- ভোগ করছো তাঁর অবাধ্যতার শাস্তি, আর ভোগ করছো একাকীত্বের যন্ত্রণা….
তবুও আনুগত্যের মাঝে খুঁজছো না তার ঘনিষ্ঠতা।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে,
তুমি আল্লাহকে চিনতে পারলে, কিন্তু তাকে ভালোোবাসলে না।
১. সময় যেন থেমে দাঁড়ালো
স্বর্গীয় এই জগতের সব দৃশ্য যেন মলিন হয়ে পড়ল !
আপনার চোখ পড়ল আরেক জোড়া চোখের উপর।
আপনি ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন।
আপনি ফিরে গেলেন বহু বছর আগের দুনিয়ার সেই জীবনে।
মায়াভরা দুটি চোখের দিকে তাকিয়ে আছেন।
প্রথমবারের মতো মন ভরে দেখছেন আপনার জীবনসঙ্গী কে।
অজানা সব অনুভূতির ঢেউয়ে ভেসে যায় আপনার হৃদয়।
অনেক স্বপ্ন আঁকছেন মনে মনে,
চূড়ান্ত স্বপ্ন একটাই – একসাথে জান্নাতে যাওয়ার
সব নিশ্চুপ, একটি মুহূর্ত পার হলো না পুরো দিনটা চলে গেল বোঝা গেল না। কারণ, এ জগতে সময়ের হিসেব মেলানো কষ্ট।
২. একবার ভাবুন, কতটা সুন্দর হবে সে মিলন…
যে মা, বাবা,দাদী,বড় ভাইকে আপনি নিজ হাতে কবর দিয়েছেন, তাদের সাথে আপনার সাক্ষাৎ হবে।
তারা দুনিয়ার জীবনের খবর জিজ্ঞেস করবে, বলবে তোমার ঐ বন্ধু কেমন আছে ?
আপনি বলবেন – সে তো ৩ বছর আগেই মারা গেছে, তার সাথে আপনাদের সাক্ষাৎ হয় নি।
সবাই থমকে যাবে, আর এটা বুঝতে পারবে যে সে ইমান নিয়ে মরতে পারে নি ।
৩. আত্মহত্যা কখনও একটি সমাধান হতে পারে না, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও এটি অপরাধ; কিন্তু অবিলম্বে বিষন্নতা কমানোর একটি উপায় হতে পারে।
আবেগকে আক্রমণ করুন, আত্মাকে নয়।
আত্মহত্যা ?
আবেগকে আক্রমণ করুন, আত্মাকে নয় !
আবেগকে আক্রমণ করে কি হবে যদি আত্মা-কে টিকিয়ে রাখার সত্তাটাই না থাকে ?
তারপরেও আত্মাহত্যা নয়।
৪. হঠাৎ করেই দু – পাশের মাটি
আপনাকে চেপে ধরল,
চিৎকার করার আগেই
আপনার প্রতিটি অঙ্গ নিমিষেই মিলে-মিশে একাকার হয়ে গেল…………
এটা কি কবরের আজাব ছিল ?
আপনি কি তাহলে শাস্তি পাওয়া মানুষদের দলে?
কবর
৫. সম্মান চাই কিন্তু আত্মমর্যাদা নাই ❓
আত্মমর্যাদাবান হতে শিখুন সম্মান চাইতে হবে না। কাউকে সারাক্ষণ নক দিয়েও তার নিকট উপযুক্ত মর্যাদা পাচ্ছেন না ❓দরকার নাই….! তাহলে বুঝবেন আপনার বন্ধুতালিকায় তার থাকার যোগ্যতা নাই।
ওই সময়টুকু আল্লাহর রাস্তায় ব্যায় করুন, ইনশাআল্লাহ
ধার করা সম্মান নিয়ে চলতে হবে না, আল্লাহ চাইলে আপনি মর্যাদাবান হতে পারবেন, তার আগে নিজের আত্মমর্যাদা গড়ে তুলুন।
মাসিরুল ইসলাম, লেখক।