আমরা বাঙালি। ভোজন বিলাসী হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। ভোজন বিলাসের আড়ালে আমরা কম বয়সেই আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে বয়স বাড়ার আগেই কাজে কর্মে অক্ষম হয়ে পড়ছি। এর থেকে উত্তোরনের সুযোগ থাকলেও আমরা বাঙালি এ ব্যাপারে বেশ অসচেতন।
যারা খেয়ে দেয়ে নিজের শরীরের ওজন ইতিমধ্যে অনেক বাড়িয়ে ফেলেছেন এবং এখন পরিকল্পিতভাবে কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আয়োজন। অতিরিক্ত ওজন কমানোর একটি পারফেক্ট ডায়েট চার্ট।
সকালঃ ৭:৩০ মিনিট
হালকা কুসুম গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু এবং ১টি মাঝারি সাইজের লেবুর রস একসাথে মিলিয়ে চিনি ছাড়া পান করুন।
সকালঃ ৮:৩০ এ সকালের নাস্তাঃ
আটার রুটি – ২টি। সাথে খাবেন মৌসুমি সবজি।
তারপর এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ। দুধ অবশ্যই চিনি ছাড়া হতে হবে। তারপর চিনি ছাড়া চা বা কফি এক কাপ খান। লাল চা হলে আরো ভালো।
সকালঃ ১১ টা হালকা খাবার
গ্রিন টি বা সবুজ চা ১ কাপ। তার আগে অবশ্যই১ পিস বিস্কুট খেয়ে নিন।
দুপুর ১২ টাঃ
শশা বা গাজরের ব্লেন্ড করা জুস ১ গ্লাস পরিমানে পান করুন।
দুপুরের খাবারঃ
ভাত ১ কাপ পরিমান নিন। সিজনাল সবজি, যেকোনো প্রকারের বড় মাছ ১ টুকরো। সাথে সালাদ ও ডাল নিন। এতেই দুপুরে খাবার শেষ করুন।
বিকেল ৪ টাঃ
১ টি মাঝারি সাইজের পাকা কলা বা ১টি মাঝারি সাইজের কমলা বা ১টি মাঝারি সাইজের আপেল বা ১ টি আম বা ১ টি আমড়া অথবা এ জাতীয় যে কোন ১ টি ফল খান।
বিকাল ৫:৩০ মিনিটঃ
১ কাপ পরিমান ভাত বা ৩ টি রুটি খান। সঙ্গে শাক বা সবজি আর মাছ খাবেন।
আমাদের চেনাশুনার মধ্যেই অনেকের অভ্যাস হলো রাতে খাবার খাওয়া শেষ করার পরে আরামসে শুয়ে শুয়ে অযথা ঘুমাতে দেরী করি। এমনকি টিভি দেখতে দেখতে কিছু বাড়তি খাবার খেতেও আমরা অনেকে পছন্দ করি।
আপনি যদি সত্যিই আপনার দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে এই বদ অভ্যাসতুলো পুরোপুরি বাদ দিতে হবে।
উপরে উল্লেখিত খাবারের এই রুটিন মেনে চললে ও সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন নিয়ম করে
৩০ থেকে ৪৫ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরে বাসা বেধে থাকা বাড়তি ওজন কমিয়ে যে কারো ঝরঝরে একটি সুন্দর ফিগার পেতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয় না এটা প্রমানিত।
আপনার সামান্যতম হলেও উপকারের আসার জন্যই আজকের এই চেস্টা। তাই আজকের এই পোস্টটি ভালো লাগলে গঠনমূলক কমেন্ট ও আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে।