রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের লক্ষণসমূহ
প্রায় সর্বজনীন এ ভয়টির লক্ষণ হলােঃ
অটো-সাজেশন ঃসেলফ-সাজেশনের নেতিবাচক ব্যবহার দ্বারা সব ধরনের রোগের লক্ষণ এরা খুঁজে বেড়ায়। কাল্পনিক রোগ ‘উপভোগ করে এবং এমনভাবে কথা বলে যেন এগুলা সব বাস্তব। অন্যদের সঙ্গে সবসময় অপারেশন, দুরঘটনা এবং অসুখেন অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকে। এ ভয়ের লক্ষণের মধ্যে আরাে আছে ডায়েট করা, প্রফেশনাল গাইড ছাড়াই শারীরিক অনুশীলন। ঘরে বসে চিকিৎসা, হাতুড়ে চিকিৎসার চেষ্টা ইত্যাদি।
হাইপােকনড্রিয়া ঃকেন্দ্রীভূত মনােযােগ, রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় করতে করতে শেষ পর্যন্ত नाর্ভাস ব্রেকডাউনের শিকার হয়ে যায়। এ অবস্থার চিকিৎসা বোতল ওষুধ দ্বারা সম্ভব নয়। শুধু নেতিবাচক চিন্তার কারণেই এ সমস্যার ইক এবং ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই। হাইপােকুনিয়া (কাল্পনিক রােগের একটি মেডিকেল টার্ম) একজন মানুষের ততােটাই করে কোনাে অসুখের ভয়। বেশিরভাগ কাল্পনিক অসুখ থেকে। অনুশীলন রুগ্ন স্বাস্থ্যের ভয় প্রয়ােজনীয় শারীরিক অনুশীলনকে ব্যহত করে। লােকে বাইরে যেতে ভয় পায়, ভাবে রাস্তাঘাটে ঔ পেতে থাকা জীবাণুর নল হামলে পড়বে। ফলে বাড়িতে বসে বসে তারা ফুলতে থাকে, ওভার ওয়েটের সমস্যায় আক্রান্ত হয়। অসুখ নিয়ে কথা বলার অভ্যাস,
যা সংবেদনশীলতা নষ্ট করে দেয় এবং এমন অনুকূল একটি পরিবেশের সৃষ্টি করে তে যে কোনাে রােগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। রুণ্ন স্বাস্থ্য ভীতি প্রায়ই দারিদ্র ভীতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, বিশেষ করে হাইপােকনড্রিয়াজের ক্ষেত্রে, যারা সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় থাকে কীভাবে ডাক্তার এবং হাসপাতালের বিল মিটাবে সেই চিন্তা নিয়ে। এ ধরনের মানুষজন বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দেয় অসুস্থতার জন্য প্রস্তুতি নিতে, ভগ্ন স্বাস্থ্য ভীতি প্রাকৃতিক শারীরিক প্রতিরােধ ক্ষমতাকে মৃত্যু নিয়ে কথা বলে, কবরের জন্য জমি কেনার চিন্তা ইত্যাদিতে।
প্রশ্রয় দেয়াঃভগ্ন স্বাস্থ্যের ভয়ে ভীত মানুষের অভ্যাস হলাে কাল্পনিক অসুখের কথা বলে লােকের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করে। আলস্য ঢাকা দিতে অসুখের ভান করা কিংবা এটিকে অ্যালিবাই হিসেবে ব্যবহার করা এক ধরনের উচ্চাকা্ারই অভাব।
পানাসক্তি : মাথা ব্যথা, স্নায়ু কুল ইত্যাদি রোগের ব্যথা উপশমে ‘অ্যালকোহল কিংবা নারকোটিক্স ব্যবহার ভগ্ন স্বাস্থ্য ভীতিরই লক্ষণ।