আসসালামু ওয়ালাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়। মনের মানুষের সাথে যখন বিয়ে হয়…..
পৃথিবীতে সেই সব চাইতে সুখি যে একটা পারফেক্ট জীবন সাথী পেয়েছে। সব মানুষ এমন ভাগ্য নিয়ে জন্মায় না খুব সংখ্যা লঘু মনের মত জীবন সাথী পেয়ে থাকে। জীবনে চলার পথে যে মানুষ টা আপনার প্রেরনা সেই যদি আপনাকে না বোঝে তাহলে আপনি সবচেয়ে বেশি অসহায়।
জীবন টাকে সুন্দর করতে টাকা পয়সা, ধন সম্পদ এগুলো হয়তো আপনার শারীরিক চাহিদা মেটায় কিন্তু মনের চাহিদা একজন মনের মতো জীবন সাথীই মেটাতে পারে। জীবনে চরম মূহর্তে যে মানুষ টা আপনার পাশে থেকে আপনার অনুপ্রেরনা আপনার সুখের দিনের সাথী হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কেউ একা ভালো ভাবে বাঁচতে পারে না জীবন টাকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন একজন কেয়ারিং জীবন সাথী।
যে আপনাকে আপনার মতো করে বুঝবে,আপনার ভালো লাগা খারাপ লাগা গুলো নিয়ে চিন্তিত থাকবে, আপনার দুঃখে সমান ভাবে দুঃখী হবে, চারি দিকে যখন আপনাকে হতাশা ঘিরে ধরবে তখন ওই মানুষটাই আপনাকে নতুন করে বাঁচতে শেখাবে।
আপনার ছোট ছোট আবদার গুলোকে কে যে ভালোবেসে পুরোন করবে তাকে পেলই আপনি সুখি। জীবন সাথী খুজতে হলে তার সৌন্দর্য টাকে খোজা তবে সেটা মনে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত সৌন্দর্য। যে মনের সৌন্দর্যের চেয়ে বাহিরের সৌন্দর্য প্রাধান্য দেয় সেই জীবনের খেলায় ঠকেছে।
বাহিরের সৌন্দর্য সুন্দর হলেই যে খারাপ হবে এমন নয় একজন মানুষ কালো হলেই যে সে ভালো মনের পারফেক্ট জীবন সাথী এমন টা নয় আবার বাহ্যিক চেহারা সাদা হলেই যে খারাপ মনের জীবন সাথী তাও নয়।যার মন মানসিকতা দৃষ্টি ভংগী সুন্দর সেই আসল সুন্দর। মনের মত জীবন সাথী না পেলে ছেলেরা যতটা অসহায় তার চেয়ে বহু গুন বেশি অসহায় হয় একটা মেয়ে।
আপনার জীবন সাথীর সাথে আপনার সম্পর্ক হওয়া উচিত হাত ও চোখের মত, হাত যখন ব্যাথা পায় তখন তার কষ্টটাকে কমানোর জন্য চোখতার অশ্রু ঝরায়,আবার চোখ যখন অশ্রু চলে নিজেকে ভাষায় তখন হাতিই সবার আগে তার অশ্রু মুছে দেয়।সারাদিনে কষ্ট গুলো হতাশা গুলো যার ভালোবাসার কাছে হার মানে সেই হলো আপনার জীবন সাথী।
স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে ছোট ছোট জিনিস গুলো ভালো বাসা বৃদ্ধি করে যেমন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আপনার স্ত্রীর কপালে একটা ভালো বাসার ছোয়া দিন এটা আপনার সম্পর্কে আরো মজবুত করবে, তার সাথে একি থালায় খাবার খান, মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে ঘুরতে যান।
এগুলো হলো সম্পর্কের ভিত্তি যা আপনার সাথে আপনার জীবন সাথীর সম্পর্ক টাকে আরো শক্তিশালী করবে।কাজের ফাকে যে সময়টুকু পাবেন তা আপনার জীবন সাথী কে দিন এতে আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধা বাড়বে।আপনার জীবন সাথী কে কখনো অন্যের সামনে ছোট করবেন না কারণ মানুষ যাকে ভালোবাসে তার করা অপমান গুলো বেশি কাদায়।
মাঝে মাঝে তাকে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু উপহার দিন ভালোবাসার মানুষের দেয়া ছোট জিনিস গুলোই অনেক মূল্যবান হয়ে থাকে। আপনার উপর রেগে বা অভিমান করে থাকলে তা ভাঙান কারণ রাগ অভিমান এগুলো সব চেয়ে কাছের মানুষের উপরি হয়। বাড়িতে ফেরার সময় আপনার জীবন সাথীর জন্য আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু নিয়ে যান এটা রাগ অভিমান ভাংতে ঔষুধ হিসেবে কাজ করে।