“নেকলেস “
মূলঃ গী দ্যা মোপাসা
অনুবাদঃ পূর্ণেন্দু দস্তিদার
“ হ্যা , আমরা যখন বিশ্রামকক্ষ দিয়ে বেরিয়ে আসছিলাম , তখনও তা ছিল আমার খেয়াল আছে । ‘ “ কিন্তু তুমি যদি ওটা রাস্তায় হারাতে , ওটা পড়বার শব্দ আমাদের শােনা উচিত ছিল । গাড়ির মধ্যেই নিশ্চয়ই । পড়েছে মনে হয় । ‘ “ হ্যা , সম্ভবত তাই । তুমি গাড়ির নম্বরটি টুকে নিয়েছিলে ? ‘ না । আর তুমি কি তা লক্ষ করেছিলে ? ‘ হতাশভাবে তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে । শেষ পর্যন্ত ললাইসেল আবার পােশাক পরে নিল । সে বলল , ‘ আমি যাচ্ছি । দেখি যতটা রাস্তা আমরা হেঁটেছিলাম , সেখানে খুঁজে পাওয়া যায় কিনা । ‘ তারপর সে গেল । মেয়েটি তার সান্ধ্য গাউন পরেই রয়ে গেল । বিছানায় শুতে যাবার শক্তি তার নেই । কোনাে উচ্চাশা ৰা ভাবনা ছাড়াই সে একখানা চেয়ারে গা এলিয়ে পড়ে রইল । সকাল সাতটার দিকে তার স্বামী ফিরে এল । কিছুই সে খুঁজে পায়নি । সে পুলিসের কাছে ও গাড়ির আপিসে গিয়েছিল এবং পুরস্কার ঘােষণা করে একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে এসেছে । সে যথাসাধ্য করে এসেছে বলে তাদের মনে কিছুটা আশা হলাে । ঐ ভয়ানক বিপর্যয়ে মেয়েটি সারাদিন এক বিভ্রান্ত অবস্থায় কাটাল । সন্ধ্যাবেলা যখন লােইসেল ফিরে এল তখন । | তার মুখে যন্ত্রণার মলিন ছাপ , কিছুই সে খুঁজে পায়নি । সে বলল , তােমার বান্ধবীকে লিখে দিতে হবে যে হারখানার আংটা তুমি ভেঙে ফেলেছ , তাই তা তুমি মেরামত করতে দিয়েছ । তাতে আমরা ভেবে দেখবার সময় পাব । । তার নির্দেশমত মেয়েটি লিখে দিল ।
চলবে…..