★রমজানে কোনো মেয়ে যদি বলে রোজা রাখে নি।তাহলে মূর্খের মতো তাকে জিজ্ঞেস করবেন না,সে কেনো রোজা রাখে নি?
বুঝে নিবেন তাকে মহান আল্লাহ তাআলা সাময়িক ছুটি দিয়েছেন।আর অসভ্যর মতো কখনোই বলবেন না,আপনার কি এটা হয়েছে যেটা প্রতিমাসে হয়?
ভুলে যাবেন না এই পিরিয়ডের কারনেই আপনি এই পৃথিবীর আলো দেখেছেন।নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন। নিজের মায়ের কথা ভাবুন।পিরিয়ড একটা নারীর দূর্বলতা নয়,এটা তার গর্ভ।
আসলে মেয়ে হোক বা ছেলে হোক,কাউকেই এমন অবাঞ্চিত প্রশ্ন করা উচিত নয়।ইবাদত যার যার ব্যক্তিগত বিষয়।আর কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করার অধিকার সবার থাকে না।অনধিকার চর্চা না করাই শ্রেয়।
শুধু মেয়ে নয়, আমি মনে করি এটা কাউকেই জিজ্ঞেস করা উচিত না যে আপনি কি রোজা রাখছেন?অপর ব্যক্তিটি রোজা না রাখা সত্ত্বেও মিথ্যা বলতে পারে,নিজের সম্মান রাখতে গিয়ে। এতে কি দাড়ালো, আপনার জন্য কেউ একজন মিথ্যা বললো,গুনাহ কামালো।
আবার দেখা যায় কুরবানী ঈদের সময় বলে..আরেএএএ আপনি কি কুরবানী দিয়েছেন,তখন যে কুরবানী দেয় নি সে লজ্জায় পরে যায়।এই যে এখন রোজা আসছে এখন দেখা যাবে অনেকেই টাইম লাইনে রংবেরঙের ইফতারের ছবি দিয়ে রাখবে।অথচ এমন মানুষ আছে যাদের ঘরে ভাত ও নেই।এটা ঠিক না।আমরা মানুষ।আর একজন মানুষ হিসাবে আমাদের বিবেক টুকু রেখে চলতে হবে।
আবার অনেকেই দেখা যাবে টাইম লাইনে দিবে সেহেরি ডান,ইফতার ডান,কে কে নামাজ পরছো আজকে?
এগুলো কি ভাই।আল্লাহ বলেছেন তোমরা আমার ইবাদাত করো।কিন্তু লোক দেখানো ইবাদাত করার কথা বলে নি।আল্লাহ বলেছে তোমরা গরীবকে যাকাত দাও।কিন্তু কিছু দিন পরে দেখা যাবে,একটা যাকাত দিয়ে দশটা পিক তুলে ফেইসবুকে দিয়ে রাখছে।সেই সব মানুষদেরকে বলছি গরীবকে সাহায্য করার আগে ক্যামেরা বাড়িতে রেখে আসবেন।
তারপর অনেকেই আছেন ঈদের জন্য রংবেরঙের জামা কাপড় কিনে সেগুলো টাইম লাইনে দিবে।এটা কিন্তু মোটে ও ঠিক না।এমন ও মানুষ আছে যারা শপিং করবে তো দূরের কথা।তিন বেলা ভাতই কপালে জুটে না।আমরা মানুষ,মানুষ হিসাবে আমাদের এইটুকু বিবেক থাকতে হবে।
রমজান মাস একটি পবিএ মাস।নিজের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার মাস।যারা ইফতার করতে পারে না,সেহরি করতে পারে না,আসুন আমরা তাদের সাহায্য করি,তাদের ইফতারের ব্যবস্থা করে দেই। সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি।আর আল্লাহর দেওয়া রাস্তায় জীবন গড়ি।