হাজারটা মনের কাছে যেতে হয়নি আমাকে একজন ইরাতেই বুঝতে পেরেছি কি পরিমাণ প্রেম পৃথিবীতে আছে। ইরার কিছু অবুঝ সিদ্ধান্ত আমাকে মানসিকভাবে যে ধাক্কাটা দিল সেই ধাক্কা খাওয়ার মত শক্তি ও সামর্থ্য আমার ছিলনা। আমার কতটুকু দোষ ও ভুল ছিল এই বিষয়ে তা হয়তোবা একজন পাঠক হিসেবে আপনার বিবেচনা করার দায়িত্ব হয়ে পড়বে। আরজু, শিবলী, টিটু, শেলী, লিমা, জয়নাল আবেদীন, বাবু ও আমি। এই আটজনের বেশী এই বিষয়ে তেমন একটা কেউ জানত না। ঘটনাটি ঠিক এই রকম ঘটেছিল।
😍 একদিন হঠাৎ করে
আরজু —- নুহসিল তোকে নাকি ও পছন্দ করে।
নুহসিল — হা-হা-হা…! আজব তো কোন কথা নাই
বার্তা নাই আচমকা এসে হঠাৎ এটা কি
বললি…?
আরজু — চমৎকার অভিনয় করিস তো তুই…? এমন
ভান করছিস যেন কিছুক্ষণ আগে
আসমান থেকে পড়লি।
নুহসিল —- (একটু সিরিয়াস হয়ে) যাব্বাবা আমি
আবার কিসের ভান করলাম..? আচ্ছা
বলতো শুনি কাহিনী কি..?
আরজু —- যাক তুই যেহেতু শুনতে চাস না বাদ
দিলাম (একটু মজা করে) বলল। আমার আবার প্রচুর কাজ।
চলি মা ডাকছে রে।
নুহসিল —- এত ঢং করছিস কেন…?
ঢং না করে বলে ফেল কি বলবি।
আরজু —- এটা তোদের পছন্দ অপছন্দ নিয়ে কথা।
এতে তো আমার লাভ টাভ নাই। আমার
লাভ হলে না হয় সিরিয়াস হয়ে তোকে
ঘ্যানর ঘ্যানর করে বলে ফেলতাম।
একটা কাজ কর আমার মোবাইলে ৫০
টাকা রিচার্জ করে দে।
নুহসিল —- আল্লাহ..! এ কোন পাগলের পাল্লায়
পড়লাম..! আগা নাই মাথা নাই বলে
রিচার্জ করে দিতাম..!
নুহসিল —- (মনে মনে ভাবছে) এটা তার কোন ফন্দি
নয় তো..? যাক ৫০ টাকাই তো চাইলো
দিয়ে দেখি কি হয়।
একটু পর নুহসিল বললো, আচ্ছা দিব বলে ফেল। উহু…! নারে বাকীতে সম্পর্ক নষ্ট হয়। নগদে প্রদান কর তারপর বলছি। নুহসিল একটু বিরক্ত হয়ে এই নে ধর..!
আরজু —- চাইলাম ৫০ দিচ্ছিস ৫০০ ঘটনা কি রে…??
তুফান শুরু হয়ে গেল নাকি..??
নুহসিল —- না..রে পাগলি আমার এর চাইতে ছোট
নাই এটা রেখে দে। আর তাড়াতাড়ি বল।
আরজু —- বুঝছি বুঝছি তুফান শুরু হয়ে গেছে তোর
ওয়েট কর বলছি।
আরজু নুহসিলের দিকে থাকিয়ে মজা নিচ্ছে আর বলছে, যাক আজ বলবোনা তুই না সেদিন আমাকে বকা দিয়েছিলি আজ তার শোধ নিব। নুহসিল বলল আচ্ছা যা তোকে আর বকবোনা। আরলি বল।
আরজু —- আচ্ছা বলছি শোন..! আজ শিবলী, আমি,
টিটু ও ইরা কলেজ থেকে আসার সময়
বিভিন্ন বিষয়ে
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে হঠাৎ ইরা
বলে উঠল তোকে নাকি তার খুব ভালো
লাগে। তোকে নাকি তার খুব পছন্দ।
নুহসিল —- একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
আচ্ছা বুঝলাম কিন্তু ইরা’টা কে…? তাকে
কি আমি কোনদিন দেখেছি…??
আরজু —- হ্যাঁ… প্রতিদিন আমরা একসাথে কলেজে
যাই। এবং তাকে তুই দেখেছিস। নাম
জানিস না তাই হয়তো ছিনতে পারছিস না।
কাল ভাল করে দেখিস।
আরজু যখন চলে গেল নুহসিল আজব বনে গেল। আর চিন্তা করে আমাকে পছন্দ করে, মেয়েটাকে তো দেখতেই হয়।
যথারীতি পরদিন সকালবেলা রাস্তায় দাঁড়ালাম তখন প্রায় সাড়ে নয়টা বাজে পূর্বদিক হতে এপ্রুন পড়া দুইটা মেয়ে আসতেছে। আমি জানতাম না তারা কারা। তারা যখন আমাকে পাশ কেটে যাচ্ছিল তারা নিচু হয়ে হেঁটে যাচ্ছিল আর হাসছিল। পরক্ষণেই লক্ষ করলাম তাদের থেকে একজন পিছু ফিরে আমার দিকে থাকাচ্ছে আর সামনের দিকে হাঁটতেছে। শিওর হতে পারলামনা এটা কেন করল। ক্লিয়ার হয় তখন যখন দেখি তারা আরজুর সাথে মিট হয়ে একসাথে যাচ্ছে কলেজে। বুঝলাম ওটাই হচ্ছে ইরা।
—————চলবে..