হ্যালো বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভলোই আছেন। আজ আমি আপনাদের একটি ভৌতিক গল্প শোনাতে জাচ্ছি। যা আমার নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু ভয়ানক মুহূর্ত। তো, শ চলুন শুরু করি আজকের ভূতের গল্পটি।
এই সত্যিকারের ভূতের আবির্ভাব ঘটে আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে বকুলতলা গ্রামে। এখানে আমার মামার বাড়ি। তো কলেজের ছুটি পড়ে গেছিল সে সময় ১২ দিন যাবৎ। এই দিনগুলোতে কি করবো খুজে পাচ্ছিলাম না। বাড়িতে এসে মাকে ছুটির কথা বললে মা বলে উঠলো, ” আচ্ছা বাবা এদিনগুলো তোর মামার বাড়িতে কাটালে কেমন হয়?” এই কথা বলতেই ডিসিশন নিলাম এ ছুটিটা মামার বাড়িতে কাঁটাবো।
মাকে বললাম, হ্যাঁ ঠিক বলেছ, ” এতে একটু রিল্যাক্সবোধ করতাম” এবার মা বললো,” আচ্ছা তো আজই বেরিয়ে পড়,বোধহয় সকালে পৌঁছে যাবি।” আমি বললাম, ” ওকে মা তৈরী হয়ে নিচ্ছি। ” এখানে আমার গোজগাজ হয়ে গেলে, সাড়ে ৭ টা নাগাদ ট্রেন ধোরে ফেললাম। এবার ৮ নাগাদ ট্রেন ছেড়ে দিল। ট্রেনে বেশ ভালোই লাগছিল। বাইরের মনোমুগ্ধকর হাওয়া ঘুমিয়ে পড়লাম। এবার ৭ টায় ট্রেন বকুলতলায় পৌঁছালো।
গ্রামটা একটু পুরোনো হলেও এখানকার পরিবেশ অনেকটা নিরিবিলি। যা আমার খুব ভালো লাগতো। এবার ট্রেন থেকে নেমে উটকো কে যেন আমার ব্যাগটা টেনে নিয়ে বলে উঠলো, ” কই যাবেন সাহেব, আমি আপনাকে পৌছে দেব” আমি একটু রগী হয়ে বললাম,” আরে মসাই এটা কোন ধরনের অসভ্যতা, বলা নেই কওয়া নেই, আমার ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করছেন।
এবার একটু নিজেকে রিল্যাকস্ করে বললাম, ” তোমার নাম কি?” এবার ট্যাক্সিওয়ালা বললো, ” আগ্গে বাবু আমার নাম আব্বাস মিয়া। এখানেই থাকি।” এবার লোকটার সাথে একটু ভাব হলো। আমি বললাম, ” বকুলতলা গ্রামে নিয়ে যেতে পারবেন।” এবার সে একটু আতঙ্কবোধ করলো।
বললাম, ” আরে চাচা ঘামছেন কেন?, কি হয়েছে?” এবার সে অদ্ভূতভাবে বললো,” আরে সাহেব সেখানে গিয়ে প্রাণ হারতে চান নাকি? ” আমি বললাম,” কেন কি সমস্যা?” সে একটু নার্ভাস হয়ে বললো, ” না থাক আপনার জেনে কাজ নেই, চলুন আপনাকে পৌঁছে দিই।” এবার আমি কিছু না বলে টাক্সিতে বসে পড়লাম। অবশেষে, মামাবাড়ি পৌঁছালাম। বাসায় ঢুকে দেখলাম মামা সোফায় বসে খবরের কাগজ পড়ছে।
একটু এক পা এগোলেই মামা সোফা থেকে উঠে বললো,” আরে আপন, এসো ভিতরে এসো।” এবার আমি মামার পাশে বসলে মামা বলেন” কেমন আছো বাবা, বাসার সবাই কেমন আছে? এবার আমি বললাম, ” হ্যা সবাই ভলো আছে মামা।” আচ্ছা তোমার শরীর কেমন আছে? ” মমা বললো শরীরটা এখন বোধহয় ভালোই আছে?” এবার মামী রন্না ঘর থেকে আসলে বলেন,” আরে আপন কখন আসলি?” আমি বললাম,” এইতো একটু আগে,”।
এবার মামী বললো ” কতদিন তোকে দেখিনা, আজ আসার সময় হলো তোর।, এবার মামী আবেগপূর্ণ হয়ে পড়লে মামা বললো,” এসব পরে হবে আগে ওকে একটু বিশ্রাম করতে দাও,” এবার এ বাড়ির দেখশোনকারী রামুকাকা বললো, ” এসো বাবা তোমার রুম দেখিয়ে দিই,” এবার, আমি বললাম,” এসব পরে হবে, মমা রাতুল কোথায়? মামা বললো,” ও একটু বাজারে গেছে, বোধহয় একটু পরে ফিরবে!
এরপর আমি রামুকাকাকে নিয়ে রুমে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে জানালায় গিয়ে চারপাশটা দেখতে গিয়ে দেখি একটি মেয়ে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভাবলাম বোধায় সেও মনে হয় আমার মতো নিরিবিলি প্রকৃতির মানুষ। এবার দেখি, সে আমার দিকে চেয়ে হাসছে।,, চারদিকে কোনো লোক দেখলাম না। মনে হলো সে আমাকে দেখেই হাসছে। এবার ভাবলাম আরে আমি তো এখানে বেশি একটা আসি না, তবে এই মেয়েটি আমাকে চিনলো কিভাবে?
এ কথা জানতে নিচে নেমে এসে দেখলাম সেখানে কোনো মেয়ে ছিল না। আমি একটু ঘাবরে গেলাম। তখনি রাতুল পিছনে এসে চমকে দিল। বললো,” আরে আপন ভাই কখন আসলে? ” আমি বললাম,” এইতো কিছুক্ষণ আগে “। এবার, তাকে মেয়েটির সম্বন্ধে বললে আমতা আমতা করে,। বললো, “কোওন মেয়ে,? আমি বললাম,” এইতো ঘর থেকে ভালোই দেখা যাচ্ছিল তাকে, আর এখন দেখি এখানে কেউ নেই!”
এবার রাতুল একটু ভীতু হয়ে বললো, ” ও তোমার ভুল হবে, চলো তো তুমি? ” এবার আমি একটু আশ্যর্য্য হয়ে বললাম, ” কিরে ভূত নাকি? ” এবার রাতুল ঘাবরে গেল, বোধহয় ভয় পেয়েছে! এবার দুজনে বাসায় গেলাম। কিছুক্ষণ পরে মামীর ডাক পড়লো। এবার নিচে গিয়ে ডিনার করে নিলাম। তারপর সবাই গল্পে মিলিয়ে গেলাম। মামা খুব মজার ব্যক্তি ছিলেন। সবাই এতটা এসেছি । যেখানে আমি কখনো এতটা হাসি নি।
এবার ঘুমাতে গেলাম, ঘুমানোর আগে একটু জানালা খুলতেই দেখি সেই মেয়েটি আবার আমাকে দেখে পিছন ফিরে হাসছে আর এগিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রের দিকে। এটা দেখে আমিও হাটা লাগালাম সমুদ্রের দিকে। এবার একটু এগিয়ে গিয়ে দেখলাম মেয়েটি সমুদ্রের উপকূলে বসে আমার দিকে চেয়ে আছে। আমি জীবনে এত সুন্দরী মেয়ে কখনো দেখিনি। তারপর, একটু আমতা আমতা করে বললাম,” কে আপনি? ” কোনো সাড়া না দিয়ে সে ইশারায় আমাকে তার কাছে ডাকছিল।
আমি একটু সংকোচবোধ করে এগিয়ে গিয়ে তার পাশে বসলাম। জীবনে এত সুন্দরী মেয়ে আমি দেখিনি, তাই একটু সংকোচ করে বললাম,” আপনি এখানে এত রাতে কি করছেন? ” সে সে এবার মোটা গলায় বলে উঠলো,” রাতে ঘুম আসছিলো না! তাই একটু সমুদ্রের ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে এলাম।
আচ্ছা আপনি তো রসিদ মামার বাসায় এসেছেন তাই না। ” আমি বললাম, ” হ্যাঁ, কিন্তু আপনি কিকরে জানলেন?। কেন উনি কি শুধু তোমার মামা হন? আমার হতে পারে না? আমি বললাম, ” কি রসিদ মামা আপনারও মামা হন? কই কখনো শুনিনি তো! ” এবার আমি তার সাথে অনেকটা ফ্রীভাবে কথা বলতে লাগলাম।