টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রতিবেশী নানা ও চাচাদের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়েরের পর সন্ধ্যায় পুলিশ অর্জুনা ইউনিয়নের বাসুদেবকোল এলাকা থেকে নানা গোলাম মোস্তফাকে (৫০) গ্রেপ্তার করে। চাচা ইসমাইল (40) এই ঘটনায় পলাতক রয়েছেন।
গ্রেপ্তার গোলাম মোস্তফা ওই এলাকার মৃত সিরাজ আলীর ছেলে এবং পলাতক ইসমাইল মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।
সত্যতা নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত ওসি) রশিদুল ইসলাম জানান, গত সোমবার চতুর্থ শ্রেণির ওই শিশু শিক্ষার্থীকে তার প্রতিবেশী নানা মোস্তফা ও চাচা ইসমাইল বাড়িতে ডেকেছিলেন। দুজন তখন শিশুটিকে গণধর্ষণ করে। পরে তারা কাউকে কিছু বললে হত্যার হুমকি দেয় তারা। তবে এই ঘটনার তিন দিন পরে যখন মেয়েটি তার পেটে ব্যথা অনুভব করছে, তখন সে তার মাকে ধর্ষণ সম্পর্কে জানায়।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটির বাবা দুজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধ্যায় পুলিশ অর্জুনা ইউনিয়নের বাসুদেবকোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী ননা মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় অপর ধর্ষক চাচা ইসমাইল পলাতক রয়েছেন।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার ধর্ষণকারী মোস্তফা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু কিশোরীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। শুক্রবার ভুক্তভোগীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।