Disclaimers: এই কাহিনীর সব গুলো চরিত্র ও ঘটনা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। এর সাথে বাস্তবে কোনোও ঘটনা বা চরিত্রের কোন মিল নেই। যদি কেউ মিল খুঁজতে চেষ্টা করেন তবে তা নিজ দায়িত্বে করবেন। তার জন্য লেখক দায়ী থাকবেন না।
কাউকে হেয় বা ছোট করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। শুধুই মজা করার জন্য এই পোষ্ট। আশা করি সবাই সেইভাবেই নিবেন।
তো চলুন শুরু করা যাক মূল কাহিনী!
সৃষ্টিকর্তা তাঁর সম্পূর্ণ সৃষ্টি সম্পন্ন করার পর সিদ্ধান্ত নিলেন মনুষ্য জাতিকে বুদ্ধি প্রদান করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। তিনি একটি নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় নির্ধারন করে দিলেন যেদিন তিনি বুদ্ধি বিতরণ করবেন।
নির্দিষ্ট দিন ও সময়ে সিঋষ্টিকর্তা উপস্থিত সকলের মধ্যে বুদ্ধি বিতরণ শুরু করলেন। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, বুদ্ধি বিতরণের লাইনে শুধু পুরুষেরা উপস্থিত, কোনো মহিলাই সেখানে উপস্থিত নেই! আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ আসলোই না!!
ফলে, যা হবার তাই হলো, সমস্ত বুদ্ধি পুরুষেরাই পেলো। আসলে ঘটনাটা হয়েছে কি, মহিলারা সেদিন সৃষ্টিকর্তার সামনে লাইনে দাঁড়াবে বলে সবাই সাজগোজ নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গিয়েছিলো! আর সাজগোজ শেষ করে যতক্ষণে বুদ্ধি বিতরণ স্থলে হাজির হলো, ততোক্ষণে সৃষ্টিকর্তা নির্ধারিত সময় শেষ! ফলে, বুদ্ধি বিতরণও শেষ!!
সেখানে উপস্থিত হয়ে মহিলাদের দৃষ্টি পড়লো একটি নোটিসের দিকে: “বুদ্ধির মজুত শেষ!!”
মহিলারা নোটিসের লেখা দেখে শুরু করলেন চিৎকার, চেঁচামেচি, সে কি যাচ্ছেতাই কান্ড!
এদিকে বুদ্ধি বিতরণ শেষ করে সৃষ্টিকর্তা দ্বার রুদ্ধ করে যোগনিদ্রায় মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। মহিলাদের চিৎকার, চেঁচামেচিতে তাঁর ধ্যান গেল ভেঙ্গে। বিরক্ত হয়ে তিনি বাইরে বেড়িয়ে এলেন।
সৃষ্টিকর্তাকে দেখতে পেয়েই এক মহিলা একগাল হেসে বললেন
“ “হে প্রভু দয়াময়! এ কেমন বিচার তোমার? আমরা কি চিরদিন একেবারে বুদ্ধিহীনা হয়েই থাকবো?”
সৃষ্টিকর্তা বললেন –
ঃ আমার কিছুই করার নেই। বুদ্ধির বরাদ্দ শেষ।
ঃ এ কেমন কথা প্রভু? তোমার ভাণ্ডার তো অফুরন্ত দয়াময়! সেখান থেকে কঞ্চিৎ আমাদেরকেও দাও!!
ঃ আমার ভাণ্ডার অফুরন্ত কিন্তু সেটা বিতরণ স্থান, কাল ও পাত্র সীমাবদ্ধ। এখন আর আমার কিছুই করার নেই।
ঃ তাহলে আমাদের কি হবে দয়াময়? আমরা কি চিরদিন বুদ্ধিহীনাই থাকবো?
ঃ “না, তোমাদের বুদ্ধিহীনা থাকতে হবে না, তোমাদের এই মধুর হাসিই তোমাদের বুদ্ধির চেয়ে বেশি উপকারী হবে। তোমাদের এই ভুবন ভোলানো হাসির কাছে পুরুষের বুদ্ধি কোনো কাজই করবে না! যাও বাছা! নিশ্চিন্তে বাড়ি যাও”
তখন অপর এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে এসে বললেন –
ঃ ” হে প্রভু , আমি তো হাসতেই জানি না, আমি তো জনমদুঃখী, আমি শুধু কাঁদতেই জানি, আমার কী উপায় হবে দয়াল?”
ঃ “তোমাদেরও কোনও চিন্তার কারণ নেই! তোমাদের এই মেকি কান্নার সামনেও পুরুষের বুদ্ধি কোন কাজ করবে না। যাও নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরে যাও।”
অতঃপর অন্য আরেক মহিলা শরীর কোমর দুলিয়ে চিৎকার করতে করতে এগিয়ে এসে বললেন –
ঃ ” বললেই হলো! ক্ষমতা আছে বলে তুমি যা খুশি তাই করবে, আমাদের কি কোনোও মূল্য নেই তোমার কাছে? আরে মিনষে! আমি তো ভুবন ভোলানো হাসিও দিতে পারি না, আবার এরকম মেকি কান্নাও কাঁদতেও পারি না। ঝগড়া ঝাটি, রাগা-রাগি ছাড়া আমি তো আর কিছুই করতে জানি না। তাহলে আমার কী হবে, হ্যাঁ? বলো বলো, জলদি বলো!”
ঃ ঠাণ্ডা হও বালিকা! তোমাদেরও কোন চিন্তা নেই। যাও আমি তোমাদের এই ক্ষমতা দিলাম যে, তোমাদের এই ঝগড়াঝাঁটি, চিৎকার, চেঁচামেচির সামনেও পুরুষ মানুষের বুদ্ধি কোন কাজ করবে না।”
অগত্যা ওই ভুবন ভোলানো হাসি, মায়া কান্না আর ঝগড়া চেঁচামেচির মাধ্যমে পুরুষদের কাবু করার মোক্ষম অস্ত্র লাভ করলেন মহিলারা। অদ্যাবধি তারা ওই তিনটে অস্ত্র প্রয়োগ করেই পুরুষদের অধিনস্ত করে রাখেন। আর পুরুষের কোন বুদ্ধিই মহিলাদের ওই তিনটে বিশেষ অস্ত্রের সঙ্গে পেরে ওঠে না। আর ভবিষ্যতেও পেরে উঠবে না।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণঃ ঝগড়া-ঝাটি সংসারের সুখ শান্তির জন্য ক্ষতিকর।