তখন আমি অষ্টম শ্রেণীতে লেখা পড়া করি। শিতের সময় আমাদের অঞ্চলে বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা, কলেজে তাফসিরুল কুরআন মাহাফিল হয়ে থাকে। কেও কেও এই অনুস্টান কে শোভা বা ওয়াজ মাহা ফিল বলে থাকে। ছোট বেলা থেকেই আমার ওয়াজ মাহফিল শুন্তে ভাল লাগে।
আমাদের স্কুল মাঠে প্রতিষ্ঠান বছর ৫ দিন ব্যাপি তাপসিরুল কুরআনের মাহাফিল হয়ে থাকে। এবারও মাহাফিল শুরু হয়েছে।। আমাদের গ্রাম থেকে স্কুলের দুরুত্য প্রায় ৩ কিলোমিটার। কালি নদীর ধার ঘেসে , ঘন গাছ পালা আর বাগানের মধ্যেই দিয়ে, আকা বাকা কাচা রাস্তা টিই যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
গত কাল প্রতি বেশি বন্ধুদের সাথে গিয়ে শোভা শুনে এসেছি। আজকে ও সবার যাবার কথা রয়েছে। এসার নামাজ শেসে সবাই এক সাথে জাবার কথা। সেদিনের মাহাফিলে আমার প্রিয় বক্তা থাকায়, আমি সসন্ধার সময় একা একা মাহাফিলে চলে যায়। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত ১ টা প্রজন্ত মাহাফিল চলে।
মাহাফিল শেষ হবার আগ মুহুর্তে আমি মাহাফিল থেকে বেরিয়ে, রাস্তার সামনে এসে দারায়।
আমি আমার গ্রামের বন্ধু দের খুজতে থাকি। একে একে শত শত লোক জেতে থাকে আমি আমার বন্ধু বা গ্রামের লোক খুজতে থাকি। কিন্তু কাও কে খুঁজে পায় না।
ততোক্ষনে মাহাফিলের সমস্ত লোক চলে গেছে। আমি কাও কে খুঁজে না পেয়ে , অন্য পথিক দের সাথে বারির দিকে আসতে থাকি। আমাদের গ্রামের পাসের গ্রাম প্রজন্ত অন্য পথিক দের সাথে আসলাম।
এখন আমি একা, অন্য সবাই নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে। আমি আস্তে আস্তে এগতে থাকি। আমাদের গ্রাম আর পাশের গ্রামের মাঝ খানে বিশাল বড় বাশের বাগান। আসে পাসে কোন বাড়িগ ঘর নাই। দিনের বালাতেও বাগানের মধ্যে অন্ধকার হয়ে থাকে। খুব বেসি প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলায় ও বাগানের মধ্যে কেও আসে না।
বাগান কে ঘিরে রয়েছে নানান রকম ভয়ংকর লোমহর্ষক ঘটনা। এই তো কয় এক দিন আগের কথা, বাগানের মালিক কালু মোল্লার নাতি ছেলে সজিব(মেয়ের ছেলে) , কুরবানী ঈদের রান্না করা মাংস নিয়ে তার নানা বারিতে জাচ্ছিল। বাগান থেকে অল্প কিছু দুরেই তার নানা বাড়ি। পথের মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে আসে। সজিব বাগানার মধ্যে পৌছতেই একটা সাদা কাপড় পরা মহিলা তার দিকে এগিয়ে আসে। সে ভয়ে ভয়ে সাইকেল চালতে থাকে।
সে কাছাকাছি আসতেই মহিলা ক্ষিন কন্ঠে বলে, এই কই যাচ্ছিস, আমাকে গোস্ত দিয়ে যা। শাহিন খুব ভয়পেয়ে জরে চিতকার করে ওঠে। সেই মহিলা তার বিশাল হাত দিয়ে, শাহিন কে সাইকেল শহো উরিয়ে নিয়ে জাবার চেষ্টা করে।
শাহিন পাশের একটা কাঠাল গাছ( বিদ্যুৎ এর পিলারের মতো মোটা) জরিয়ে ধরে। মহিলা শাহিন কে উরিয়ে নিয়ে জেতে ব্যারথ হয়ে, কাঠাল গাছ উপরে, শাহিনের গায়ের উপর চাপা দিয়ে চলে যায়। শাহীন এর নানা চিতকারে শব্দ শুনে, লাইট নিয়ে এগিয়ে এসে, তার নাতি ছেলে কে এ-ই অবস্তায় দেখতে পায়। সে লোকজন ডাকা ডাকি করে শাহীন কে গাছের নিচে থেকে বের করে।
শাহীন কে অজ্ঞান অবস্থায় ধরা ধরি করে বারি নিয়ে যায়।
সেই কাঠাল গাছ খানা এখনো সেখানে উপরে পরে আছে।
আমি আস্তে আস্তে বাগানের কাছে চলে আসি।
কিন্তু ভয়ে বাগানের মধ্যে ডুকতে পারিনা। ভয়ে সারা শরীরের লোম খারা হয়ে গেছে।
পা থেক সেন্ডেল খুলে হাতে নিলাম। মনে সাহস সঞ্চআর করে, দিরঘ এক নিশশাস নিয়ে, চোখ বন্ধ করে দোর দিলাম। গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে দোরাতে থাকলাম, জেন ভুত আমাকে ধরতে না পারে।
এক দোরে মাঠ পারি দিয়ে একটা বারির পাসে গিয়ে দারালাম। আমার পায়ের শব্দে কুকুর ঘেও ঘেও করে ডাক্তে ডাক্তে বেরিয়ে এল, আমি ভাব খারাপ দেখে আস্তে আস্তে হাটা শুরু করলাম। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি, এখন আর খুব একটা ভয় নেয়। রাস্তা পাস দিয়ে অনেক বারি ঘর। আমি আস্তে আস্তে বারির দিকে এগিয়ে যেতে থাকি। হঠাৎ একটা শব্দ আতকে উঠি, দারিয়ে দেখার চেস্টা করি। পরে বুজতে পারলাম এটা একটা চাম বাদুড়।