শনাক্ত হলো ৫২ টি ভেজাল খাদ্য পণ্য-
শনাক্ত হলো ৫২ টি ভেজাল খাদ্য পণ্য-
আজকাল সবকিছুতেই এতো যে ভেজাল , তা বলার মতো নয় । আমার মনে হয় এতোদিন পরে বিএসটিআই একটা ভালো কাজ করেছে ।
যে পন্য গুলো নিষিদ্ধ করা হয় , সেগুলো কিন্তু অনেক নামি এবং দামী কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির ৫২ ধরনের খাদ্য পণ্য কে নিষিদ্ধ করলো হাইকোর্ট । কারণ এতে ভেজাল শনাক্ত করা হয়েছে । আগামি ১০ দিনের মধ্যে এসব পন্য গুলোকে বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে হবে ,যাতে করে এই পণ্য গুলো কোনো গ্রাহকদের কাছে না যায় । আদালত , এই পণ্য গুলোকে নষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছে ।
গত রোববার (১১ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেওয়া হয় ।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সম্প্রতি ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো পরীক্ষা করেন । এদের মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়,এখানে ৫২ টি ভেজাল পন্য শনাক্ত করা হয় । গত ২ মে সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিএসটিআই ।
ভেজাল পণ্য গুলো কি কি দেখে নিন-
মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মঞ্জিলের হলুদগুঁড়া, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ফুডের হলুদগুঁড়া, গ্রীন লেনের মধু, কিরণের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচগুঁড়া, ডলফিনের হলুদগুঁড়া, সূর্যের মরিচগুঁড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদীনার আয়োডিনযুক্ত লবণ, নুরের আয়োডিনযুক্ত লবণ। সিটি অয়েলের সরিষার তেল, গ্রিন বি চিংয়ের সরিষার তেল, শবনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার, মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকান ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দীঘি ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদগুঁড়া, প্রাণের হলুদগুঁড়া, ফ্রেশের হলুদগুঁড়া, এসিআইর ধনিয়াগুঁড়া, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচগুঁড়া, মিষ্টিমেলা লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইর লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইর আয়োডিনযুক্ত লবণ, মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর ।
আমরা হয়তো অনেকেই আছি যারা এই পন্য খুলো ব্যবহার করি । আশা করবো আপনারা একটু হলেও সতর্ক হবেন । ভেজাল মুক্ত খাবার খান ,আর সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন ।
আজকাল যে নতুন নতুন রোগ হচ্ছে সেগুলো এই ভেজাল খাবারের জন্য হচ্ছে ।
তথ্য সুত্র- (বাংলাদেশ টুডে )