বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহতালার
আসসালামু আলাইকুম
আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ও বোনেরা
সবাই কেমন আছেন আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আল্লাহ তায়ালার রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি
মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য দ্বারা মুজিবনগর সরকার গঠন । করা হয় ।
বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে এ সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেছিল । এতে মােট ১২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল ।
এগুলাে হলাে – প্রতিরক্ষা , পররাষ্ট্র , অর্থ , শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় , মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয় , সাধারণ প্রশাসন , স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ , ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ , প্রকৌশল বিভাগ , পরিকল্পনা কমিশন ও যুব ও অভ্যর্থনা শিবির নিয়ন্ত্রণ বাের্ড । মুজিবনগর সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর কলকাতা , দিল্লি , লন্ডন , ওয়াশিংটন , নিউইয়র্ক , স্টকহােম প্রভৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করেন । এসব মিশন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচারণা ও আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে ।
সরকার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়ােগ দেয় । তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব নেতৃত্ব ও জনমতের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করেন । ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক , বেসামরিক জনগণকে নিয়ে একটি মুক্তিযােদ্ধা বাহিনী । গড়ে তােলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় । সরকার বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিয়ােগ করেছিল । এ ছাড়া বেশ কিছু সাব – সেক্টর এবং তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয় ।
এসব বাহিনীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি সেনা কর্মকর্তা , সেনা সদস্য , পুলিশ , ইপিআর , নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যগণ যােগদান করেন । প্রতিটি সেক্টরেই নিয়মিত সেনা , গেরিলা ও সাধারণ যােদ্ধা ছিল । এরা মুক্তিযােদ্ধা বা মুক্তিফৌজ নামে পরিচিত । ছিল । এসব বাহিনীতে দেশের ছাত্র , যুবক , নারী , কৃষক , রাজনৈতিক দলের কর্মী – সমর্থক , শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিল ।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে যােদ্ধাগণ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তানি সামরিক ছাউনি বা আস্তানায় হামলা চালায় । মুক্তিযুদ্ধে সরকারের অধীন বিভিন্ন বাহিনী ছাড়াও বেশ কয়েকটি । বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠেছিল । এসব সংগঠন স্থানীয়ভাবে পাকিস্তানি বাহি
রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল । এক্ষেত্রে টাংগাইলের কাদেরিয়া বাহিনীর কথা উল্লেখ করা যায় । ১৯৭১ সালে মুক্তিযােদ্ধাগণ মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে দেশকে পাকিস্তানিদের দখলমুক্ত করার জন্ন রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছেন , দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছেন , অনেকে আহত হয়েছেন ।
আজকের পোষ্ট টি পড়ে কেমন লাগলো?
কমেন্ট করে জানিয়ে দিন আমাদের কে
যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন।
আজ এ পর্যন্তই ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন জীবনে এগিয়ে যান
আজকের পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আল্লাহ হাফেজ