পর্বঃ১
লেখকঃshopner styles rajkumar.
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমি রোমান্টিক কিনা তা জানি না।কিন্তু প্রেমের স্বাদ পায় নি এরকম মানুষ পাওয়া খুব দায়।
আমিও প্রেমে পড়েছিলাম কারো।তবে আমার প্রেমটা সবার থেকে আলাদা ছিল।এক্টু ভিন্ন রকম একটু অগোছালো কিন্তু অনেকটা গল্পের মত।ত চলুন গল্পটা শুরু করা যাক।সবাইকে বলে রাখছি আমি একটু বোরিং টাইপের আর ভালবাসি খুব ইসলামকে।মনে রাখবেন এটা গল্প হলেও সত্যি।
আমার ভালবাসাটা শুরু হয়ে ছিল ক্লাস ৪ এ।এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।তাকে প্রথম দেখেছিলাম বোরকা পরাই।সেদিন সে নীল রঙের বোরকা পড়েছিল।তার পুরো মূখটাই ডাকা ছিল শুধু চোখ দুটি ছাড়া ।অসম্ভব মায়াবী তার চোখ।আমাই তাকিয়ে থাকতে বাদ্য করেছিল।তবে আমি তার চোখের প্রেমে পরেছিলাম না ।পরেছিলাম তার পর্দা করা দেখে।আমি আগেই বলেছি আমি খুব খুব ভালবাসি আমার ইসলামকে ।আমি সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত নেয় আমিও নামাজ পরব প্রতিদিন যখন তার মুখে শুনি সে পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে। আমি তার প্রতি আরো আকৃষ্ট হয় তার ব্যাবহার দেখে।আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন এখনকার কলেজের মেয়েরাই বোরকা পরে না আর ক্লাস ৪ এর মেয়ে বোরকা…অদের পরিবারটা ছিল ধার্মিক প্রেমিক এজন্য বাড়ির বাইরে গেলে বোরকা পড়ে যেতে হত।যায় হোক আমাদের স্কুলে গ্রোপ করার সিদ্ধান্ত নিল স্কুলের শিক্ষকরা।যেহেতু আমি ক্লাসের ফার্স্ট বয় ছিলাম তাই আমাকেই দায়িত্ব দেওয়া হল সবকিছু করার।আমি আমার গ্রূপে অই মেয়েটিকে চেয়ে নিলাম ।আর আমি তা পেয়েও গেলাম।আমরা দু জন হলাম সম্পূর্ন স্কুলের লিডার। আমাদের স্কুলে সর্বমোট পাচটা গ্রূপ করেছিলাম।সেখান থেকে আমাদের গ্রূপ্টা বেস্ট ইয়ার অফ দ্যা পুরষ্কার পেল।আর পুরষ্কারটি পেয়ে আমরা এতই খুশি হয়েছিলাম যে ,আমার গ্রূপে মোট পাচটা মেয়ে ছিল সবাই মিলে জড়িয়ে দরল।আর প্রাইমারি স্কুলে এইটা স্বাভাবিক।কিন্তু তার কাছে অস্বাভাবিক মনে হল আর আমাকে সবার মাঝখান থেকে টেনে নিয়ে ক্লাসে চলে গেল।আর একটা থাপ্পর মেরে বলল,তুমার এইসব করতে লজ্জা লাগে না।মেয়েরা তুমাই জড়িয়ে ধরে আর তুমি কিছু বল না কেন?তুমি কি একাই কাজ করছ আমি করি নাই?তুমাকে ছেলেরা জড়িয়ে ধরতে পারে না?মেয়েগুলা কি আমাই ধরতে পারে না।যতসব ফাজিলের দল। আমি ত গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা শুনছি।সত্যি বলতে ভালবাসার মানুষের কাছে বকা শুনতেও ভাল লাগে।কিছুক্ষন পর চুপ হয়ে গেল।আর আমি অমনি তাকে জড়িয়ে ধরলাম।আর বললাম অরা আমার বন্ধু তাই জড়িয়ে ধরছে।তুমি ত আর বন্ধু না এজন্য এখন পর্যন্ত মুখটাও দেখালে না।বলতে দেরি হইছে কিন্তু আরেকটা থাপ্পর মারতে দেরি হয় নাই।আমি আবার গাল ধরে বললাম এখন আবার কিসের জন্য?সেঃচুপ কুত্তা শয়তান অরা তর বন্ধু আমি কি তর ?আমাই জড়িয়ে ধরলি কেন ?যা অদের ধর জড়িয়ে ধর। আর তুই কখনো বলছিস আমার চেহারা দেখবি?আমিঃকেন আমার বন্ধুরা তকে বলে নাই?আমি তকে দেখতে চাই।সেঃআমার চেহারা ভুতের মত দেখবি?আমিঃহুম,তাও দেখব।দেখা ?সেঃদারা ।এই বলে দরজার দিকে যাচ্ছে,কিন্তু দরজার পাশে ঝাড়ু ছিল।আমিঃথাক থাক দেখব না ,ভুল হইছে মাফ কইরা দাও।ঝাড়ু আনার ধরকার নাই।আমি ত ভয়ে শেষ।সেঃ আরে ভীতু আমি দরজা বন্ধ করতে এসেছি,ঝাড়ু আনতে না।তারপর সে তার পর্দার আড়ালে থাকা মুখটি বের করে দেখালো।অসম্ভব সুন্দরি।সত্যি বলতে পর্দা করা মেয়েরা একটু বেশিই সুন্দর হয়। যেহেতু লাইফটা প্রাইমারির ছিল তাই কেউ কিছু মনে করে নাই।আমি অকে যতই দেখছিলাম ততই ভালবেসে জড়িয়ে যাচ্ছিলাম।কিছুদিন যাওয়ার পর বার্ষিক পরিক্ষা চলে আসে।বার্ষিক পরিক্ষার পর আর দেখা হওয় নি ।দেখা হল রেজাল্টের দিন।আমি প্রথম হলাম আর অ দ্বিতীয়।সেদিন অর বাবা সাথে এসেছিল আমাই চকলেট কিনে দিয়েছিল।কিন্তু তার পর আর কোনদিন তাকে আমার ক্লাসে দেখতে পায় নাই।পড়ে শুনেছিলাম সে কোন এক প্রাইভেট কোচিং এ পড়ে। আমি তাকে দেখতে সেখানে যায় ভালবাসি বলতে চায়।কিন্তু তখনি মনে পড়ে স্কুলের মেডামের কথা।এ সময় যা মাথায় আসে তা শুধু ভাবনা আর কিছু না।আমি এটাকে ভাবনা এইটা মেনেই কেমন আছ বলে চলে আসি। তার সমাপনী পরিক্ষায় গোল্ডেন এ+ টালেন্টপুলে বৃত্তি পায়।এই এক বছরে অকে কখনো দেখি নাই।কিন্তু অর সেই প্রতম দিনের মায়াবী চোখ কখনো ভুলতে পারি নাই।শুধু একবার বলতে চায় ভালবাসি তুমাই।তারপর ক্লাস ৬ এ ভর্তি হওয় পাশেই একটা হাই স্কুলে।যেহেতু আমার বাবার টাকা নাই।তাই আমাকে সাধারন স্কুলে ভর্তি হতে হবে।কিছুদিন ক্লাস করার পর জানতে পারি সেও এই স্কুলে ভর্তি হইছে।তারপর আমার খুশি দেখে কে।মন ত সেদিনো চেয়েছিল বলে ফেলি ভালবাসি।কিন্তু সেদিন সেটাকেও থামিয়ে নিজে নিজেই ভাবলাম দেখি অন্য কারো প্রতি এরকম অনুভতি আসে নাকি……………………………to be contineu…….
গল্পটি যদি ভাল লাগে তাহলে পরের টুকূ লিখব ।তা না হলে এইখানেই শেষ।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।