অনেকেরই শখ লেখালেখি করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাবে এই সেক্টরে আগাতে পারেন না অনেকেই। ফলে মুষড়ে পড়েন।
এই সমস্যার সমাধান দিতেই আজকের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি।
অ্যামাজন প্রোডাক্ট রিভিউ লেখার কাজ আপনি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস (ফ্রিল্যান্স, ফাইভার, আপওয়ার্ক) এ পাবেন। এছাড়া লোকাল মার্কেটেও খোঁজ রাখবেন। ওখানেও এই কাজের চাহিদা বিপুল।
আপনার সর্বপ্রথম যে যোগ্যতাটি দরকার তা হলো- ইংরেজীতে দক্ষ হতে হবে। আপনাকে প্রতিদিন ইংরেজী চর্চা করতে হবে। এক পাতা করে লিখতে পারেন। কিন্তু কথা একটাই চর্চা চালিয়ে যেতেই হবে।
এরপর আসুন লেখার কাঠামোতে:
– আপনাকে চমকপ্রদ ও আকর্ষণীয় একটি টাইটেল বেছে নিতে হবে। টাইটেল কয়েক শব্দের হতে হবে। ইউনিক টাইটেল হতে হবে।এমন ধরণের টাইটেল বানাবেন যাতে রিডার আপনার আর্টিকেল পড়তে উৎসুক হয়, তার যাতে আপনার টাইটেলে চোখ আটকে যায়। বেশ কয়েকটি ভেরিয়েশন লিখে তারপর টাইটেলটি বেছে নিতে পারেন।
যেমন একটি উদাহরণ দেই-
– ব্রেড নাইফ রিভিউ
– যে কারণে আপনার এই নাইফটি কেনা উচিত
কি? কোনটি বেশি ভালো লাগছে? দ্বিতীয়টি তাই না?
আমি আপনার বুঝার সুবিধার্থে বাংলায় লিখেছি। আপনাকে কিন্তু টাইটেল থেকে শুরু করে সবকিছুই ইংরেজীতে লিখতে হবে।
গুগলে, ওয়েবসাইটে অনেক রকম টাইটেল মেকার টুল পাওয়া যায়। এগুলো ইন্সট্যান্টলি রোবট দ্বারা জেনারেট হয়। এগুলোর চেয়ে আপনার নিজের মাথা খাটানোই ভালো বলে আমি মনে করি।
তবে বড় বড় ওয়েবসাইট গুলোতে ঢুকে আপনি টাইটেলের ধারণা নিতে পারেন। ওগুলোতে টাইটেল দেখতে দেখতে আপনি নিজে ক্রিয়েটিভ হয়ে উঠবেন।
– সাব হেডিং আগে থেকেই ঠিক করে নিবেন। যেমন আমি যে কি- ওয়ার্ডটি নিয়ে কাজ করছি তার সাব হেডিং হতে পারে:
– ব্রেড নাইফের বৈশিষ্ট্য
– পরিমাপ
– মূল্য
– কি দিয়ে তৈরী
– সুবিধা কি কি পাওয়া যাবে
আমি আবারও বলছি আপনাদের সবকিছুই ইংরেজীতে লিখতে হবে।
সাব হেডিং আগেই তৈরী করে নিলে আপনার আর্টিকেল লিখতে সুবিধা হবে। আপনি এরপর কি লিখবেন, তারপর কি লিখবেন এসব নিয়ে আর ভাবতে হবে না।
এরপর প্রতিটি সাব হেডিংয়ের ডিটেইলস এর জন্য চার পাঁচটি ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ওখান থেকে তথ্য নিয়ে নিজের মনের মতো করে লিখুন। ভুলেও কপি – পেস্ট মারবেন না।
তবে কিছু তথ্য থাকে যেগুলো পরিবর্তন করার ক্ষমতা আপনার হাতে নেই। আপনি ওগুলো হুবহু লেখতে পারেন।
তবে পারতপক্ষে চেষ্টা করবেন স্বতন্ত্রতা ধরে রাখতে।
লেখার মাঝে মাঝে বিরতি নিবেন। গ্যাপ দিয়ে দিয়ে লিখলে আপনার ব্রেইন ফ্রেশ হবে। আপনার মাথায় আরও নতুন নতুন আইডিয়া উঁকিঝুঁকি মারবে।
মনে রাখবেন আপনি আপনার আর্টিকেলে যত সময় দিবেন আপনার আর্টিকেল তত ইউনিক হয়ে উঠবে। আপনার রেট তত বাড়বে। আর একজন রিডার কি চায় সেটা মাথায় রেখে লিখবেন। সম্ভব হলে নিজেকে রিডারের জায়গায় বসিয়ে দেখবেন আপনার মস্তিষ্ক কি কি তথ্য চাচ্ছে।
আজ এ পর্যন্তই। কেমন লাগলো কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না যেন।