সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আজ আরও একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মুখোমুখি হলাম। আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আমরা সবাই উপকৃত হব ও আমাদের মানবতার দ্বারাই গড়ে উঠবে এই মানব সভ্যতা। পৃথিবীর এই বর্তমান মানব সভ্যতা গড়ে উঠতে অনেক সময় লেগেছে। পৃথিবীর সৃষ্টির পর থেকে মানুষই শুধুমাত্র তার মস্তিষ্কের যথাযথ অনুশীলন এবং বিকাশ ঘটিয়ে আধুনিক মানব সভ্যতা আমাদেরকে উপহার দিয়েছে। “মানব সভ্যতা” শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে – মানবীয় কিছু গুণ দ্বারা যে ‘সভ্যতার’ ক্রমবিকাশ ঘটে বা গড়ে ওঠে তাকে বলা হয় মানব সভ্যতা।
পৃথিবীতে জীবন ধারনের যাবতীয় জীবন উকরণের সিংহভাগই এসেছে প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে, বাকী গুলো মানুষ নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সহজবোধ্য ভাবে তৈরি করে নিয়েছে। সহজবোধ্য কাজটি করতে মানুষকে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর পুরোপরি নির্ভরশীল হতে হয়েছে। অর্থা প্রকৃতি থেকে অর্জিত শিক্ষা কে কাজে লাগিয়ে মানব সভ্যতার ক্রম বর্ধমান বিকাশ তরান্বিত হয়েছ।
মানুষই পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী যারা সভ্য সমাজে বসবাস করার যোগ্যতা রাখে।মানুষ মহান সৃষ্টিকর্তার এক যুগান্তকারী সৃষ্টি। মানুষই পারে এই মানব সভ্যতাকে সঠিক পথের দিশা দিতে, মানুষই পারে মানব সভ্যতার অস্তিত্বকে পরবর্তী প্রজন্মে সঠিকরূপে পরিচয় করে দিতে বা চিহ্নিত করে দিতে।
মানুষ তার মানবিক গুণাবলী বা মানবতাকে ঊর্ধ্বে রেখে যদি এই সভ্যতাক গড়ে তুলতে পারে তাহলে সেই সভ্যতাই হয়ে উঠবে মানব সভ্যতা। পৃথিবীতে মানুষের কোন অভাব নাই কিন্তু মানবতার বড়ই অভাব, পৃথিবীতে সভ্যতার কোন অভাব নেই কিন্তু সভ্য মানুষের বড়ই অভাব, পৃথিবীতে অর্থ প্রাচুর্যের অভাব নাই কিন্তু পৃথিবীতে আর্থিক উন্নতির অভাব।
মানুষ দিকে দিকে তার স্বীয় জ্ঞানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে এই পৃথিবীকে সুবিশাল স্বর্গে বিস্তৃত করেছে। এমন এক সময় ছিল এই পৃথিবী মানুষের বসবাসযোগ্য ছিল না। মানুষই তার মস্তিষ্কের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগ ঘটিয়ে এই পৃথিবী কে ‘বসবাসযোগ্য’ পৃথিবীতে পরিণত করেছে। পৃথিবীকে আবাসস্থলে পরিণত করেছে। মানুষই পারে তার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটিয়ে, তার বিবেকের সঠিক প্রয়োগ ঘটিয়ে মানবসভ্যতাকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে।
প্রত্যেক মানুষ যেমন নিজের ভালো কে ভালো মনে করে ঠিক তেমনি যদি অন্য মানুষের ভালোটা কে আমি নিজের ভালোর মতো মনে করতে পারি সেক্ষেত্রে মানবসভ্যতা উন্নত হবে। মানসিক দক্ষতা, মানবিক শৃঙ্খলা এবং মানবিক মূল্যবোধ উন্নত হবে, জাগ্রত হবে স্বর্গীয় আকুলতা। মানুষের ভিতরে নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষ তার স্বীয় বৈশিষ্ট্য মানবকল্যাণে প্রয়োগ করতে পারেনা।
নৈতিক শিক্ষা মানুষকে অনৈতিক কাজ কর্ম থেকে বিরত রাখে। নৈতিক শিক্ষা মানুষকে সজাগ মস্তিষ্ক দান করে। এই শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ অসাধ্যকেও সাধন করতে পারে। নীতি-নৈতিকতার যথাযথ অনুসরণ আমাদের এই মানব সভ্যতাকে সঞ্জীবিত শক্তি দান করে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবে। মানুষ তার মানবীয় গুনাবলীর সঠিক প্রয়োগ যদি না করে এমন একদিন আসবে এই মানবসভ্যতা অমানুষের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এজন্য আসুন সত্যনিষ্ঠ,ন্যায়নিষ্ঠ জীবন গড়ুন। দুর্নীতি বা দুর্ব্যবহার পরিত্যাগ করে সুনীতি বা সদ্ব্যবহার কে আঁকড়ে ধরি তাহলে আমাদের জীবন সুন্দর হবে। আমাদের জীবন অন্যদের জন্য অনুকরণীয় অনুসরনীয় আদর্শ হবে।
আসুন আমরা সবাই আসন্ন প্রজন্মের জন্য মানবিক শিক্ষক হয় তাহলেই এই মানবসভ্যতা সঠিকভাবে পরিচালিত করা সম্ভব হবে।
আমরা মহান স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করতে পারব।
আল্লাহ্ হাফেজ