৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বাঙ্গালীদের জীবনের একতি গুরত্বপূর্ণ অধ্যায় তাই বাংলাদেশীদের জীবনে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একটা ব্যাপক প্রভাব রয়েছে এই কারনে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারনা রাখা আমাদের উচিত। এছাড়া আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখা জরুরি কেননা বিভিন্ন সরকারি , বেসরকারি চাকুরির নিয়োগে এসকল বিষয় থেকে প্রশ্ন আসে। তাই ধারাবাহিক ভাবে আমরা এগুলো আলোচোনা করব বরং সহজে কিভাবে মনে রাখা যায় সেভাবেও আলোচনা করব। এ পর্বে আমরা আলোচনা করব আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সম্পর্কে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর গুলো মনে রাখতে গেলে আমাদের যে সমস্যাটি হয় সেটি হচ্ছে আমাদের এলাকা সমূহের নাম মনে থাকেনা । একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখা যাবে এক সেক্টরের সাথে আরেক সেক্টরের জেলার ওভারলেপ রয়েছে যদিও তাদের এলাকার ওভারলেপ থাকবে না। তবে আমরা জেলার নাম দিয়েই শুরু করব আর জেলার নাম গুলো মনে থাকলে তাদের এলাকার নাম গুলো মনে রাখা যাবে । তাহলে শুরু করা যাক…
প্রথমে আমরা ফরমাল যে তালিকা সেটি দেখে নেই।
১ নং সেক্টরঃ চট্টগ্রাম , পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
২ নং সেক্টরঃ
নোয়াখালী জেলা, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া – ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এবং ফরিদপুর ও ঢাকার অংশবিশেষ।
৩ নং সেক্টরঃ
সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ।
৪ নং সেক্টরঃ
সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং খোয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট-ডাউকি সড়ক পর্যন্ত।
৫ নং সেক্টরঃ
সিলেট-ডাউকি সড়ক থেকে সিলেট জেলার সমগ্র উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল এবং সুনামগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়ক পর্যন্ত।
৬ নং সেক্টরঃ
সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
৭ নং সেক্টরঃ
দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল, বগুড়া, রাজশাহী এবং পাবনা জেলা
৮ নং সেক্টরঃ
সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অধিকাংশ এলাকা এবং দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়কের উত্তরাংশ।
৯ নং সেক্টরঃ
দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে খুলনার দক্ষিণাঞ্চল এবং সমগ্র বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা
১০ নং সেক্টরঃ
কোনো আঞ্চলিক সীমানা নেই। ৫১৫ জন নৌবাহিনীর কমান্ডো অধীনস্হ। শত্রুপক্ষের নৌযান ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হত
১১ নং সেক্টরঃ
সমগ্র টাংগাইল জেলা ছাড়াও ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার অংশ।
এখন আমরা যাতে সহজে মনে রাখতে পারি তার জন্য নিজের লিস্টটি মনে রাখতে পারি তবে আমি আগে থেকেই বলছি যে এটা একদমই ইমফরমাল ভাবে শুধু সেক্টরগুলো মনে রাখার জন্য।
১ নং সেক্টরঃ চট্টগ্রাম , পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
২ নং সেক্টরঃ
নোয়াখালী
ফরিদপুর
কুমিল্লা
ঢাকা
সিলেট
আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন
৩ নং সেক্টরঃ
কুমিল্লা
ঢাকা
সিলেট
আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন
কিশোরগঞ্জ
৪ নং সেক্টরঃ
খোয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন
সিলেট
ডাউকি সড়ক পর্যন্ত
৫ নং সেক্টরঃ
সিলেট
সিলেট-ডাউকি সড়ক
সুনামগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়ক
৬ নং সেক্টরঃ
রংপুর, দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও
৭ নং সেক্টরঃ
দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া
৮ নং সেক্টরঃ
কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক, ফরিদপুর
৯ নং সেক্টরঃ
খুলনার দউলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী
১০ নং সেক্টরঃ
নৌ-কমান্ড, নদীপথ, সমুদ্রবন্দর
১১ নং সেক্টরঃ
কিশোরগঞ্জ ব্যতীত টাংগাইল এবং ময়মনসিংহ ।
এখানে আমরা একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখতে পাই কিভাবে এক সেক্টরের জেলা গুলোর সাথে আরেক সেক্টরের জেলা গুলোর মিল রয়েছে। সর্বোপরি আমাদের একটু কষ্ট করে শুধু এলাকা গুলোর লোকেশান মনে রাখতে হবে। অনেক দ্রুত নোট টি তৈরি করতে গিয়ে অনেক ভুল-চুক হয়েছে আশা করি তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কিভাবে আরো উন্নত করা যায় সে বিষয়ে ধারনা দিবেন ।আজ আর নয়। পরবর্তীতে অন্য কোন টপিক নিয়ে আবার হাজির হব।