হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম একটি ভূতের গল্প। গল্পটি একটু বড়, তাই আমি গল্পটি দুইটি পর্বে ভাগ করব। তখন তো চলুন বেশি কথা না বলে গল্পটা শুরু করা যাক।
শ্রাবণ মাস সন্ধ্যাবেলা। এটির করে একটানা বৃষ্টি পড়েই চলেছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল কেটে গিয়ে এখন সন্ধ্যা হয়। বৃষ্টি থামার কোনো নাম নেই। চারিদিকে জল কেমন থই থই করছে। চারিদিকে তেমন মানুষ চোখে পড়ছে না। সারা রাস্তাঘাট জল ভরা, পুরো নিরব, হলেও লাগছে যেন পুরো রাত। এমন সময় অনন্ত বাবু বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে ভিজতে মাথার উপর রেখে, গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে বাড়ির গলি সামনে এল। খলিসানি এসে দেখি গলি ভরা জল। এই জলে নামতে ইচ্ছে না করলেও, নামতে হলো তাকে। জল পার হয়ে অনন্ত বাবুর বাড়ির দরজায় এসে দাঁড়ালেন। দরজায় টোকা দিতেই সঙ্গে সঙ্গে দরজাটি খুলে গেল। দরজাটা খুলল অনন্ত বাবুর মেয়ে মিতু। মিতুর আজ জন্মদিন। অনন্তর জিজ্ঞেস করল মিতুকে, কিরে কেউ আসেনি। মিতু তখন ঘাড় নাড়লো। মুখ টা থমথমে চোখ ভরা জল। অনন্ত বাবু বুঝলো, অনেককে দাওয়াত দিলেও কেউ না আসলে মেয়েটার, মনটা খুব খারাপ।
দিন পনেরো হলো, বাড়িটা কিনেছেন অনন্ত বাবু। বাড়িটা হলো একটি পুরনো বাড়ি। ভয়ানক
বাড়িটির দাম ছিল আমি খুব কম, তাই সুযোগ বুঝে পারিটি কিনে ফেলল অনন্ত বাবু। চিনতে তারে বাড়ি সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না।
অনন্ত বাবু মৃত্যুকে বললেন।মন খারাপ করে কি লাভ,
দুপুর থেকে যে বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট, ভেসে গেছে। আমি আসলাম খুব কষ্ট করে। তাই বোধহয় কেউ আর আসেনি। চল মন খারাপ করে আর লাভ কি বল। কেক কেটে_ছিস। মিঠুন মাথা নাড়লো বলল না। অনন্ত ওগুলো আছে যা তোর মাকে বল সব রেডি করতে। বলতে বলতে অনন্ত বাবু ঘরে চলে গেল। তার নিজের ঘর। তার কুড়ি মিনিট পর, সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলো। তার পরনে সাদা ধুতি পাজামা,পাঞ্জাবী। সেবার বলল কইরে মিতু করছিস সব রেডি। এবার মিতু নয় জবাব দিলো তার মা। অনন্ত বাবুর স্ত্রী, বিজয় দেবী। সে বলল হ্যাঁ সবই রেডি তোমার জন্য অপেক্ষা। পর্দা সরিয়ে অনন্ত বাবু, পাশের ঘরে পা বাড়ালে। ঘরটা অনেক বড়, 20-25 জন অনায়াসে বসতে পারে। সে দেখল ঘরে একটা টেবিলের উপর কেক সাজানো। গুনে দেখেন কেকের উপর 13 মম সাজানো। তার মেয়ে মিতু, এবার 13 বছরে পা দিল। এবার মিতুকে এক ফুঁতে তেরোটি মম। অনন্ত বাবুর ছেলেটি কাছে কাছেই ঘুরছিল। সুযোগ পেয়েছে বলল, কিরে দিদি পারবিতো নেভাতে না পারলে আমাকে বলিস। তার মা বলল, কেন তোকে বলবে দিদি সবগুলো নিজে নিজেই নিভাতে পারবে। কই মিতুয়া এদিকে। মিতু এগিয়ে এলো এবং পুরো শক্তি দিয়ে একটি জোরে ফুঁ দিল। এবং সঙ্গে সঙ্গে মম গুলো সব নিভে গেল। কিন্তু দু সেকেন্ডের মধ্যে আবার সব জ্বলে উঠলো।
“ভয়ঙ্কর বাড়ির কাজ”
অনন্ত বাবু বললো, হয়তো ভালো করে নিবেন। অনন্ত বাবু এবার নিজের জরে ফু দিলে। সঙ্গে সঙ্গে নিভে গেল। কিছুক্ষণ পর সে আবার আগের মত সব জ্বলে উঠলো। দেখে চমকে গেল। সবার মধ্যে ভয় জেগে গেছে। অনন্ত বাবুর স্ত্রী বলল না আমার আর ভাল লাগছে না তারচে তুমি জল ছিটিয়ে ওগুলো নিভিয়ে ফেলো। অনন্ত বাবু বললো আচ্ছা আরেকবার চেষ্টা করে দেখি। অনন্ত বাবু আবার কয়েকবার চেষ্টা করল কিন্তু সেই একই কাজ। এসব দেখে সবাই ডরে অনেক আতঙ্কিত হয়ে গেল। তারামন ছাড়া কেক কেটে খেয়ে ফেলল। রাতে আর কিছু ঘটলো না।
ঘটনা ঘটলো পরের রাতে।
তো বন্ধুরা আমাদের প্রথম পর্ব এখানেই শেষ হলো দ্বিতীয় পর্বটি। পর্ব সিলেক্ট হাউ আর সাথে সাথে সাথেই দিয়ে দিব।
ভাল থাকবেন সবাই।