শ্রেয়ার লিখা কবিতা
আমি আমার মনের কিছু অগোছালো শব্দকে
গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করে,যাকে “কবিতা” নাম দেওয়ার দুঃসাহস করেছি।
জানি না পাঠক হৃদয়ে কতটা জায়গা নিতে পারবে এই অধমের শব্দগুলো।
১। প্রহর গুনছি
আমি কি অযথা অপেক্ষায় আছি?
প্রশ্নটা নিজেকে করলাম।
আচ্ছা সে কি আসবে?
হয়তো না।
তাহলে অযথা অপেক্ষা করছি?
মন সেটাও জানে ও না।
সে কি নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে?
সে গোছানোই ছিল।
তাহলে কি আমায় এলোমেলো করে দিয়ে গেলো?
সুযোগ টা আমিই দিয়েছে।
গল্পটা হয়তো এমন না হলে ও হতো?
গন্তব্য টা আলাদা,তাইতো হলো না আর দেখা।
আমি আজও অপেক্ষায় আছি।
কিসের জন্য?
সুন্দর একটা সময় আসবে।
অপেক্ষার প্রহর গুনা শেষ হবে।
২। সময়
সময়?
সে তো কষ্ট ভুলায়
সময়?
সে তো নিজেকে জানতে শেখায়
সময়?
সে তো আপন মানুষ চেনায়।
সময়?
সে তো ঘা শুকায়।
সময়?
সে তো আমাকে আমার মতো বাচঁতে শেখায়।
সময়?
সে তো নতুন করে সৃষ্টি করে।
সময়?
সে তো ব্যথা নিরামায়ক।
সময়?
সে তো মনকে শক্ত করার বাহন।
সময়?
সে তো সব জায়গায়।
সময়?
সে তো খুব নিষ্ঠুর।
সময়?
সে তো আবার দয়ালু।
সময়?
সে তো মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত করে।
সময়?
সময় সে তো মাঝে মাঝে খুব আনন্দের।
সময়?
সে তো আমার একার নয়,
আজ আমার তো কাল
অন্য কারো।
সময়?
সে তো অবাধ্য।
সময়?
সে তো অস্পর্শনীয়।
সময়?
সে তো স্পর্শক।
৩। আমি যাব না
আমি যাব না সাগর পাড়ে
রৌদ্রস্নাতে।
যখন বেলকনিতে সূর্য তার কিরণ ছড়াবে।
আমি যাব না হীরক কিনতে
যখন হেমন্তে শিশির কণা ধানের শীষে
জ্বলজ্বল করবে।
আমি যাব না নদীর ঢেউ দেখতে
যখন বর্ষায় খেত গুলো পানিতে কানায় কানায়
ভরে যাবে।
আমি যাব না কোনো নন্দন কাননে।
যখন আমার বেলকনিতে অপরাজিতা ফুটবে।
৪। সুখ
আমি অচিরেই জানতে পারলাম
আমি মরিচীকার পিছনে ছুটে ছিলাম।
সুখের খোঁজে।
কিন্তু দুঃখের গহীন বনে হারিয়ে যাবো
কে বা জানতো।
আমি অনেকটা পথ আসার পর বুঝতে পারলাম
সামনের পথটা চলতে হবে একা।
কিন্তু রাস্তা টা যে অজানা।
ফিরে যাবার চেষ্টা করতেই দেখি,
চোখ বন্ধ করে যে এসেছিলাম
রাস্তা তো আমি দেখিনি।
সুখ তোমায় খুজতে খুজতে আমি কোথায় যে নিজেকে হারালাম জানি নি।
আশা করি কবিতা গুলো পাঠকদের ভালো লাগবে, সবার থেকে উৎসাহ পেলে, লেখিকার মনোবল বাড়বে।
খুব গুছিয়ে লিখতে পারি নি,
চেষ্টা করবো আরো ভালো করে লিখার।
ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়।