আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকের বিষয়ঃ শ্রীলংকার বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
শ্রীলংকার বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা এখন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মুখে। এই সংকটকালে দেশটিতে গত ১৮ জুলাই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে এই ঘোষণা করেন। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি দেশটিকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে এসেছে।
গত সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সময় কাটাচ্ছে শ্রীলংকা। দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেল, খাবার, ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র অভাব। ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে বেঁচে থাকার জন্য। চরমে উঠেছে মূল্যস্ফীতি। এই চরম দুরাবস্থার জন্য দায়ী করা হচ্ছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের একচ্ছত্র আধিপত্যকে। অথচ তিনি ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিপুল সমর্থন পেয়ে জয়লাভ করেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আবার তিনিই শ্রীলংকার ১ম প্রেসিডেন্ট, যিনি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
শ্রীলংকার চরম অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে, জণগণ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই, গোতাবায়া শ্রীলংকা হতে মালদ্বীপ পালিয়ে যান। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর চলে যান। সিঙ্গাপুরে অবস্থানকালে তিনি শ্রীলংকার পার্লামেন্ট স্পিকারের নিকট ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান যা ১৫ জুলাই তারিখে পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। এরপর ১৮ জুলাই তারিখে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। ২০ জুলাই তারিখে পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়।
এদিকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর পরে, গোতাবায়াকে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ হতে ১৪ দিনের স্বল্পমেয়াদী ভিজিট পাস দেয়া হয়। পরে এই ১৪ দিনের মেয়াদ আরো ১৪ দিন বাড়ানো হয়। ১১ আগস্ট ভিজিট পাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর ত্যাগ করেন। থাইল্যান্ডের এক হোটেলে তিনি সস্ত্রীক কিছুদিন ছিলেন। চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি সেখানে থাকার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তার উদ্বেগজনিত কারণে স্বাধীনতা না পাওয়ায় থাইল্যান্ড থাকার পরিকল্পনা বাতিল করেন।
১৮ আগস্ট, শ্রীলংকার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, “গোতাবায়া যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য গ্রিণ কার্ড পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন। তিনি সেখানে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান।” তার স্ত্রী আইয়োমা রাজাপক্ষে একজন মার্কিন নাগরিক। সেই সূত্রে তারও মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।
পরবর্তীতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন হতে জানা যায়, “২৫ আগস্ট দেশে ফিরতে পারেন গোতাবায়া।” তবে এই প্রতিবেদনে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
১৬ আগস্ট, মঙ্গলবার, শ্রীলংকার বিভিন্ন পেশাদারদের সংগঠন অর্গানাইজেশন অব প্রফেশনাল আসোসিয়েশনের ৩৫ তম বার্ষিক সম্মেলনে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বলেন, “জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হবে ১৮ আগস্ট। এই মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না।” এদিন সম্মেলনে তিনি দেশের বিভিন্ন ব্যবস্থার পরিবর্তন আনার অঙ্গীকার করলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিধিনিষেধ বহাল রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, “পার্লামেন্টকে সরকারে পরিণত করতে চাই আমরা। আমাদের একটি পর্যবেক্ষক কমিটি থাকবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীনে থাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কার আনার উপায় ও করণীয় নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটি কমিটিতে পার্লামেন্টের বাইরের তরুণ সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হবে। সব দলের সমন্বয়ে একটি জাতীয় পরিষদও গঠন করব আমরা।”
বিক্রমাসিংহে প্রবাসী কার্যালয় খোলার ঘোষণা দিয়েছেন যেন প্রবাসীরাও দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন। তিনি মনে করেন, তাঁর দেশের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমান পার্লামেন্ট থেকে এই পরিবর্তন আনতে হবে। তা নাহলে অর্গানাইজেশন অব প্রফেশনাল আসোসিয়েশন আজকের মতো এমন একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে না।
এদিকে ১৯ আগস্ট, ক্ষমতাসীন দল শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনার মহাসচিব সাগারা কারিয়াবাসাম বলেন, “সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি সামনে এগিয়ে নিতে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে আমরা প্রেসিডেন্টের কাছে সহায়তা চেয়েছি।”
অপরদিকে, শ্রীলংকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় তহবিল অপব্যবহারের মামলায় গোতাবায়ার বিচারের দাবি জানিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল সামাগি জন বালাওয়েগা। এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিইও বলেন, “গোতাবায়া এই দেশের নাগরিক। মাতৃভূমিতে ফেরার অধিকার তার আছে। কেউ এই অধিকার অস্বীকার করতে পারেন না। তবে মা-বাবার স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিল ব্যয় করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল। সেটি আবার চালু হওয়া উচিত। অন্যান্য অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযোগপত্র দায়ের করা উচিত।”
শ্রীলংকার আর্থিক মন্দার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ বৈদেশিক ঋণের বেসামাল অবস্থা। গত ১৮ আগস্ট, শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, চলতি বছর দেশটির অর্থনীতিতে রেকর্ড ৮ শতাংশের বেশি সংকোচন হতে পারে। দেশটির মূল্যস্ফীতি ৬৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। দেশটির সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায়, ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ( আইএমএফ ), গত জুন মাসে শ্রীলংকার সাথে সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে গণবিক্ষোভ শুরু হওয়ায় আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৯ আগস্ট, এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৪ থেকে ৩১ আগস্ট আইএমএফ এর একটি প্রতিনিধিদল কলম্বো সফর করবে। এই সফরের লক্ষ্য হলো সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে অচিরেই সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারে আলোচনায় অগ্রগতি। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংস্কার ও নীতিমালা নিয়ে শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষের সাথে তারা আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
তবে সরকারি দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে নাজুক অবস্থায় আছে শ্রীলংকা। এমন অবস্থায় আইএমএফের কোন ধরনের ঋণ কর্মসূচি গ্রহণ করার আগে গ্রহীতাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে আবার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে।
কলম্বো গেজেটের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২১ আগস্ট দেশটির অনুরাধাপুর শহরে অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের সভায় প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, “সরকারি কর্মচারীদের অবশ্যই কাজ করতে হবে। তা নাহলে তাদের বাড়িতে চলে যেতে হবে। কাজ না করে বেতন পাওয়ার আশা করা যাবেনা।” তিনি আরো জানান, সামাগি জন বালাওয়েগা, পদজুনা পেরামুনাসহ দেশটির সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত তিনি।
২৭ আগস্ট প্রথম আলো ডেস্কে প্রকাশিত এক নিবন্ধে উঠে এসেছে শ্রীলংকার বর্তমান সংকটের সাথে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর খাদ্যঘাটতি সংক্রান্ত সতর্কবার্তা।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক জর্জ লারিয়া আদজে বলেন, “শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকটের পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে দরিদ্র পরিবারগুলোকে। প্রতি বেলার খাবার জোগাড় করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় এক বেলার খাবার জোগাড় করা হলেও পরের বেলার খাবার কোথা থেকে আসবে তা নিয়ে অনিশচয়তায় থাকতে হচ্ছে। রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারছেন না তারা। ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে হছে অনেক শিশুর।”
তিনি আরো বলেন, “দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে প্রচন্ড অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতি শিশুদের জীবনকে আরো হুমকির মুখে ফেলে দেবে। শ্রীলংকায় আমি যা দেখেছি তা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর জন্য সতর্কবার্তা।”
শ্রীলংকার বর্তমান অবস্থা
ইউনিসেফ বলছে, “শ্রীলংকার বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দায় অন্তত ৫০ শতাংশ শিশুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আড়াই কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন। শ্রীলংকা সরকারও শিশুদের অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সহায়তা আবেদন জানিয়েছেন।”
অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আইএমএফ এর দ্বারস্থ হয়েছিল শ্রীলংকা সরকার। অবশেষে আইএমএফের পক্ষ থেকে সহায়তার বিষয়ে সবুজ সংকেত এসেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে অর্থনীতি পুনর্গঠনে শ্রীলংকাকে ২৯০ কোটি ডলার সহায়তা ( বেল আউট ) দিবে তারা।
এ সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে, রাজধানী কলম্বোয় শ্রীলংকা সরকারের সাথে আইএমএফের বৈঠকের ৯ দিন পর ৩১ আগস্ট এক বিবৃতিতে বেল আউট দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইএমএফ। এখন শুধু সংস্থাটির বোর্ড সদস্যদের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে শ্রীলংকার রাজনৈতিক অবস্থা। এএফপি থেকে পাওয়া এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর হলো দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টায় অর্থাৎ শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, থাইল্যান্ড থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফিরেছেন। শ্রীলংকার বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, এই বিমানবন্দর হয়েই গোতাবায়া দেশে প্রবেশ করেন। ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের দল তাকে বিমানবন্দরেই ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
শ্রীলংকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে তার জন্য একটি বাড়ি ঠিক করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দর হতে তাকে কোথায় নেয়া হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান যে, “সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে নিরাপত্তা দেয়া হবে। ইতিমধ্যে তার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নতুন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।”
তবে গোতাবায়ার ফিরে আসা নিয়ে দেশটিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, শ্রীলংকায় তার ভবিষ্যত কী? তার বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? দেশটিতে সকল ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা যেভাবে প্রকট হয়ে উঠেছিল সেই চরম সময়ে তিনি পালিয়ে গিয়ে কেনইবা ফিরে এলেন, এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন গোতাবায়া। কিন্তু সে বিষয়ে গোতাবায়া রাজাপক্ষে কোন প্রত্যুত্তর করেননি। মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ আনা হতে পারে। তবে রাজাপক্ষের মিত্ররা এখন ক্ষমতায় রয়েছেন। তাই তার বিচারের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তো আজকের জন্য এতটুকুই (শ্রীলংকার বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়)। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।