকাস তখনোই সবচাইতে বেশি থাকে যখন আমরা একটা কাজকেই গুরুত্ব দেই। আমাদের কন্সান্ট্রেশন তখন চরম সিমায় থাকে তাই যখ আমরা কোন কাজ করবো তখন যে কোন একটি কাজের মনোযোগ নিয়ে তা করবো। তাহলে দেখতে পারবেন আপনার কাজটাও অতি সহজে হয়ে যাবে ।
৩। আপনার পরিচিত জনদের মোবাইল নাম্বার মনে রাখার চেষ্টা করুন। এই পদ্ধতিটা অনেক কার্যকরি। আমরা সবাই এখন সেভ করা নাম্বার বের করতে সর্টকার্ট লেটার ব্যবহার করে থাকি বা কনটাক লিষ্টে গিয়ে সহজেই বের করে কাউকে ফোন করে থাকি । কিন্তু এমনটা না করে আমরা সেই নাম্বার গুলো মনে রাখার চেষ্টা করবো যেগুলো আমরা সচরাচর বেশি ব্যবহার করে থাকি। আর এগুলো করলে যেমন আমরা যখন কোন ১১ সংখার অংক মনে রাখি তখন তা আমাদের ব্রেইন কে অনেক এক্টিভ করে রাখতে সাহায্য করে । অনেকেই আছে যাদের মনে রাখার শক্তি ধীরে ধীরে কমতে থাকে যার প্রধানকারন হচ্ছে । তারা তাদের ব্রেইনকে একটিভ রাখতে সাহায্য করে না অর্থাৎ তারা চেষ্টাই করে না কোন কিছু মনে রাখার। যেমন ফোন নাম্বার সেভ করে রাখালাম, কোন ছোটু খাটো অংক করতেও ক্যালকুলেটর ব্যবহার করি। আর এরকম করলে ব্রেইন মেমোরির এক্সারসাইস না হওয়ার ফলে ব্রেইন আস্তে আস্তে অলস হয়ে পরে উদাহরন সরুপ বলা যেতে পারে লোহার কাস্তে ব্যবহার না করার ফলে তাতে যেমন যং ধরে আমাদের ব্রেইনও ঠিক তেমনি হয় । তাই আমি বলবো যত দূর সম্ভব আপনি আজ থেকেই আপনার ফোনে সেভ করা কিছু নাম্বার মনে রাখার চেষ্টা করুন তাতে করে আপনার ব্রেইন পাওয়ার বৃদ্ধি পাবে ।
৪। ডাইরি লিখা অর্থাৎ নিজের কথা লিখা । ইতিহাসে যত জিনিয়াস রয়েছে, যেমন আইনস্টাইন, লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি থেকে শুরু করে বর্তমানের বিলগেষ্ট পর্যন্ত তাদের জীবনের জার্নাল মেনটেন্ট করে থাকেন বা গেছেন। যখন কেও রাতে ঘুমানোর সময় তার সারাদিনের কার্য কলাপ মনে করতে চেষ্টা করে তখন তা তার ব্রেইনকে পুনরুজ্জীবিত করে রিফ্রেশ করে দেয়। যার ফলে তার ব্রেইন এরকম প্রতিদিনের নিয়মত চেষ্টায় অনেক স্ট্রং হয়ে থাকে। আর তখন সে অনেক কিছু অনেক দিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারে। আর এর ফলে ব্রেইন অনেকটা চাপ মুক্ত হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে মানুষিক সস্তি ফিরে আসে। মোট কথা আপনি আপনার ব্রেইনকে যত চর্চার মাধ্যমে একটিভ রাখতে সাহায্য করবেন আপনি আপনার ব্রেইনকে ততই শক্তিশালি করে তুলবেন । আপনার ব্রেইন ততই মনে রাখার শক্তি বৃদ্ধি করবে।