হেই বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন।কয়েকদিন আগে একটি পোস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আয়কারী দশটি সিনেমা সম্পর্কে জেনেছিলাম। যদি পোস্ট টি না পড়ে থাকেন তবে এই লিংক থেকে পড়ে নিন।আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভারতের দশটি সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা সম্পর্কে। বন্ধুরা সারা পৃথিবীতে এক বছরে যতগুলো সিনেমা নির্মিত হয় ভারতবর্ষে তার থেকে বেশি সিনেমা নির্মিত হয়।তাই এই পোস্টে আমি যে দশটি সিমেমা নিয়ে কথা বলব তাতে করে হয়তো কোন সিমেমা বাদ পড়তে পারে।আর এখানে আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে রুপি’কে টাকায় বলব।
চলুন শুরু করা যাক,,
দশ. দশ নাম্বারে আছে রণবীর সিং,দিপীকা পডুকোন,শাহীদ কাপুর অভিনিত পদ্মাবত সিনেমা। সিনেমা টি নির্মিত হয় ২৩৯ কোটি টাকা এবং আয় করে ৬৫২ কোটি টাকা।
নয়. তালিকার নয় নম্বরে আছে সঞ্জয় দত্তের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা সানজু।এই সিনেমা তে অভিনয় করেছেন প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুরের ছেলে রণবীর কাপুর। সিনেমা টি ১১২ কোটি টাকা খরচে নির্মিত হয় এবং আয় করে ৬৫৩ কোটি টাকা।
আট. আট নাম্বারে আছে সালমান খান অভিনিত সুলতান সিনেমা।১৬২ কোটি টাকা খরচে নির্মিত এই সিনেমা ৭০৪ কোটি টাকা আয় করে।
সাত. তালিকার সাত নাম্বারে আছে দক্ষিণী সিনেমা বাহুবলী।২০০ কোটি টাকা খরচে নির্মিত এই সিনেমা টি ৭৬৩ কোটি টাকা আয় করে।
ছয়. ছয় নাম্বারে আছে রজনীকান্ত এবং অক্ষয় কুমার অভিনিত সাইন্স ফিকশন সিনেমা রোবট 2.0, যদিও ৬০৫ কোটি টাকা খরচে নির্মিত এই সিনেমা টি ভারতের সবথেকে ব্যয়বহুল সিনেমা। কিন্তু সিনেমাটি মাত্র ৮১৯ কোটি টাকা আয় করে।
পাঁচ. তালিকার পাঁচ নাম্বারে আছে আমির খানের মাস্টারপিস সিনেমা “পিকে”। মাত্র ৯৪ কোটি টাকা খরচে নির্মিত এই সিনেমা টি ৯৫১ কোটি টাকা আয় করে।
চার. তালিকার চার নাম্বারে আছে আমির খান প্রযোজিত এবং অভিনিত সিনেমা সিক্রেট সুপারস্টার। একটি মুসলিম মেয়ের গায়িকা হওয়ার ইচ্ছে এবং তার পরিবার থেকে বাধা দেওয়ার গল্প নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা টি খরচ হয় মাত্র ১৫ কোটি টাকা এবং সিনেমা টি আয় করে ১০৭৫ কোটি টাকা।
তিন. তালিকার তিন নাম্বারে আছে সালমান খান অভিনিত বাজরাঙী ভাইজান সিনেমা।১০০ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত এই সিনেমা টি ১০৭৮ কোটি টাকা আয় করে।
দুই. তালিকার দুই নাম্বারে আছে বাহুবলী দ্যা কনক্লুয়েশন।২৭৮ কোটি টাকা খরচে নির্মিত এই সিনেমাটি ২০১১ কোটি টাকা আয় করে।
বন্ধুরা এক নাম্বারে যে সিনেমা টি আছে এই সিনেমা টিতে না আছে রোমান্টিক কোন দৃশ্য, না আছে কোন অশ্লীল দৃশ্য আর না আছে কোন অ্যাকশন দৃশ্য। সিনেমা টি ২০১৬ সালে মুক্তি পায়। মাত্র ৫০ কোটি টাকা খরচে নির্মিত এই সিনেমাটি ২১৩০ কোটি টাকা আয় করে।
বন্ধুরা এথেকে বলা যায় যে বাংলাদেশের সালমান শাহ্ যেমন এক কালে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিজে রাজ করেছিলেন ঠিক তেমনি আমির খান ভারতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিজের রাজা।
এবং আগামী দশবছরে হয়তো এই রেকর্ড ভাঙতে পারবেনা।
পোষ্ট টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন,এবং আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।