আমরা সকলেই পড়ালেখা করে থাকি। প্রতিযোগিতার এই যুগে সফলতা অর্জন করতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই’। আমরা কেউ চাই না এই ক্ষেত্রে কারোর থেকে পিছিয়ে পড়তে। তাই আমরা সবাই আমাদের লেখাপড়া কে আমাদের জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্তে অনেকটা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
কিন্তু লেখাপড়া করার জন্য যে সময়ে আমরা প্রতিদিন ব্যয় করি তা কি আদৌ আমাদের উপকারে আসে। কি পরিমাণ সময় আমরা কখন ব্যায় করি তার কি কোন সঠিক ধারণা আমরা আমাদের মনে পোষণ করি? সেই বিষয়টি নিয়ে আসলেই আমাদের অনেকটা চিন্তা করা উচিত যেহেতু লেখাপড়া আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
আমরা অনেকেই রাত জেগে পড়ালেখা করি। বাসার মানুষের কথায়, অন্যান্য বন্ধুদের থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য রাত জেগে পড়ালেখা করার কোনো বিকল্প নেই এই ভেবে অথবা কারো মোটিভেশনাল গল্প শুনে আমরা রাত জেগে পড়ালেখা করি। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এটি আমাদের মস্তিষ্কে কেমন প্রভাব ফেলে সেই বিষয়ে আমরা কোন তোয়াক্কা করি না।
রাত জেগে পড়া লেখা:
লেখাপড়া করার জন্য আমরা দিনে এবং রাতে যে সময়টুকু ব্যবহার করি তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম সময় হলো সকাল বেলা। রাতের বেলা পড়ালেখা করলে যে খুব একটা ক্ষতি হয় এমন নয়। কিন্তু সে তো আমরা সবাই মানুষ আমাদের মস্তিষ্ককে সময় সময় বিশ্রাম নিতে দেওয়া খুবই জরুরী। এর জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। আর রাতের ঘুমই সবচেয়ে উত্তম ঘুম। তাই আমাদের রাতে যতটুকু সম্ভব আগে শুয়ে পড়া উচিত।
এছাড়া রাতে আমরা যতই চেষ্টা করি ঘুম থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুব একটা সম্ভবপর হয় না। তাছাড়া বর্তমানের এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমাদের কাছে অনেক কিছুই থাকে লেখাপড়ার বাইরে করার। রাতের বেলায় আমরা বন্ধুদের সাথে ফেসবুকে আড্ডা দেওয়া, টেলিভিশন দেখা ইত্যাদি সময় অপচয় মূলক কর্মকান্ডে খুব সহজেই ব্যস্ত হয়ে যাই। যার ফলে রাতের সময়টুকু আমরা সেই ভাবে আমাদের পড়ালেখা নিয়োগ করতে পারিনা। এছাড়া ঘুম থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড, ক্যান্ডি বার এবং কফি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করি।
যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই উপকারী নয়। এটি আমাদেরকে অনেকটাই মুভিতে থাকা জম্বির মত বানিয়ে দেয়। রাতের দুই থেকে তিন ঘন্টার সময়টুকু অতিরিক্ত ব্যয় করার জন্য আমরা সকালের চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সময়কে খুব সহজেই নষ্ট করে ফেলি। এছাড়া বর্তমানের এই অনলাইনের যুগে বিভিন্ন ধরনের ক্লাস রাতে রাখা হয়। যার ফলে প্রচুর সময় নষ্ট হয়, আমাদের ব্রেন সেগুলো ঠিক মত ধারণ করতে অক্ষম হয়, খুব সহজেই বিষয়গুলো পরবর্তীতে ভুলে যায়। যা সত্যিকার অর্থে আমাদের লেখাপড়ার উন্নতি ঘটানো পরিবর্তে অনেকটা ক্ষতি সাধন করে।
এর জন্য রাতে সময় দেওয়ার পরিবর্তে আমাদের উচিত লেখাপড়ার জন্য সকালের সময় কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া এবং এর সঠিক ব্যবহার করা।