বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।চুল ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমার সবসময় চুলের যত্নে কোন কমতি না করার কারণ হচ্ছে আমরা সবাই সুন্দর ঝলমলে চুল ভালোবাসি।অনেকে সবসময় চুলের যত্ন নেয় আবার কেউ কেউ ব্যস্ততার কারণে ঠিক মত চুলের যত্ন নিতে পারে না।তবে চুলের যত্নে একসট্রাকেয়ার নেয়া প্রয়োজন।আর যদি সেটা করাও সম্ভব না হয় তাহলে চুলকে সুন্দর ও ঝলমলে রাখতে যে জিনিস গুলো করা উচিত নয় বা দৈনন্দিন কাজ যা আমরা সচরাচর করে থাকি তা আমরা সঠিক পদ্ধতি না জেনে ভুল পদ্ধতিতে করি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।চুল অনেক নরম ও খুবই সেনসেটিভ হয় তাই চুলকে প্রয়োজনিয় সম্পদ হিসেবে দেখুন।চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক যে কাজগুলো ভুলেও করা যাবে না আর কিভাবে করতে হবে সেই পদ্ধতিঃ-
১)সবসময় এমন চিরুনি দিয়ে চুল আচড়াবের যে চিরুনির দুই দাঁতের মাঝখানে অনেকখানি ফাঁক থাকে। তাহলে চুলের জট ছাড়ানো সহজ হয় এবং জট থাকলেও চুল চিড়ে যাবে না আর ভাঙবে ও না।আপনি প্যাডেল ব্রাশ বা কাঠের চিরুনি ও ব্যবহার করতে পারেন।
২)চুলে শ্যামপু করার পদ্ধতি না জেনে অনেকে ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করে চুলের ক্ষতি করে পেলেন। শ্যামপু করতে হয় আলতোভাবে ম্যাসাজ করার মাধ্যমে আর শ্যামপু করার সময় মাথা ওপরের দিকে রাখতে হবে। এতে মাথার স্কেল্প এর মধ্যে রক্তের সঞ্চালন প্রক্রিয়া বেড়ে যায়। আর আমরা সবাই জানি রক্ত সঞ্চালন বাড়লে চুল পরা কমে যায়। আমরা যেহেতু ময়লা দূর করতে শ্যামপু করি সেহেতু আমাদের কখনো তাড়াহুড়ো করে শ্যামপু করা উচিত না।
৩)বাইরে গেলে মাথায় বারবার হাত বুলাবেন না।আর যখনই হাত বুলিয়ে নেবেন তখন শুধু ওপরের অংশে হাত বুলিয়ে থেমে যাওয়া বা হাত সরিয়ে নেয়া উচিৎ হবে না। কারণ এতে চুলের নিচের অংশে জট লেগে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই জটে বাইরের ধুলাবালি আটকে যেতে পারে। আর আপনি যেভাবে আপনি চুল সেট করে বাইরে গিয়েছিলেন তা ও নষ্ট হওয়ার চান্স থাকে।
৪)ভেজা অবস্থায় কখনো চুল আঁচড়াবেন না।অনেকেই মনে করে ভেজা চুল আঁচড়ালে শুকানোর পর চুল সোজা থাকে।এটা একেবারে ভুল ধারণা। চুল ভেজা থাকলে চুলের গোড়া নরম থাকে এমন সময় চুল আঁচড়ালে প্রায় ৯০% চুল ছিড়ে যেতে পারে আর শ্যামপু করার সময় ও চুল আঁচড়াবেন না। এই সময় চুলকে হ্যান্ডেল করতে হবে খুবই আলতোভাবে।
৫)চুল আচাড়ানোর সময় নেচের দিক থেকে আচড়াবেন পরে ওপরের দিকে যাবেন কারণ নিচের জট খোলে গেলে চুল ছিড়ার সম্ভবনা কম থাকে। চুলের বেশির ভাগ জট নিচের দিকে থাকে আর ওপরের দিকের চুল ঝরঝরে হয়।
৬)চুলে তেল দিয়ে বাহিরে যাওয়া উচিৎ না।কারণ বাহিরের ধুলাবালি তেলের সাথে লেগে যায় এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আজকের আর লিখছি না।আমি যতটুকু জানি আপনাদের কে জানালাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন আর ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।আল্লাহ হাফেজ।