Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

রগের টান পড়ার সমস্যায় করনীয়

আমরা অনেক সময় হাত পায়ের রগের টান পড়ার সমস্যায় ভুগি।বিশেষ করে রাতের বেলা হঠাত পায়ে রগের টান খেয়ে আমাদের ঘুম ভেঙে যায় এবং অত্যন্ত তীব্র যন্ত্রনায় ভোগ করি।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইসব টান পড়া তেমন উদ্বেগজনক না হলেও বয়স্কদের ক্ষেত্রে অথবা ঘন ঘন এই সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নেয়া উচিত।

রগের টান পড়ার কারণ:- অনেক কারণে রগে টান পড়তে পারে তবে প্রধান কিছু কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো

*পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খেলে আমরা ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারি যা রগে টান পড়ার অন্যতম কারণ।
*যাদের শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তারা এ সমস্যায় ভুগতে পারেন।
* সঠিক পজিশনে না ঘুমালে রগে টান পড়তে পারে।
* দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে এমনটি হতে পারে।
* শক্ত জায়গায় দাড়িয়ে থাকার ফলে পায়ের রগে টান পড়তে পারে।
* পায়ের পেশি বেশি ব্যবহার বা অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে হতে পারে।
* গর্ভবতী নারীদের প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবে রগে টান পড়ে।

রগে টান পড়া প্রতিরোধে করনীয় :-

*সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে যেনো শরীর পানিশূন্যতায় না ভুগে।
*ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। যেমন দুধ,ডিম,কলা ইত্যাদি
*অতিরিক্ত ভারী কাজ বা ব্যায়াম করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে,
*গগর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত খনিজ সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
* পা ক্রস করে বসলে পায়ের ওপর চাপ পড়ে এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। তাই এ ধরনের অবস্থানে বসবেন না। দীর্ঘ সময় একই ধরনের অবস্থানে না থেকে দু–এক ঘণ্টা পরপর বদলাতে হবে।
* নিয়মিত কাফ মাসল স্ট্রেচিং করতে হবে।

পায়ের রগে টান পড়লে করণীয়

* পা সোজা করে পায়ের পেছনের মাংসপেশিতে হালকা মালিশ করুন।
* ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। তবে এই সময় হেবী কোনো ওয়ার্ক আউট না করাই উওম।
* থাইয়ের পেশীতে টান লাগলে জায়গাটা নরম করে একটি শক্ত কিছুতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে হবে। টান ধরা পা কোমর অবধি ধীরে ধীরে টানটান করুন।
* গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে হালকা সেঁক বা পানির বোতলে গরম পানি দিয়ে সেঁক দিতে পারেন পনেরো থেকে বিশ মিনিট।এতে কিছুটা আরাম পেতে পারেন।
* পায়ে টান ধরলে শক্ত কোনো কাজ করা যাবে না। এ সময় সম্পূর্ণ রিলাক্স থাকুন।

রগে টান পড়া সাধারণ একটি সমস্যা। তবে নিয়মিত এই সমস্যা হতে থাকলে অবশ্যই দেরি না করে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে। নাহলে হয়তো পরে বড় কোনো রোগের সম্মুখীন হতে পারে।

Related Posts

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No